ভাইরাল ভিডিও খুঁজে পাচ্ছে না যুবলীগ

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫: ৫৮
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৪২

পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমনউজ্জামান সুমনের একটি অশ্লীল ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দেড় মাস ধরে এই ফুটেজ ঘুরছে মানুষের হাতে হাতেও। অথচ ভাইরাল এই ভিডিও খুঁজে পাচ্ছে না রাজশাহী জেলা যুবলীগ। তাই সুমনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকলেও সুমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কার্যসহকারী পদে চাকরি করেন। অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সুমনের বাবা বদিউজ্জামান বদি পুঠিয়ার বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

দেড় মাস আগে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখা গেছে যুবলীগ নেতা সুমনকে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সুমন স্বীকার করেছেন, ওই ভিডিও তাঁর। সুমন দাবি করেন, ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেছিলেন।

তবে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেছেন, সুমনের বিয়ের দাবি মিথ্যা। প্রেমের ফাঁদে ফেলে সুমন তাঁর সঙ্গে মেলামেশা করেন। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা এবং গয়না হাতিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে এক লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। কিছুদিন আগে আবার টাকার জন্য চাপ দেন। টাকা না দিলে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন। এরপরই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ায়। তিনি বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সুমনের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে এবার তাঁর বাবা বদিউজ্জামান বদি বেলপুকুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি প্রচার চালাচ্ছেন।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার কথা শুনলেও সুমনকে শোকজ না করার কথা স্বীকার করেছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ। তিনি বলেন, ‘ভিডিওর কথা শুনেছি, মামলা হয়েছে সেটিও জানি। কিন্তু ভিডিওটি দেখিনি। ভিডিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই শোকজ করিনি।’

পুঠিয়া থানার ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানিয়েছেন, সুমনের মামলাটির তদন্ত চলছে। হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জামিন নিয়ে আসায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত