শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
একসময় মাঠজুড়ে শুধু দেখা যেত ধানখেত। এখন সেখানে গেলে চোখে পড়ে নেপিয়ার ঘাস। তারাগঞ্জের ইকরচালী ইউনিয়নে এসেছে এই পরিবর্তন। সহজ চাষ পদ্ধতি আর উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় প্রথমে ইকরচালী গ্রামে ঘাসের চাষ শুরু হয়। ধানের চেয়ে লাভ প্রায় তিন গুণ বেশি হওয়ায় পরে অন্য গ্রামের মানুষও এতে ঝুঁকে পড়েন।
ইকরচালীতে ঢুকেই চোখে পড়ে সবুজের সমারোহ। মাঠের পর মাঠ ঘাসের খেত। কেউ ঘাস কাটছেন, কেউ আঁটি বেঁধে রিকশায় করে বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগেও এই গ্রামে ঘাসের চাষ হতো না। অন্য এলাকার মতো সবাই পড়েছিল ধান নিয়ে। কিন্তু নেপিয়ার ঘাসের চাষ যে অনেক বেশি লাভজনক, সেই বিষয়টি প্রথম ধরতে পারেন ইকরচালীর জগদীশপুরের ছাবেদ আলী। প্রথমে তিনি অন্যের জমি বর্গা নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ঘাস চাষ শুরু করেন। তাঁর সাফল্য দেখে অন্য কৃষকেরাও ধানের বদলে ঘাস চাষে নেমে পড়েন।
ছাবেদ আলী বলেন, ‘ঘাস মোর সংসারের চাকা ঘুরি দিছে। অ্যালা নিজের ৪০ শতক জমি আছে। আগোত মুই মাইনসের জমি বর্গা নিয়া ধান আবাদ করছুনুং। লাভ বেশি হওয়ায় চার বছর থাকি এক একর জমিতে ঘাসের আবাদ করুছুং। বছরে খরচ বাদে মোর ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা করি লাভ হওছে। ঝামেলা নাই, খরচ কম হওয়ায় অন্যরাও ঘাসের চাষ করোছে।’
ওকড়াবাড়ি বাজারে ঘাস বিক্রি করেন ইকরচালী গ্রামের ভুট্টু মিয়া। তিনি জানান, বছরে এক একর জমিতে দুইবার ধান চাষ করে খরচ বাদে ৪৫ হাজার টাকা আয় হয়। কিন্তু ঘাস বছরে সাতবার কেটে বিক্রি করা যায়। এতে খরচ বাদ দিয়ে বছরে এক একর জমিতে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ করা যায়।
সরকারপাড়া গ্রামের ঘাষচাষি হামিদুল ইসলাম জানান, তিনি গত বছর ৫০ শতক জমিতে ১৫ হাজার ৭০০ টাকা খরচ করে ধান চাষ করেছিলেন। এতে খরচ বাদ দিয়ে ২৩ হাজার ৯০০ টাকা লাভ হয়। আর ৫০ শতকে করেছিলেন নেপিয়ার ঘাসের চাষ। সারা বছর ধরে সেই ঘাস বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ আসে ৭৭ হাজার টাকা।
মেনানগর গ্রামে ঘাস লাগাচ্ছিলেন আজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, উঁচু জমিতে এই ঘাসের চাষ ভালো হয়। একবার লাগালে চার বছর পর্যন্ত কাটা যায়। ঘাসের গুচ্ছের দূরত্ব সাড়ে তিন থেকে চার ফুট রাখতে হয়। সারা বছর ঘাস লাগানো যায়। তবে বর্ষাকালে লাগালে ভালো হয়। লাগানোর সময় জমিতে প্রচুর গোবর সার দিতে হয়। সেই সঙ্গে ২০ দিন পর এক একরে ৫০ কেজি ইউরিয়া ও ১৫ কেজি টিএসপি সার লাগে। ঘাস ৫০ দিনের মাথায় কাটা যায়।
ইকরচালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে ইকরচালীর কৃষকেরা শুধু ধানের চাষ করতেন। কিন্তু ঘাস চাষ শুরু হওয়ার পর চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এখানকার অনেক কৃষক ধান কমিয়ে নেপিয়ার ঘাসের চাষ করছেন। লাভ বেশি হওয়ায় অন্য গ্রামের কৃষকেরাও ঘাস চাষে ঝুঁকছেন। এখানকার ঘাস বিভিন্ন উপজেলায় যাচ্ছে। গ্রামটির দেড় শতাধিক মানুষ ঘাস চাষ করছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফরহাদ নোমান বলেন, তারাগঞ্জে নেপিয়ার ঘাসের চাষ বাড়ছে। পাঁচ ইউনিয়নে চার শতাধিক মানুষ এখন বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ করছেন। প্রায় ১৮ একর জমিতে চাষ হচ্ছে। এতে গো-খাদ্যের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
একসময় মাঠজুড়ে শুধু দেখা যেত ধানখেত। এখন সেখানে গেলে চোখে পড়ে নেপিয়ার ঘাস। তারাগঞ্জের ইকরচালী ইউনিয়নে এসেছে এই পরিবর্তন। সহজ চাষ পদ্ধতি আর উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় প্রথমে ইকরচালী গ্রামে ঘাসের চাষ শুরু হয়। ধানের চেয়ে লাভ প্রায় তিন গুণ বেশি হওয়ায় পরে অন্য গ্রামের মানুষও এতে ঝুঁকে পড়েন।
ইকরচালীতে ঢুকেই চোখে পড়ে সবুজের সমারোহ। মাঠের পর মাঠ ঘাসের খেত। কেউ ঘাস কাটছেন, কেউ আঁটি বেঁধে রিকশায় করে বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগেও এই গ্রামে ঘাসের চাষ হতো না। অন্য এলাকার মতো সবাই পড়েছিল ধান নিয়ে। কিন্তু নেপিয়ার ঘাসের চাষ যে অনেক বেশি লাভজনক, সেই বিষয়টি প্রথম ধরতে পারেন ইকরচালীর জগদীশপুরের ছাবেদ আলী। প্রথমে তিনি অন্যের জমি বর্গা নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ঘাস চাষ শুরু করেন। তাঁর সাফল্য দেখে অন্য কৃষকেরাও ধানের বদলে ঘাস চাষে নেমে পড়েন।
ছাবেদ আলী বলেন, ‘ঘাস মোর সংসারের চাকা ঘুরি দিছে। অ্যালা নিজের ৪০ শতক জমি আছে। আগোত মুই মাইনসের জমি বর্গা নিয়া ধান আবাদ করছুনুং। লাভ বেশি হওয়ায় চার বছর থাকি এক একর জমিতে ঘাসের আবাদ করুছুং। বছরে খরচ বাদে মোর ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা করি লাভ হওছে। ঝামেলা নাই, খরচ কম হওয়ায় অন্যরাও ঘাসের চাষ করোছে।’
ওকড়াবাড়ি বাজারে ঘাস বিক্রি করেন ইকরচালী গ্রামের ভুট্টু মিয়া। তিনি জানান, বছরে এক একর জমিতে দুইবার ধান চাষ করে খরচ বাদে ৪৫ হাজার টাকা আয় হয়। কিন্তু ঘাস বছরে সাতবার কেটে বিক্রি করা যায়। এতে খরচ বাদ দিয়ে বছরে এক একর জমিতে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ করা যায়।
সরকারপাড়া গ্রামের ঘাষচাষি হামিদুল ইসলাম জানান, তিনি গত বছর ৫০ শতক জমিতে ১৫ হাজার ৭০০ টাকা খরচ করে ধান চাষ করেছিলেন। এতে খরচ বাদ দিয়ে ২৩ হাজার ৯০০ টাকা লাভ হয়। আর ৫০ শতকে করেছিলেন নেপিয়ার ঘাসের চাষ। সারা বছর ধরে সেই ঘাস বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ আসে ৭৭ হাজার টাকা।
মেনানগর গ্রামে ঘাস লাগাচ্ছিলেন আজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, উঁচু জমিতে এই ঘাসের চাষ ভালো হয়। একবার লাগালে চার বছর পর্যন্ত কাটা যায়। ঘাসের গুচ্ছের দূরত্ব সাড়ে তিন থেকে চার ফুট রাখতে হয়। সারা বছর ঘাস লাগানো যায়। তবে বর্ষাকালে লাগালে ভালো হয়। লাগানোর সময় জমিতে প্রচুর গোবর সার দিতে হয়। সেই সঙ্গে ২০ দিন পর এক একরে ৫০ কেজি ইউরিয়া ও ১৫ কেজি টিএসপি সার লাগে। ঘাস ৫০ দিনের মাথায় কাটা যায়।
ইকরচালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে ইকরচালীর কৃষকেরা শুধু ধানের চাষ করতেন। কিন্তু ঘাস চাষ শুরু হওয়ার পর চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এখানকার অনেক কৃষক ধান কমিয়ে নেপিয়ার ঘাসের চাষ করছেন। লাভ বেশি হওয়ায় অন্য গ্রামের কৃষকেরাও ঘাস চাষে ঝুঁকছেন। এখানকার ঘাস বিভিন্ন উপজেলায় যাচ্ছে। গ্রামটির দেড় শতাধিক মানুষ ঘাস চাষ করছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফরহাদ নোমান বলেন, তারাগঞ্জে নেপিয়ার ঘাসের চাষ বাড়ছে। পাঁচ ইউনিয়নে চার শতাধিক মানুষ এখন বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ করছেন। প্রায় ১৮ একর জমিতে চাষ হচ্ছে। এতে গো-খাদ্যের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে