সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) শিল্পপ্লটে কারখানা স্থাপন করে নানামুখী সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। অনেকেই কারখানার জন্য গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনের পর পেরিয়ে গেছে মাস-বছর। তবুও মিলছে না সংযোগ, আবার যাঁরা সংযোগ পেয়েছেন চাহিদামতো তাঁদের মিলছে না সরবরাহ।
জ্বালানি খরচ যেখানে ৫ হাজার টাকা হওয়ার কথা, সেখানে গ্যাসসংযোগ না থাকার কারণে খরচ হচ্ছে ২০ হাজার টাকা। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছেন উদ্যোক্তারা। লোকসানের ঘানি টেনে অনেকেরই ব্যবসা ছাড়ার উপক্রম।
জানা যায়, বছরে প্লটের প্রতিস্কয়ার ফুটে ২ টাকা ৫০ পয়সা হারে সার্ভিসচার্জ নিলেও সরকারনির্ধারিত সেবা দিতে ব্যর্থ বিসিক কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি কারখানার সামনের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করতে হচ্ছে নিজ উদ্যোগে। তা ছাড়া ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের।
ভুক্তভোগী শিল্পোদ্যোক্তারা জানান, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ড্রেনেজ সমস্যা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান শুরু করতে গিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অনুমতি নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা ও ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা নতুন উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে অন্যতম বাধা। যেকোনো জটিলতা সমাধানে ঘুষ ছাড়া চলে না। অনেক সময় দ্রুত কাজটি সমাধা করার জন্য বাধ্য হয়ে ঘুষ দিলেও সেবা পাই না। এভাবে চললে দেশীয় উৎপাদন খাত একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।
জানা গেছে, সরকারি উদ্যোগে ১৯৮৭ সালে কিশোরগঞ্জ বিসিক প্রতিষ্ঠা হলেও এখনো পায়নি পূর্ণাঙ্গ রূপ। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া এলাকায় প্রায় ১৫ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত বিসিক শিল্পনগরীতে রয়েছে ১৫০টি প্লট। বরাদ্দ দেওয়া মোট ৬৭টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে মাত্র ৩৩টি ইউনিট। ৩৪টি ইউনিট এখনো উৎপাদনে যেতে পারেনি। বন্ধ বা অসচল অবস্থায় রয়েছে সাতটি ইউনিট। এ ছাড়া বাতিল হওয়া ১০টি প্লটের উদ্যোক্তাদের করা মামলার আপিল চলছে।
সূত্র জানায়, বেশির ভাগ প্লট অব্যবসায়ীদের হাতে। ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় উৎপাদনে না যাওয়া প্লট বাতিল করলেও অদৃশ্য শক্তির বলে তাঁরা প্লট ফিরে পান। এমনকি ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিনিধি নেই, নেই কোনো ওয়ানস্টপ সার্ভিস।
বিসিক শিল্পনগরী মালিক সমিতির সভাপতি ও এমএম খান ফুডসের স্বত্বাধিকারী আজমল খান জানান, ‘কিশোরগঞ্জে শিল্প উদ্যোক্তার অভাব নেই, অভাব হলো পরিবেশের।
আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।’
কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান বেলাল জানান, বিসিক শিল্পনগরীতে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক তা বিসিক কর্তৃপক্ষ চান না, তাঁরা দাবিয়ে রাখতে চান। বিসিক সহযোগিতা না করলে আমাদের কিছুই করার নেই।
কিশোরগঞ্জ বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শেখ মো. সোহরাব উদ্দিন বলেন, বিসিক শিল্পনগরীর উন্নয়নে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ পরিকল্পনায় গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) শিল্পপ্লটে কারখানা স্থাপন করে নানামুখী সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। অনেকেই কারখানার জন্য গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনের পর পেরিয়ে গেছে মাস-বছর। তবুও মিলছে না সংযোগ, আবার যাঁরা সংযোগ পেয়েছেন চাহিদামতো তাঁদের মিলছে না সরবরাহ।
জ্বালানি খরচ যেখানে ৫ হাজার টাকা হওয়ার কথা, সেখানে গ্যাসসংযোগ না থাকার কারণে খরচ হচ্ছে ২০ হাজার টাকা। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছেন উদ্যোক্তারা। লোকসানের ঘানি টেনে অনেকেরই ব্যবসা ছাড়ার উপক্রম।
জানা যায়, বছরে প্লটের প্রতিস্কয়ার ফুটে ২ টাকা ৫০ পয়সা হারে সার্ভিসচার্জ নিলেও সরকারনির্ধারিত সেবা দিতে ব্যর্থ বিসিক কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি কারখানার সামনের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করতে হচ্ছে নিজ উদ্যোগে। তা ছাড়া ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের।
ভুক্তভোগী শিল্পোদ্যোক্তারা জানান, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ড্রেনেজ সমস্যা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান শুরু করতে গিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অনুমতি নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা ও ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা নতুন উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে অন্যতম বাধা। যেকোনো জটিলতা সমাধানে ঘুষ ছাড়া চলে না। অনেক সময় দ্রুত কাজটি সমাধা করার জন্য বাধ্য হয়ে ঘুষ দিলেও সেবা পাই না। এভাবে চললে দেশীয় উৎপাদন খাত একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।
জানা গেছে, সরকারি উদ্যোগে ১৯৮৭ সালে কিশোরগঞ্জ বিসিক প্রতিষ্ঠা হলেও এখনো পায়নি পূর্ণাঙ্গ রূপ। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া এলাকায় প্রায় ১৫ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত বিসিক শিল্পনগরীতে রয়েছে ১৫০টি প্লট। বরাদ্দ দেওয়া মোট ৬৭টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে মাত্র ৩৩টি ইউনিট। ৩৪টি ইউনিট এখনো উৎপাদনে যেতে পারেনি। বন্ধ বা অসচল অবস্থায় রয়েছে সাতটি ইউনিট। এ ছাড়া বাতিল হওয়া ১০টি প্লটের উদ্যোক্তাদের করা মামলার আপিল চলছে।
সূত্র জানায়, বেশির ভাগ প্লট অব্যবসায়ীদের হাতে। ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় উৎপাদনে না যাওয়া প্লট বাতিল করলেও অদৃশ্য শক্তির বলে তাঁরা প্লট ফিরে পান। এমনকি ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিনিধি নেই, নেই কোনো ওয়ানস্টপ সার্ভিস।
বিসিক শিল্পনগরী মালিক সমিতির সভাপতি ও এমএম খান ফুডসের স্বত্বাধিকারী আজমল খান জানান, ‘কিশোরগঞ্জে শিল্প উদ্যোক্তার অভাব নেই, অভাব হলো পরিবেশের।
আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।’
কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান বেলাল জানান, বিসিক শিল্পনগরীতে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক তা বিসিক কর্তৃপক্ষ চান না, তাঁরা দাবিয়ে রাখতে চান। বিসিক সহযোগিতা না করলে আমাদের কিছুই করার নেই।
কিশোরগঞ্জ বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শেখ মো. সোহরাব উদ্দিন বলেন, বিসিক শিল্পনগরীর উন্নয়নে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ পরিকল্পনায় গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে