খান রফিক, বরিশাল
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে নগরে চলছে ব্যাপক তোড়জোড়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করবে প্রশাসন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ লঞ্চে লোকজন নিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। মহাসড়কে সাজসজ্জারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেতু উদ্বোধনের পর যে সড়ক দিয়ে যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হবে, সে মহাসড়কই প্রস্তুত নয়। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়ক অপ্রশস্ত। অনেক জায়গায় বেদখল হয়ে গেছে।
বিশেষ করে নগরের মধ্যে ১২ কিলোমিটারে যানজটের আশঙ্কায় চিন্তিত প্রশাসন। গত সোমবার এ উপলক্ষে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের এক সভায় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগমুহূর্তেও অপ্রশস্ত সড়ক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
ওই সভায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘পদ্মা ব্রিজ খুলে দিচ্ছে অথচ আমাদের সড়ক প্রস্তুত নেই। এই মহাসড়ক বড় করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের যথেষ্ট জায়গা আছে। এটি প্রশস্তকরণে সিটি করপোরেশন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’ মেয়র জানান, দরকার হলে মহাসড়কের পাশে তাঁর মায়ের নামে নির্মিতব্য শাহান আরা বেগম পার্কও সরিয়ে নেবেন। মেয়র বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে সার্ভে করে দেখেছি, কোনো কোনো স্পট সরু এবং যানজট বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নগরের মধ্যে এসব স্পট আমি ভেঙে দেব, আপনারা (সওজ) সড়ক বড় করে দেবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের তো ভোট লাগে, আপনাদের লাগে না। পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে। সুতরাং মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ আমি করবই।’
স্থানীয় ঠিকাদার মাহফুজ খান বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর এই মহাসড়কে দুর্যোগপূর্ণ সময় ঘনিয়ে আসছে। দুর্ঘটনা এড়াতে অনতিবিলম্বে গড়িয়ারপার থেকে কালিজিরা এবং দপদপিয়া পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করা দরকার। এ জন্য নথুল্লাবাদ, আমতলার মোড় সংস্কার করা জরুরি।
তবে সভায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম আজাদ বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পরে জনজীবনের যে পরিবর্তন হবে, তা বাস্তবায়ন করার প্রধান মাধ্যম যোগাযোগব্যবস্থা। এর ফলে ট্রাফিক ভলিউম সামাল দিতে ফরিদপুর, বরিশাল, কুয়াকাটা পর্যন্ত চার লেন করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের কাজও চলমান। তবে এটি সময়সাপেক্ষ।
এ কে এম আজাদ জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে যেসব জায়গায় যানজট হতে পারে ও সরু, এটি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজারগুলো ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে। সার্ভে করে বাজারের অংশগুলোকে ১২ ফুট করে প্রশস্ত করা দরকার। ক্রসিং রোড নিয়ে কাজ করবেন। ওই প্রক্রিয়ায় নগরের মধ্যেও প্রশস্তকরণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নগরের মধ্যের অংশ সার্ভে করে কতটা প্রশস্ত করা যায়, তার কাজ চলছে। তবে এ বিষয়ে অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। দুই-এক মাসে সড়ক প্রশস্তকরণ সম্ভব হবে না।
এর জবাবে মেয়র সাদিক বলেন, এটা তো বহু আগেই করার কথা ছিল, এত দিনে প্রশস্ত করা হলো না কেন। নগরের মধ্যে মাঝখানের ডিভাইডারও ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যানবাহন নিরবচ্ছিন্নভাবে না চললে এর ভোগান্তি পুরো নগরবাসীকে পোহাতে হবে। এ রুটে প্রায় ১ হাজার নতুন বাস নামতে পারে। এই চাপ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত নই।’
এদিকে সোমবার বিকেলে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের এক প্রস্তুতি সভায় জানানো হয়, সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে ২৫ জুন নগরে শোভাযাত্রা বের করা হবে। পরে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ডিজিটাল ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করা হবে। নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে করা হবে আলোকসজ্জা। বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) প্রলয় চিসিম।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
অপরদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে নগরে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। কাউনিয়া থানার অধীন বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে নগরে চলছে ব্যাপক তোড়জোড়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করবে প্রশাসন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ লঞ্চে লোকজন নিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। মহাসড়কে সাজসজ্জারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেতু উদ্বোধনের পর যে সড়ক দিয়ে যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হবে, সে মহাসড়কই প্রস্তুত নয়। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়ক অপ্রশস্ত। অনেক জায়গায় বেদখল হয়ে গেছে।
বিশেষ করে নগরের মধ্যে ১২ কিলোমিটারে যানজটের আশঙ্কায় চিন্তিত প্রশাসন। গত সোমবার এ উপলক্ষে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের এক সভায় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগমুহূর্তেও অপ্রশস্ত সড়ক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
ওই সভায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘পদ্মা ব্রিজ খুলে দিচ্ছে অথচ আমাদের সড়ক প্রস্তুত নেই। এই মহাসড়ক বড় করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের যথেষ্ট জায়গা আছে। এটি প্রশস্তকরণে সিটি করপোরেশন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’ মেয়র জানান, দরকার হলে মহাসড়কের পাশে তাঁর মায়ের নামে নির্মিতব্য শাহান আরা বেগম পার্কও সরিয়ে নেবেন। মেয়র বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে সার্ভে করে দেখেছি, কোনো কোনো স্পট সরু এবং যানজট বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নগরের মধ্যে এসব স্পট আমি ভেঙে দেব, আপনারা (সওজ) সড়ক বড় করে দেবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের তো ভোট লাগে, আপনাদের লাগে না। পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে। সুতরাং মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ আমি করবই।’
স্থানীয় ঠিকাদার মাহফুজ খান বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর এই মহাসড়কে দুর্যোগপূর্ণ সময় ঘনিয়ে আসছে। দুর্ঘটনা এড়াতে অনতিবিলম্বে গড়িয়ারপার থেকে কালিজিরা এবং দপদপিয়া পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করা দরকার। এ জন্য নথুল্লাবাদ, আমতলার মোড় সংস্কার করা জরুরি।
তবে সভায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম আজাদ বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পরে জনজীবনের যে পরিবর্তন হবে, তা বাস্তবায়ন করার প্রধান মাধ্যম যোগাযোগব্যবস্থা। এর ফলে ট্রাফিক ভলিউম সামাল দিতে ফরিদপুর, বরিশাল, কুয়াকাটা পর্যন্ত চার লেন করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের কাজও চলমান। তবে এটি সময়সাপেক্ষ।
এ কে এম আজাদ জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে যেসব জায়গায় যানজট হতে পারে ও সরু, এটি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজারগুলো ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে। সার্ভে করে বাজারের অংশগুলোকে ১২ ফুট করে প্রশস্ত করা দরকার। ক্রসিং রোড নিয়ে কাজ করবেন। ওই প্রক্রিয়ায় নগরের মধ্যেও প্রশস্তকরণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নগরের মধ্যের অংশ সার্ভে করে কতটা প্রশস্ত করা যায়, তার কাজ চলছে। তবে এ বিষয়ে অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। দুই-এক মাসে সড়ক প্রশস্তকরণ সম্ভব হবে না।
এর জবাবে মেয়র সাদিক বলেন, এটা তো বহু আগেই করার কথা ছিল, এত দিনে প্রশস্ত করা হলো না কেন। নগরের মধ্যে মাঝখানের ডিভাইডারও ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যানবাহন নিরবচ্ছিন্নভাবে না চললে এর ভোগান্তি পুরো নগরবাসীকে পোহাতে হবে। এ রুটে প্রায় ১ হাজার নতুন বাস নামতে পারে। এই চাপ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত নই।’
এদিকে সোমবার বিকেলে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের এক প্রস্তুতি সভায় জানানো হয়, সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে ২৫ জুন নগরে শোভাযাত্রা বের করা হবে। পরে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ডিজিটাল ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করা হবে। নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে করা হবে আলোকসজ্জা। বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) প্রলয় চিসিম।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
অপরদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে নগরে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। কাউনিয়া থানার অধীন বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৩ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে