বগুড়া প্রতিনিধি
উজান থেকে আসা ঢলে ও ভারী বর্ষণে বগুড়ার যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে যমুনার চরাঞ্চলের বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। এ ছাড়া যমুনা নদীর পাশাপাশি বাঙ্গালী নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্ধ হয়ে গেছে ৬৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান।
সারিয়াকান্দিতে চরাঞ্চলের কাজলা, চালুয়াবাড়ী, হাটশেরপুর ও সদরসহ কুতুবপুর ইউনিয়নের আংশিক, চন্দনবাইশা, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল ও কামালপুর ইউনিয়নের নিচু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব ইউনিয়নের ৭৭টি গ্রামে ৫৬ হাজার ৭২০ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ৪৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ আছে। এ ছাড়া উপজেলার মানিকদাইড় চরে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ফলে গত সাত দিনে দেড় শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তাঁরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
সোনাতলায় তেকানী চুকাইনগর, পাকুল্লা ও মধুপুর ইউনিয়নের ২৫ গ্রামে যমুনার পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন ২০ হাজার ১২৮ জন মানুষ। এ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এখন পর্যন্ত ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে বন্ধ রয়েছে পাঠদান।
ধুনটে আট গ্রামের এক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। গ্রামগুলো হলো যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের শিমুলবাড়ি, সহড়াবাড়ি, আটরচর, ভুতবাড়ি, পুখুরিয়া, রঘুনাথপুর, ভান্ডাবাড়ি ও কচুগাড়ি। গ্রামগুলোর শতাধিক মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বগুড়ায় যমুনার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, যমুনা নদীর বিপৎসীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটারে। আর বাঙালি নদীর বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে করতোয়া নদীর পানি। তবে করতোয়ার পানি বিপৎসীমা পার হয়নি। এ নদীর পানি বিপৎসীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৩২ মিটার। বর্তমানে করতোয়ার পানি ১৪ দশমিক ১২ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যায় ফসলের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) এনামুল হক বলেন, বন্যায় বগুড়ার তিন উপজেলায় ৩ হাজার ৪৬৫ হেক্টর ধান ও ধানের বীজতলা, পাট, শাক-সবজি, ভুট্টা ও আখের আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে সারিয়াকান্দিতে ২ হাজার ৭৮৯ হেক্টর, ধুনটে ৩৩ হেক্টর ও সোনাতলায় ৬৪৩ হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, জেলায় ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং উদ্ধার তৎপরতা চালানোর দুটি নৌকা প্রস্তুত আছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে সাতটি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।
উজান থেকে আসা ঢলে ও ভারী বর্ষণে বগুড়ার যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে যমুনার চরাঞ্চলের বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। এ ছাড়া যমুনা নদীর পাশাপাশি বাঙ্গালী নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্ধ হয়ে গেছে ৬৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান।
সারিয়াকান্দিতে চরাঞ্চলের কাজলা, চালুয়াবাড়ী, হাটশেরপুর ও সদরসহ কুতুবপুর ইউনিয়নের আংশিক, চন্দনবাইশা, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল ও কামালপুর ইউনিয়নের নিচু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব ইউনিয়নের ৭৭টি গ্রামে ৫৬ হাজার ৭২০ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ৪৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ আছে। এ ছাড়া উপজেলার মানিকদাইড় চরে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ফলে গত সাত দিনে দেড় শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তাঁরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
সোনাতলায় তেকানী চুকাইনগর, পাকুল্লা ও মধুপুর ইউনিয়নের ২৫ গ্রামে যমুনার পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন ২০ হাজার ১২৮ জন মানুষ। এ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এখন পর্যন্ত ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে বন্ধ রয়েছে পাঠদান।
ধুনটে আট গ্রামের এক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। গ্রামগুলো হলো যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের শিমুলবাড়ি, সহড়াবাড়ি, আটরচর, ভুতবাড়ি, পুখুরিয়া, রঘুনাথপুর, ভান্ডাবাড়ি ও কচুগাড়ি। গ্রামগুলোর শতাধিক মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বগুড়ায় যমুনার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, যমুনা নদীর বিপৎসীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটারে। আর বাঙালি নদীর বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে করতোয়া নদীর পানি। তবে করতোয়ার পানি বিপৎসীমা পার হয়নি। এ নদীর পানি বিপৎসীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৩২ মিটার। বর্তমানে করতোয়ার পানি ১৪ দশমিক ১২ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যায় ফসলের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) এনামুল হক বলেন, বন্যায় বগুড়ার তিন উপজেলায় ৩ হাজার ৪৬৫ হেক্টর ধান ও ধানের বীজতলা, পাট, শাক-সবজি, ভুট্টা ও আখের আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে সারিয়াকান্দিতে ২ হাজার ৭৮৯ হেক্টর, ধুনটে ৩৩ হেক্টর ও সোনাতলায় ৬৪৩ হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, জেলায় ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং উদ্ধার তৎপরতা চালানোর দুটি নৌকা প্রস্তুত আছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে সাতটি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে