নীলফামারী ও ডিমলা প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলায় দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্র না থাকায় খামারিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার চরাঞ্চলের প্রান্তিক পর্যায়ে দুধের দাম আশানুরূপ না পাওয়ায় গাভি পালনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন তাঁরা। বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ৪০টি খামার। ফলে এর সঙ্গে যুক্ত পাঁচ শতাধিক শ্রমিক এখন বেকার।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৪৫০টি দুগ্ধ খামার ও চরাঞ্চলের প্রান্তিক পর্যায়ে শতাধিক ছোট-বড় খামার রয়েছে। সব মিলে দেশি গাভি ৯৫ হাজার ৪৯৯টি ও খামারগুলোতে উন্নত সংকর জাতের ৪২ হাজার ৩৩৯ টিসহ মোট ৩১ হাজার ৭৬৮টি গাভি রয়েছে। এ ছাড়া একটি-দুটি করে গাভি পালনকারী ব্যক্তির সংখ্যা পাঁচ শর বেশি।
খামারিরা জানান, উপজেলায় প্রতিদিন প্রায় ৬০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত দুধ বাজারে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু শীতলীকরণ কেন্দ্র না থাকায় ক্রেতা ও সংরক্ষণের অভাবে খামারিরা হোটেল ও মিষ্টির দোকানগুলোতে প্রতি লিটার দুধ পাইকারি বিক্রি করেন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকায়। অথচ সিলিং সেন্টারে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। খড়, ভুসিসহ দানাদার খাদ্য ও ওষুধের দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধি হলেও সে তুলনায় দুধের দাম বাড়ছে না।
একই অবস্থা চরাঞ্চলের গাভির মালিকদের। তাঁরা গাভি পালনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। বছরদশেক আগে বেসরকারি একটি সংস্থা ব্র্যাক সিলিং সেন্টার স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে খামার ও প্রান্তিক গাভি পালন মালিকদের কাছ থেকে দুধ কিনত। সিলিং সেন্টারকে কেন্দ্র করে প্রচুর খামার গড়ে ওঠে। কিন্তু ২০১৪ সালে সিলিং সেন্টারটি প্রত্যাহার করে নিলে দুধের বাজার মারাত্মক হ্রাস পায়। বন্ধ হয়ে যায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা দুগ্ধবতী গাভির খামার।
ডাঙ্গারহাট গ্রামের ছোঁয়া ডেইরি খামারের মালিক ওমর ফারুক বলেন, খামারে ৩০০টি উন্নত সংকর জাতের গাভি রয়েছে তাঁর। প্রতিদিন গড়ে ৪০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। প্রতি লিটার দুধ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করেন। তাঁর মতে, প্রতি লিটার দুধে কমপক্ষে ২০ টাকা কম ধরে বিক্রি করতে হচ্ছে। শীতলীকরণ কেন্দ্র না থাকায় খামারিরা দুধের বাজারমূল্য পাচ্ছেন না।
শহিদুল ডেইরি ফার্মের মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, তাঁর খামারে ১৪টি উন্নত সংকর জাতের গাভি আছে। প্রতিদিন ১০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। কিন্তু এখানে দুধ ক্রয় বা শীতলীকরণ কেন্দ্র না থাকায় ছানা তৈরি করে বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইদুর রহমান জানান, উপজেলায় গাভি পালনের অনেক সম্ভাবনা থাকলেও দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্র না থাকায় সে সম্ভাবনা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি দুধের বাজারে ধস নামায় গাভির খামার ও ব্যক্তিপর্যায়ে গাভি পালনে উৎসাহ হারাচ্ছেন তাঁরা।
সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আফতাব উদ্দিন সরকার জানান, উপজেলায় সিলিং সেন্টার না থাকায় দুগ্ধ খামারিদের দুর্দশার কথা জাতীয় সংসদে তুলে ধরেছেন। তিনি এ উপজেলায় সরকারিভাবে একটি দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্র স্থাপনে জোর দাবি জানান।
নীলফামারীর ডিমলায় দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্র না থাকায় খামারিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার চরাঞ্চলের প্রান্তিক পর্যায়ে দুধের দাম আশানুরূপ না পাওয়ায় গাভি পালনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন তাঁরা। বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ৪০টি খামার। ফলে এর সঙ্গে যুক্ত পাঁচ শতাধিক শ্রমিক এখন বেকার।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৪৫০টি দুগ্ধ খামার ও চরাঞ্চলের প্রান্তিক পর্যায়ে শতাধিক ছোট-বড় খামার রয়েছে। সব মিলে দেশি গাভি ৯৫ হাজার ৪৯৯টি ও খামারগুলোতে উন্নত সংকর জাতের ৪২ হাজার ৩৩৯ টিসহ মোট ৩১ হাজার ৭৬৮টি গাভি রয়েছে। এ ছাড়া একটি-দুটি করে গাভি পালনকারী ব্যক্তির সংখ্যা পাঁচ শর বেশি।
খামারিরা জানান, উপজেলায় প্রতিদিন প্রায় ৬০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত দুধ বাজারে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু শীতলীকরণ কেন্দ্র না থাকায় ক্রেতা ও সংরক্ষণের অভাবে খামারিরা হোটেল ও মিষ্টির দোকানগুলোতে প্রতি লিটার দুধ পাইকারি বিক্রি করেন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকায়। অথচ সিলিং সেন্টারে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। খড়, ভুসিসহ দানাদার খাদ্য ও ওষুধের দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধি হলেও সে তুলনায় দুধের দাম বাড়ছে না।
একই অবস্থা চরাঞ্চলের গাভির মালিকদের। তাঁরা গাভি পালনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। বছরদশেক আগে বেসরকারি একটি সংস্থা ব্র্যাক সিলিং সেন্টার স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে খামার ও প্রান্তিক গাভি পালন মালিকদের কাছ থেকে দুধ কিনত। সিলিং সেন্টারকে কেন্দ্র করে প্রচুর খামার গড়ে ওঠে। কিন্তু ২০১৪ সালে সিলিং সেন্টারটি প্রত্যাহার করে নিলে দুধের বাজার মারাত্মক হ্রাস পায়। বন্ধ হয়ে যায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা দুগ্ধবতী গাভির খামার।
ডাঙ্গারহাট গ্রামের ছোঁয়া ডেইরি খামারের মালিক ওমর ফারুক বলেন, খামারে ৩০০টি উন্নত সংকর জাতের গাভি রয়েছে তাঁর। প্রতিদিন গড়ে ৪০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। প্রতি লিটার দুধ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করেন। তাঁর মতে, প্রতি লিটার দুধে কমপক্ষে ২০ টাকা কম ধরে বিক্রি করতে হচ্ছে। শীতলীকরণ কেন্দ্র না থাকায় খামারিরা দুধের বাজারমূল্য পাচ্ছেন না।
শহিদুল ডেইরি ফার্মের মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, তাঁর খামারে ১৪টি উন্নত সংকর জাতের গাভি আছে। প্রতিদিন ১০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। কিন্তু এখানে দুধ ক্রয় বা শীতলীকরণ কেন্দ্র না থাকায় ছানা তৈরি করে বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইদুর রহমান জানান, উপজেলায় গাভি পালনের অনেক সম্ভাবনা থাকলেও দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্র না থাকায় সে সম্ভাবনা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি দুধের বাজারে ধস নামায় গাভির খামার ও ব্যক্তিপর্যায়ে গাভি পালনে উৎসাহ হারাচ্ছেন তাঁরা।
সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আফতাব উদ্দিন সরকার জানান, উপজেলায় সিলিং সেন্টার না থাকায় দুগ্ধ খামারিদের দুর্দশার কথা জাতীয় সংসদে তুলে ধরেছেন। তিনি এ উপজেলায় সরকারিভাবে একটি দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্র স্থাপনে জোর দাবি জানান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে