বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
প্রখর রোদের মাঝেও ট্রাকের পেছনে মানুষের দীর্ঘ সারি। টিসিবির পণ্য কেনার অপেক্ষায় তাঁরা। একটু কম দামের আশায় সারিতে দাঁড়িয়েছেন অনেক নারী। এভাবে ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মিলছে মাত্র তিনটি পণ্য।
বান্দরবান শহরের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রির সময় এমন দৃশ্য দেখা যায়। জেলা সদর ও পৌরসভায় একজন ডিলার দিয়ে একেক দিন একেক এলাকায় পণ্য বিক্রি চলছে। তাই টিসিবির ট্রাক গেলে ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে ভিড় করেন উপকারভোগীরা।
রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি করছে সরকার। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রমজানের আগে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. কায়েসুর রহমান বলেন, ‘ফ্যামিলি কার্ডের’ মাধ্যমে একটি পরিবার রমজান উপলক্ষে দুই দফায় পণ্য কেনার সুযোগ পাবে। প্রথম দফায় রমজানের আগে তিনটি পণ্য বিক্রি হলেও রমজানের মধ্যে এর সঙ্গে যুক্ত হবে ছোলা। একজন দুই কেজি ছোলা কিনতে পারবেন।
জানা গেছে, গত ২০ মার্চ থেকে সারা দেশে ১ কোটি পরিবারে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রির অংশ হিসেবে বান্দরবানে এই কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন শহরের রাজার মাঠে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী ও বান্দরবানের সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিং।
বান্দরবান সদরে টিসিবির পণ্য বিক্রির সময় ট্রাকের পেছনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান ওই এলাকার লোকজন। মাত্র তিনটি পণ্য কিনতে পারলেও খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।
পৌর এলাকার বাসিন্দা আবদুল জলিল, নুরে আলম, মিনা বালা দাশ, সালমা বেগমসহ কয়েকজন বলেন, টিসিবির পণ্য কিনতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। তারপরও কিছু টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। তবে এর সঙ্গে পেঁয়াজ, আলু ও ছোলার সঙ্গে খেজুর বিক্রি হলে নিম্ন আয়ের মানুষের বড় উপকার হতো।
পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যৌথ খামার এলাকার মো. সরোয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে পণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে। এক লিটার সয়াবিন ১৭০ টাকা, এক কেজি চিনি ৭৫ থেকে ৭৮, এক কেজি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। সেখানে টিসিবির পণ্যে কিছু অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।’ রমজানের পরও এই পণ্য বিক্রি অব্যাহত রাখার দাবি জানান তিনি।
এদিকে জনপ্রতিনিধিদের করে দেওয়া ফ্যামিলি কার্ডের বাইরেও অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে। তাঁরা বলছেন, আগে কার্ড না থাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে যে কেউ পণ্য কেনার সুযোগ পেতেন। এখন কার্ড হওয়ায় প্রয়োজন থাকলেও টিসিবির পণ্য কেনার সুযোগ নেই।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও টিসিবির ডিলার সূত্রে জানা গেছে, আগে টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্মুক্তভাবে পণ্য বিক্রি হতো। এতে অনেক সময় ডিলাররা কালোবাজারে পণ্য বিক্রি করে দিতেন ও একজন ক্রেতা একাধিকবার পণ্য কেনার সুযোগ নিতেন। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে করে দেওয়া ‘ফ্যামিলি কার্ড’ পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, জনপ্রতিনিধিরা নিজ এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের তালিকা তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে জমা দেন। সে অনুযায়ী ফ্যামিলি কার্ড তৈরি করে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ব্যবসা-বাণিজ্য শাখা।
জেলা প্রশাসনের ব্যবসা-বাণিজ্য শাখা সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে মোট ৬৪ হাজার ২৪১ পরিবারকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভার জন্য ছয়জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবান পৌরসভা ও সদর উপজেলার জন্য একজন; লামা উপজেলায় দুজন, থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় একজন এবং আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় একজন করে ডিলার দেওয়া হয়।
বান্দরবান সদর ইউএনও সাবরিয়া আফরিন মোস্তফা জানান, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে একজন দুই কেজি করে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি প্যাকেজ হিসেবে কিনতে পারবেন। এর মূল্য ধরা হয়েছে ৪৬০ টাকা।
প্রখর রোদের মাঝেও ট্রাকের পেছনে মানুষের দীর্ঘ সারি। টিসিবির পণ্য কেনার অপেক্ষায় তাঁরা। একটু কম দামের আশায় সারিতে দাঁড়িয়েছেন অনেক নারী। এভাবে ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মিলছে মাত্র তিনটি পণ্য।
বান্দরবান শহরের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রির সময় এমন দৃশ্য দেখা যায়। জেলা সদর ও পৌরসভায় একজন ডিলার দিয়ে একেক দিন একেক এলাকায় পণ্য বিক্রি চলছে। তাই টিসিবির ট্রাক গেলে ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে ভিড় করেন উপকারভোগীরা।
রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি করছে সরকার। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রমজানের আগে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. কায়েসুর রহমান বলেন, ‘ফ্যামিলি কার্ডের’ মাধ্যমে একটি পরিবার রমজান উপলক্ষে দুই দফায় পণ্য কেনার সুযোগ পাবে। প্রথম দফায় রমজানের আগে তিনটি পণ্য বিক্রি হলেও রমজানের মধ্যে এর সঙ্গে যুক্ত হবে ছোলা। একজন দুই কেজি ছোলা কিনতে পারবেন।
জানা গেছে, গত ২০ মার্চ থেকে সারা দেশে ১ কোটি পরিবারে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রির অংশ হিসেবে বান্দরবানে এই কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন শহরের রাজার মাঠে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী ও বান্দরবানের সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিং।
বান্দরবান সদরে টিসিবির পণ্য বিক্রির সময় ট্রাকের পেছনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান ওই এলাকার লোকজন। মাত্র তিনটি পণ্য কিনতে পারলেও খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।
পৌর এলাকার বাসিন্দা আবদুল জলিল, নুরে আলম, মিনা বালা দাশ, সালমা বেগমসহ কয়েকজন বলেন, টিসিবির পণ্য কিনতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। তারপরও কিছু টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। তবে এর সঙ্গে পেঁয়াজ, আলু ও ছোলার সঙ্গে খেজুর বিক্রি হলে নিম্ন আয়ের মানুষের বড় উপকার হতো।
পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যৌথ খামার এলাকার মো. সরোয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে পণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে। এক লিটার সয়াবিন ১৭০ টাকা, এক কেজি চিনি ৭৫ থেকে ৭৮, এক কেজি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। সেখানে টিসিবির পণ্যে কিছু অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।’ রমজানের পরও এই পণ্য বিক্রি অব্যাহত রাখার দাবি জানান তিনি।
এদিকে জনপ্রতিনিধিদের করে দেওয়া ফ্যামিলি কার্ডের বাইরেও অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে। তাঁরা বলছেন, আগে কার্ড না থাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে যে কেউ পণ্য কেনার সুযোগ পেতেন। এখন কার্ড হওয়ায় প্রয়োজন থাকলেও টিসিবির পণ্য কেনার সুযোগ নেই।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও টিসিবির ডিলার সূত্রে জানা গেছে, আগে টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্মুক্তভাবে পণ্য বিক্রি হতো। এতে অনেক সময় ডিলাররা কালোবাজারে পণ্য বিক্রি করে দিতেন ও একজন ক্রেতা একাধিকবার পণ্য কেনার সুযোগ নিতেন। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে করে দেওয়া ‘ফ্যামিলি কার্ড’ পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, জনপ্রতিনিধিরা নিজ এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের তালিকা তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে জমা দেন। সে অনুযায়ী ফ্যামিলি কার্ড তৈরি করে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ব্যবসা-বাণিজ্য শাখা।
জেলা প্রশাসনের ব্যবসা-বাণিজ্য শাখা সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে মোট ৬৪ হাজার ২৪১ পরিবারকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভার জন্য ছয়জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবান পৌরসভা ও সদর উপজেলার জন্য একজন; লামা উপজেলায় দুজন, থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় একজন এবং আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় একজন করে ডিলার দেওয়া হয়।
বান্দরবান সদর ইউএনও সাবরিয়া আফরিন মোস্তফা জানান, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে একজন দুই কেজি করে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি প্যাকেজ হিসেবে কিনতে পারবেন। এর মূল্য ধরা হয়েছে ৪৬০ টাকা।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৬ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
৮ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে