সম্পাদকীয়
বুদ্ধদেব বসু তখন বিদেশে। এ সময় তাঁদের বড় মেয়ে মীনাক্ষী এসে প্রতিভা বসুকে বললেন, একটি ছেলেকে তাঁর পছন্দ হয়েছে। ছেলেটির বয়স উনিশ। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিলে ছেলেটাও এই বাড়িতে আড্ডা দিতে আসে। প্রতিভা বসু লক্ষ করলেন, আড্ডার সময় সবার আগে আসে ছেলেটা, যায় সবার পরে। একেবারেই রোগা, শরীরে মাংস নেই। পড়াশোনা করছে। এ রকম একটি অপরিপক্ব ছেলের হাতে মেয়েকে তুলে দেবেন? চিন্তায় পড়ে যান প্রতিভা বসু।
বুদ্ধদেব বিদেশ থেকে ফেরার পর মীনাক্ষীর পছন্দের কথা শুনে রেগে আগুন। প্রতিভাও চেয়েছিলেন, যে চার উজ্জ্বল যুবক বুদ্ধদেবের কাছে আসতেন, তাদেরই একজনের সঙ্গে মীনাক্ষী গাঁটছড়া বাঁধুক। এই ছোকরা চতুষ্টয়ের মধ্যে অশোক মিত্রকেই পাত্র হিসেবে পছন্দ করেছিলেন তিনি। এবং বিয়েটা হতেই পারত, যদি মীনাক্ষী রাজি থাকতেন। কিন্তু মীনাক্ষীর পছন্দ জ্যোতি নামের ছেলেটাকে। জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত।
জ্যোতিরা খুব গরিব। জ্যোতির বাবা পূর্ব পাকিস্তানে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। সেখান থেকে টাকা পাঠানো কঠিন। কলকাতায় দশটি সন্তান নিয়ে থাকেন তাঁর স্ত্রী। এ রকম এক ভয়াবহ অবস্থায় বিয়ের কথা ভাবাও কঠিন।
প্রতিভা বসু বিয়ের জোগাড়-যন্তর, টাকাপয়সার ব্যাপারে কথা বলেন বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে। বুদ্ধদেব স্রেফ জানিয়ে দেন, ‘টাকা লাগবে কেন? রেজিস্ট্রি হয়ে গেলে বাসভাড়া দিয়ে দিও, চলে যাবে।’
প্রতিভা বসু তখন আধুলি জমাতেন। যেখান থেকে যে আধুলি পেতেন, তা রাখতেন একটা বাক্সে। কোনো দিন খোলেননি। এবার খুললেন। সেখানে পাওয়া গেল হাজার টাকা। তা দিয়ে মেয়ের গয়না গড়ালেন। আর সেই সময়ই কাকতালীয়ভাবে প্রতিভা বসুর লেখা ‘বিবাহিতা স্ত্রী’ বইটি সিনেমা করার জন্য কিনে নিলেন এক প্রযোজক। সেই টাকাও তিনি খরচ করলেন বিয়ের আয়োজনে।
তত দিনে বুদ্ধদেব বসুর মন নরম হয়েছে। তিনি বললেন, ‘এত করছ, অথচ বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রটাই লিখছ না? এসো, কী লিখতে চাও, বলো।’
সূত্র: প্রতিভা বসু, জীবনের জলছবি, পৃষ্ঠা ২০৫-২০৭
বুদ্ধদেব বসু তখন বিদেশে। এ সময় তাঁদের বড় মেয়ে মীনাক্ষী এসে প্রতিভা বসুকে বললেন, একটি ছেলেকে তাঁর পছন্দ হয়েছে। ছেলেটির বয়স উনিশ। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিলে ছেলেটাও এই বাড়িতে আড্ডা দিতে আসে। প্রতিভা বসু লক্ষ করলেন, আড্ডার সময় সবার আগে আসে ছেলেটা, যায় সবার পরে। একেবারেই রোগা, শরীরে মাংস নেই। পড়াশোনা করছে। এ রকম একটি অপরিপক্ব ছেলের হাতে মেয়েকে তুলে দেবেন? চিন্তায় পড়ে যান প্রতিভা বসু।
বুদ্ধদেব বিদেশ থেকে ফেরার পর মীনাক্ষীর পছন্দের কথা শুনে রেগে আগুন। প্রতিভাও চেয়েছিলেন, যে চার উজ্জ্বল যুবক বুদ্ধদেবের কাছে আসতেন, তাদেরই একজনের সঙ্গে মীনাক্ষী গাঁটছড়া বাঁধুক। এই ছোকরা চতুষ্টয়ের মধ্যে অশোক মিত্রকেই পাত্র হিসেবে পছন্দ করেছিলেন তিনি। এবং বিয়েটা হতেই পারত, যদি মীনাক্ষী রাজি থাকতেন। কিন্তু মীনাক্ষীর পছন্দ জ্যোতি নামের ছেলেটাকে। জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত।
জ্যোতিরা খুব গরিব। জ্যোতির বাবা পূর্ব পাকিস্তানে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। সেখান থেকে টাকা পাঠানো কঠিন। কলকাতায় দশটি সন্তান নিয়ে থাকেন তাঁর স্ত্রী। এ রকম এক ভয়াবহ অবস্থায় বিয়ের কথা ভাবাও কঠিন।
প্রতিভা বসু বিয়ের জোগাড়-যন্তর, টাকাপয়সার ব্যাপারে কথা বলেন বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে। বুদ্ধদেব স্রেফ জানিয়ে দেন, ‘টাকা লাগবে কেন? রেজিস্ট্রি হয়ে গেলে বাসভাড়া দিয়ে দিও, চলে যাবে।’
প্রতিভা বসু তখন আধুলি জমাতেন। যেখান থেকে যে আধুলি পেতেন, তা রাখতেন একটা বাক্সে। কোনো দিন খোলেননি। এবার খুললেন। সেখানে পাওয়া গেল হাজার টাকা। তা দিয়ে মেয়ের গয়না গড়ালেন। আর সেই সময়ই কাকতালীয়ভাবে প্রতিভা বসুর লেখা ‘বিবাহিতা স্ত্রী’ বইটি সিনেমা করার জন্য কিনে নিলেন এক প্রযোজক। সেই টাকাও তিনি খরচ করলেন বিয়ের আয়োজনে।
তত দিনে বুদ্ধদেব বসুর মন নরম হয়েছে। তিনি বললেন, ‘এত করছ, অথচ বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রটাই লিখছ না? এসো, কী লিখতে চাও, বলো।’
সূত্র: প্রতিভা বসু, জীবনের জলছবি, পৃষ্ঠা ২০৫-২০৭
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৩ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে