ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ঝিনাইদহ। গতকাল রোববার বিকেলে শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবদার হোসেন মোল্লা প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলসহ শোডাউন করেছেন। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহীদের হাতে বড় ও লাঠি দেখা গেছে। শোডাউন শেষে কর্মী–সমর্থকেরা লাঠি হাতে মিছিলও করেন। এ ঘটনার পর অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি জানতে সাবদার হোসেন মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাঁর ছেলে সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেন মোল্লা জানান, শোডাউন না, আজ (রোববার) স্থানীয় রয়েড়ার হাট ছিল। সেখানে কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন। কর্মীদের লাঠি বহন নিয়ম লঙ্ঘন বলে স্বীকার করেন তিনি।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. আ. ছালেক বিষয়টি নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন বলছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মাত্র শুনলাম। এখনই উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে ব্যবস্থা নিতে বলছি।’
২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে। এ ছাড়া পঞ্চম ধাপে জেলার শৈলকুপায় ১২ ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৮ ইউপিতে ভোটগ্রহণ। তফসিল ঘোষণার পর থেকে চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে। সর্বশেষ গতকাল সকালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামে সম্ভাব্য দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আহত হন ২০ জন। তাঁরা ঝিনাইদহ সদর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা যায়, সম্ভাব্য দুই সদস্য প্রার্থী সাইদুল ইসলাম ও রেজাউল ইসলামের সমর্থকেরা একটি চায়ের দোকানে নির্বাচনের ভোট চাওয়া নিয়ে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁদের হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (চশমা প্রতীক) নাসির উদ্দীন মালিতার চণ্ডীপুর বাজারের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। নাসির নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে অভিযুক্ত করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। যদিও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতিকুল হাসান মাসুম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।’
১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সদর উপজেলা সাধুহাটি ইউনিয়নের বোড়াই গ্রামে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী নাজির উদ্দীনের (মোটরসাইকেল প্রতীক) প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। নাজির উদ্দিনের বক্তব্য, কয়েকজন কর্মী রাতে বোড়াই গ্রামে নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি তাঁদের বাধা দিয়ে নির্বাচনী অফিস ও চেয়ার–টেবিল ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার জন্য তিনি নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শফি উদ্দিন আহমেদ মিন্টুর সমর্থকদের দায়ী করেছেন। অভিযুক্ত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফি উদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, ‘আমার নেতা–কর্মীরা কোনো প্রচার অফিস ভাঙচুর করেননি।’
৭ ডিসেম্বর বিকেলে শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন। বিক্ষুব্ধ সমর্থকেরা ৩টি মোটরসাইকেলে পুড়িয়ে দেন।
এ নিয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সদর থানার ওসি শেখ মো. সোহেল রানা জানান, এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বিভিন্ন স্থানে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চড়–থাপ্পড়ের মতো ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেছে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কয়েক স্থানে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ঝিনাইদহ। গতকাল রোববার বিকেলে শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবদার হোসেন মোল্লা প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলসহ শোডাউন করেছেন। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহীদের হাতে বড় ও লাঠি দেখা গেছে। শোডাউন শেষে কর্মী–সমর্থকেরা লাঠি হাতে মিছিলও করেন। এ ঘটনার পর অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি জানতে সাবদার হোসেন মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাঁর ছেলে সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেন মোল্লা জানান, শোডাউন না, আজ (রোববার) স্থানীয় রয়েড়ার হাট ছিল। সেখানে কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন। কর্মীদের লাঠি বহন নিয়ম লঙ্ঘন বলে স্বীকার করেন তিনি।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. আ. ছালেক বিষয়টি নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন বলছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মাত্র শুনলাম। এখনই উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে ব্যবস্থা নিতে বলছি।’
২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে। এ ছাড়া পঞ্চম ধাপে জেলার শৈলকুপায় ১২ ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৮ ইউপিতে ভোটগ্রহণ। তফসিল ঘোষণার পর থেকে চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে। সর্বশেষ গতকাল সকালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামে সম্ভাব্য দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আহত হন ২০ জন। তাঁরা ঝিনাইদহ সদর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা যায়, সম্ভাব্য দুই সদস্য প্রার্থী সাইদুল ইসলাম ও রেজাউল ইসলামের সমর্থকেরা একটি চায়ের দোকানে নির্বাচনের ভোট চাওয়া নিয়ে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁদের হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (চশমা প্রতীক) নাসির উদ্দীন মালিতার চণ্ডীপুর বাজারের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। নাসির নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে অভিযুক্ত করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। যদিও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতিকুল হাসান মাসুম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।’
১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সদর উপজেলা সাধুহাটি ইউনিয়নের বোড়াই গ্রামে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী নাজির উদ্দীনের (মোটরসাইকেল প্রতীক) প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। নাজির উদ্দিনের বক্তব্য, কয়েকজন কর্মী রাতে বোড়াই গ্রামে নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি তাঁদের বাধা দিয়ে নির্বাচনী অফিস ও চেয়ার–টেবিল ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার জন্য তিনি নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শফি উদ্দিন আহমেদ মিন্টুর সমর্থকদের দায়ী করেছেন। অভিযুক্ত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফি উদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, ‘আমার নেতা–কর্মীরা কোনো প্রচার অফিস ভাঙচুর করেননি।’
৭ ডিসেম্বর বিকেলে শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন। বিক্ষুব্ধ সমর্থকেরা ৩টি মোটরসাইকেলে পুড়িয়ে দেন।
এ নিয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সদর থানার ওসি শেখ মো. সোহেল রানা জানান, এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বিভিন্ন স্থানে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চড়–থাপ্পড়ের মতো ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেছে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কয়েক স্থানে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৬ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে