রৌমারী (কুড়িগ্রাম) ও বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও পঞ্চগড়ের বোদায় ইটভাটার ধোঁয়ায় শতাধিক বিঘা ধানখেত নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
রৌমারী: উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের কুটিরচর এলাকায় ইটভাটার ধোঁয়ায় ২০ বিঘা জমির বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার প্রতিকার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের কুটিরচর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আবাদি জমির মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে এনএমবি নামের একটি ইটভাটা। ভাটার চারদিকে চাষ করা হয়েছে বোরো ধান। ইটভাটার ধোঁয়ায় খেতের ধানগাছ ঝলসে যাচ্ছে বলে জানান কৃষকেরা। এতে তাঁদের ২০ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে।
উপজেলার চরবন্দবেড় গ্রামের কৃষক হাবিল উদ্দিন বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। এই ধান নষ্ট হয়ে গেলে আমরা খাব কী? তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, যাতে আমার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়।’
কুটিরচর গ্রামের শাহাজাহান মিয়া ও খঞ্জনমারা গ্রামের কৃষক নুরুল আমিনসহ অনেক বলেন, ‘যে ধানগাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ওই ধানগুলো যদি আমরা না পাই তাহলে সারা বছর চাল কিনে খেতে হবে। ইটভাটাটি দ্রুত বন্ধের দাবি জানাই।’
ভাটার ধোঁয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এনএমবি ইটভাটার মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাটা অনেক টাকার ভাটা এবং আপডেট ভাটা। এটা ফসলের ক্ষতি করার কোনো অবস্থান নেই। ভাটার ধোঁয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি হয় নাই।’
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘এটি ব্যাকটেরিয়া লিভডাই (বিএলডি) জাতীয় রোগ। গ্যাস, ধোঁয়া কিংবা সূর্যের অতিরিক্ত তাপেও হতে পারে। এর প্রতিকারের ব্যবস্থা করা যাবে।’
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘এ নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বোদা: পৌরসভার ভাসাইনগর মন্নাপাড়া এলাকায় ফসলি জমিতে নির্মিত কেএমআর নামে একটি ইটভাটার ধোঁয়ায় প্রায় এক শ বিঘা জমির বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল ঝলসে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে ১৭ এপ্রিল ৪০ জন কৃষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগপত্র বোদা ও আটোয়ারীর ইউএনও-সহ বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া হয়েছে।
জেলার বোদা উপজেলা শহর থেকে দুই কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে বোদা পৌরসভার ভাসাইনগর, মন্না পাড়ার অপর পাশে আটোয়ারী উপজেলার বলারামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার গ্রাম। এই দুই উপজেলার আশপাশে সাতটি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আবাদি জমিসংলগ্ন গড়ে ওঠা এসব ভাটার বেশির ভাগেরই নেই বৈধ কাগজপত্র।
স্থানীয়রা জানান, ১১ এপ্রিল রাতে হঠাৎ করেই কেএমআর ভাটাসহ আরও কয়েকটি ভাটার আগুন নিয়ম অনুযায়ী নেভানো হয়নি। এতে পরের দিন সকাল থেকেই ভাটার আশপাশের জমিগুলোর বোরো ধান গাছসহ বিভিন্ন ফসল বিবর্ণ হতে থাকে।
ভাসাইনগর এলাকার কৃষক বিমন চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘মান্নান ও জাফরের ভাটার নির্গত ধোঁয়ায় আমার প্রায় দেড় বিঘা বোরো আবাদ ঝলসে গেছে। গত বছরও তাঁরা আমাদের এভাবে ক্ষতি করেছিলেন, কিন্তু কোনো ক্ষতিপূরণ দেননি।’
ভাটার মালিক মিজানুর রহমান, জাফর আলী ও আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের কারণে ক্ষতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কৃষকদের কৃষি কার্যালয়ের পরামর্শ নিতে বলা হয়। তাদের ক্ষতিপূরণসহ যাবতীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দিই।’
বোদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ফসল দেখেছি। ভাটার কারণে এমনটি হয়েছে। তাঁদের ফসল রক্ষার জন্য প্রতিষেধক ওষুধ ছিটানোর পরামর্শ দিই।’
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী বলেন, ‘ভাটাগুলো দুই উপজেলার (বোদা ও আটোয়ারী) মধ্যে হওয়ায় তাঁরা আটোয়ারীর ইউএনওকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমি মৌখিকভাবে জেনেছি।]
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও পঞ্চগড়ের বোদায় ইটভাটার ধোঁয়ায় শতাধিক বিঘা ধানখেত নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
রৌমারী: উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের কুটিরচর এলাকায় ইটভাটার ধোঁয়ায় ২০ বিঘা জমির বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার প্রতিকার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের কুটিরচর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আবাদি জমির মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে এনএমবি নামের একটি ইটভাটা। ভাটার চারদিকে চাষ করা হয়েছে বোরো ধান। ইটভাটার ধোঁয়ায় খেতের ধানগাছ ঝলসে যাচ্ছে বলে জানান কৃষকেরা। এতে তাঁদের ২০ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে।
উপজেলার চরবন্দবেড় গ্রামের কৃষক হাবিল উদ্দিন বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। এই ধান নষ্ট হয়ে গেলে আমরা খাব কী? তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, যাতে আমার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়।’
কুটিরচর গ্রামের শাহাজাহান মিয়া ও খঞ্জনমারা গ্রামের কৃষক নুরুল আমিনসহ অনেক বলেন, ‘যে ধানগাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ওই ধানগুলো যদি আমরা না পাই তাহলে সারা বছর চাল কিনে খেতে হবে। ইটভাটাটি দ্রুত বন্ধের দাবি জানাই।’
ভাটার ধোঁয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এনএমবি ইটভাটার মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাটা অনেক টাকার ভাটা এবং আপডেট ভাটা। এটা ফসলের ক্ষতি করার কোনো অবস্থান নেই। ভাটার ধোঁয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি হয় নাই।’
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘এটি ব্যাকটেরিয়া লিভডাই (বিএলডি) জাতীয় রোগ। গ্যাস, ধোঁয়া কিংবা সূর্যের অতিরিক্ত তাপেও হতে পারে। এর প্রতিকারের ব্যবস্থা করা যাবে।’
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘এ নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বোদা: পৌরসভার ভাসাইনগর মন্নাপাড়া এলাকায় ফসলি জমিতে নির্মিত কেএমআর নামে একটি ইটভাটার ধোঁয়ায় প্রায় এক শ বিঘা জমির বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল ঝলসে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে ১৭ এপ্রিল ৪০ জন কৃষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগপত্র বোদা ও আটোয়ারীর ইউএনও-সহ বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া হয়েছে।
জেলার বোদা উপজেলা শহর থেকে দুই কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে বোদা পৌরসভার ভাসাইনগর, মন্না পাড়ার অপর পাশে আটোয়ারী উপজেলার বলারামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার গ্রাম। এই দুই উপজেলার আশপাশে সাতটি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আবাদি জমিসংলগ্ন গড়ে ওঠা এসব ভাটার বেশির ভাগেরই নেই বৈধ কাগজপত্র।
স্থানীয়রা জানান, ১১ এপ্রিল রাতে হঠাৎ করেই কেএমআর ভাটাসহ আরও কয়েকটি ভাটার আগুন নিয়ম অনুযায়ী নেভানো হয়নি। এতে পরের দিন সকাল থেকেই ভাটার আশপাশের জমিগুলোর বোরো ধান গাছসহ বিভিন্ন ফসল বিবর্ণ হতে থাকে।
ভাসাইনগর এলাকার কৃষক বিমন চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘মান্নান ও জাফরের ভাটার নির্গত ধোঁয়ায় আমার প্রায় দেড় বিঘা বোরো আবাদ ঝলসে গেছে। গত বছরও তাঁরা আমাদের এভাবে ক্ষতি করেছিলেন, কিন্তু কোনো ক্ষতিপূরণ দেননি।’
ভাটার মালিক মিজানুর রহমান, জাফর আলী ও আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের কারণে ক্ষতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কৃষকদের কৃষি কার্যালয়ের পরামর্শ নিতে বলা হয়। তাদের ক্ষতিপূরণসহ যাবতীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দিই।’
বোদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ফসল দেখেছি। ভাটার কারণে এমনটি হয়েছে। তাঁদের ফসল রক্ষার জন্য প্রতিষেধক ওষুধ ছিটানোর পরামর্শ দিই।’
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী বলেন, ‘ভাটাগুলো দুই উপজেলার (বোদা ও আটোয়ারী) মধ্যে হওয়ায় তাঁরা আটোয়ারীর ইউএনওকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমি মৌখিকভাবে জেনেছি।]
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে