আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাওর এলাকার এখন এক আলোচিত নাম এখলাছুর রহমান ফরাজী। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) কিংবা হাওরের কৃষকদের মধ্যে ঘুরেফিরেই আসছে এখন তাঁর নাম। সুরমা ইউনিয়নের ১৯টি পিআইসির মধ্যে ১১টিতে সভাপতি-সেক্রেটারি এখলাছ ফরাজী ও তাঁর আত্মীয়-স্বজনেরা। এখলাছুর রহমান ফরাজী উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গিরিশনগর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ১৯টি পিআইসির বরাদ্দ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। পিআইসির তালিকায় দেখা গেছে, সুরমা ইউনিয়নের ১ নম্বর পিআইসির সভাপতি এখলাছুর রহমান ফরাজি। তাঁর ভাতিজা আতাউর রহমান ও ভাগনে মাসুদ যথাক্রমে ৩ নম্বরের সভাপতি ও সেক্রেটারি। আত্মীয় শহীদুল ইসলাম ৪ নম্বর পিআইসির সাধারণ সম্পাদক। ভাতিজা আব্দুল জলিল ৭ নম্বরের সভাপতি। ভগ্নিপতি মো. রমজান আলী ২৪ নম্বরের সদস্যসচিব। ভাতিজা মোশারফ হোসেন ফরাজী ও ছোট ভাই ইলিয়াস ফরাজী যথাক্রমে ২৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিব। ভাতিজা কলিম উদ্দিন ৪০ নম্বরের সদস্যসচিব। আরেক ভগ্নিপতি রহমত উল্লাহ মানিক ৪১ নম্বর পিআইসির সদস্যসচিব।
শুধু এখলাছুর রহমান ফরাজীর আত্মীয়-স্বজন নয়, ৬ নম্বর পিআইসিতে অসুস্থ দৃষ্টিহীন জয়নাল আবেদিনকে সভাপতি করা হয়েছে। ৩৯ নম্বর পিআইসির সভাপতি করা হয়েছে মঈনুল ইসলাম নামের একজনকে। অথচ সঙ্গে যে মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে তা রাজবাড়ী জেলার এক ব্যক্তির। ৪৩ নম্বর পিআইসির সদস্যসচিব করা হয়েছে চান মিয়া নামের একজনকে। অথচ মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে আরেক ব্যক্তির।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারির আগে বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার সুরমা ইউনিয়নের কানলার হাওরে গিয়ে দেখা যায়, সময়সীমা পার হলেও ১ নম্বর পিআইসির কাজ কেবল শুরু হয়েছে। একাধিক বেড়িবাঁধে মাটি ভরাট, ঘাস লাগানো, মাটি লেবেল করা হয়নি এখনো।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সুরমা ইউনিয়নের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের চলমান কাজ ও পিআইসির অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাঁধের কারণে ফসলহানি ঘটলে এর দায়ভার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনকেই নিতে হবে।
জানতে চাইলে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সুরমা ইউনিয়ন কমিটির আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পিআইসি সিন্ডিকেটের নাটের গুরু এখলাছুর রহমান ফরাজী ও পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবু সায়েম সাফিউল ইসলাম। দুজন মিলে পিআইসির নামে সরকারের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করার পাঁয়তারা করছেন। অনেক জায়গায় অপ্রয়োজনীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বেড়িবাঁধের কাজও ভালো হয়নি। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের প্রতিবাদে আমরা আজ রোববার সকাল ১০টায় টেংরাটিলা বাজারে কৃষকদের নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছি।’
জানতে চাইলে কানলার হাওরের ১ নম্বর পিআইসির সভাপতি এখলাছুর রহমান ফরাজী সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার আত্মীয়-স্বজন দেখে পিআইসি গঠন করা হয়নি। পিআইসি গঠন করা হয়েছে কৃষক দেখে। তালিকায় যাদের নাম এসেছে সবাই কৃষক। হাওরে সবার জমি আছে।’ তিনি আরও বলেন, বাঁধের কাজ শেষ। এখন ঘাস লাগানোর কাজ চলছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী আবু সায়েম সাফিউল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা পিআইসি পায়নি তারা বিভিন্নভাবে ভুয়া ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, ‘আমরা কৃষকদের নিয়ে গণশুনানির মাধ্যমে হাওরে যাদের জমি আছে তাদের পিআইসিতে অন্তর্ভুক্ত করেছি। কারও আত্মীয়-স্বজন দেখে পিআইসি দেওয়া হয়নি।’
বাঁধের কাজের বিষয়ে দেবাংশু কুমার বলেন, ‘সময়সীমা ২০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অনেক জায়গায় স্থানীয় লোকজন মাটি দিচ্ছে না। আমরা প্রশাসনিকভাবে হস্তক্ষেপ করে মাটির ব্যবস্থা করছি। যে কারণে সেখানে বাঁধ নির্মাণ করতে বেশি সময় লাগছে।’
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাওর এলাকার এখন এক আলোচিত নাম এখলাছুর রহমান ফরাজী। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) কিংবা হাওরের কৃষকদের মধ্যে ঘুরেফিরেই আসছে এখন তাঁর নাম। সুরমা ইউনিয়নের ১৯টি পিআইসির মধ্যে ১১টিতে সভাপতি-সেক্রেটারি এখলাছ ফরাজী ও তাঁর আত্মীয়-স্বজনেরা। এখলাছুর রহমান ফরাজী উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গিরিশনগর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ১৯টি পিআইসির বরাদ্দ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। পিআইসির তালিকায় দেখা গেছে, সুরমা ইউনিয়নের ১ নম্বর পিআইসির সভাপতি এখলাছুর রহমান ফরাজি। তাঁর ভাতিজা আতাউর রহমান ও ভাগনে মাসুদ যথাক্রমে ৩ নম্বরের সভাপতি ও সেক্রেটারি। আত্মীয় শহীদুল ইসলাম ৪ নম্বর পিআইসির সাধারণ সম্পাদক। ভাতিজা আব্দুল জলিল ৭ নম্বরের সভাপতি। ভগ্নিপতি মো. রমজান আলী ২৪ নম্বরের সদস্যসচিব। ভাতিজা মোশারফ হোসেন ফরাজী ও ছোট ভাই ইলিয়াস ফরাজী যথাক্রমে ২৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিব। ভাতিজা কলিম উদ্দিন ৪০ নম্বরের সদস্যসচিব। আরেক ভগ্নিপতি রহমত উল্লাহ মানিক ৪১ নম্বর পিআইসির সদস্যসচিব।
শুধু এখলাছুর রহমান ফরাজীর আত্মীয়-স্বজন নয়, ৬ নম্বর পিআইসিতে অসুস্থ দৃষ্টিহীন জয়নাল আবেদিনকে সভাপতি করা হয়েছে। ৩৯ নম্বর পিআইসির সভাপতি করা হয়েছে মঈনুল ইসলাম নামের একজনকে। অথচ সঙ্গে যে মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে তা রাজবাড়ী জেলার এক ব্যক্তির। ৪৩ নম্বর পিআইসির সদস্যসচিব করা হয়েছে চান মিয়া নামের একজনকে। অথচ মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে আরেক ব্যক্তির।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারির আগে বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার সুরমা ইউনিয়নের কানলার হাওরে গিয়ে দেখা যায়, সময়সীমা পার হলেও ১ নম্বর পিআইসির কাজ কেবল শুরু হয়েছে। একাধিক বেড়িবাঁধে মাটি ভরাট, ঘাস লাগানো, মাটি লেবেল করা হয়নি এখনো।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সুরমা ইউনিয়নের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের চলমান কাজ ও পিআইসির অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাঁধের কারণে ফসলহানি ঘটলে এর দায়ভার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনকেই নিতে হবে।
জানতে চাইলে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সুরমা ইউনিয়ন কমিটির আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পিআইসি সিন্ডিকেটের নাটের গুরু এখলাছুর রহমান ফরাজী ও পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবু সায়েম সাফিউল ইসলাম। দুজন মিলে পিআইসির নামে সরকারের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করার পাঁয়তারা করছেন। অনেক জায়গায় অপ্রয়োজনীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বেড়িবাঁধের কাজও ভালো হয়নি। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের প্রতিবাদে আমরা আজ রোববার সকাল ১০টায় টেংরাটিলা বাজারে কৃষকদের নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছি।’
জানতে চাইলে কানলার হাওরের ১ নম্বর পিআইসির সভাপতি এখলাছুর রহমান ফরাজী সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার আত্মীয়-স্বজন দেখে পিআইসি গঠন করা হয়নি। পিআইসি গঠন করা হয়েছে কৃষক দেখে। তালিকায় যাদের নাম এসেছে সবাই কৃষক। হাওরে সবার জমি আছে।’ তিনি আরও বলেন, বাঁধের কাজ শেষ। এখন ঘাস লাগানোর কাজ চলছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী আবু সায়েম সাফিউল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা পিআইসি পায়নি তারা বিভিন্নভাবে ভুয়া ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, ‘আমরা কৃষকদের নিয়ে গণশুনানির মাধ্যমে হাওরে যাদের জমি আছে তাদের পিআইসিতে অন্তর্ভুক্ত করেছি। কারও আত্মীয়-স্বজন দেখে পিআইসি দেওয়া হয়নি।’
বাঁধের কাজের বিষয়ে দেবাংশু কুমার বলেন, ‘সময়সীমা ২০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অনেক জায়গায় স্থানীয় লোকজন মাটি দিচ্ছে না। আমরা প্রশাসনিকভাবে হস্তক্ষেপ করে মাটির ব্যবস্থা করছি। যে কারণে সেখানে বাঁধ নির্মাণ করতে বেশি সময় লাগছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে