ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গত দু্ই বছর আগে মুজিব বর্ষে বিনা মূল্যে (ফ্রি) ল্যান্ডফোন সংযোগ ও পুনঃসংযোগের ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডে (বিটিসিএল) আগ্রহী গ্রাহকদের অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়।
এই ঘোষণায় মাগুরায় নতুন সংযোগ পেতে গ্রাহকদের মধ্যে আশানুরূপ আগ্রহ দেখা যায়নি।
পুরোনো সংযোগ নতুন করে পেতে গ্রাহকের সাড়াও কম। এমনকি গত দেড় বছরেও বিনা মূল্যে সংযোগ বিষয়টি জানেন না আগ্রহীরা। বিটিসিএলের হারানো গৌরব ফেরানোসহ আরও বেশি লাভজনক হবে প্রতিষ্ঠানটি এই লক্ষ্যেই বিনা মূল্যে সংযোগ দেওয়ার প্যাকেজটি চালুর কথা বলেছিল সংস্থাটি।
২০২০ সালে বিনা মূল্যে টেলিফোন সংযোগ ঘোষণাটি সাধারণ মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়নি বলে জানান এক গ্রাহক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই গ্রাহক বলেন, আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছিলাম। ওই অফিসে পরিচিত ছিল একজন। তাঁকে বলে অনলাইনে আবেদন করি। কিছুদিন পরে আমার সংযোগটি দিয়ে দেয়। নতুন সংযোগ নেওয়ার পর জানতে পারি ন্যূনতম ৩০০ টাকা চার্জ দিতে হবে। তবে আমার দেখাদেখি অনেকে আগ্রহ দেখালেও তাঁরা বিষয়টি একেবারেই জানেন না বলে জেনেছি। সংস্থ্যটি যদি মাগুরার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করত তবে গ্রাহক বৃদ্ধি পেত।
এক সময় নিয়মিত টেলিফোন ব্যবহার করে বাদ দেওয়া এক গ্রাহক জুয়েল। তিনি আবার নতুন করে সংযোগ নিয়ে জানান, টেলিফোন লাইন বিনামূল্যে সংযোগ নেওয়ার বিষয়টি জেনে আমি নিয়েছি। বিষয়টি বেশি করে প্রচার হলে আরও অনেকে নিতেন। সার্ভিস ভালো, যা আগে ছিল না। সবকিছু ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেখে সংযোগ নিতে আগ্রহী হয়েছে।
মাগুরা শহরের ব্যবসায়ী রমজানুল মিয়া জানান, মোবাইলের সময়ে টেলিফোন সংযোগ বিনা মূল্যে কে নেবে! তবে বাড়িতে সংযোগ নেওয়ার আগ্রহ তাঁর আছে। বিষয়টি তিনি একেবারেই জানেন না বলে এই প্রতিবেদককে জানান।
মাগুরা শহরের ভায়না এলাকার পশ্চিম পার্শ্বে বিটিসিএলের কার্যালয়। আগে টেলিফোন ভবন নামে ছিল বলে সেই নামেই অনেকে চেনেন। কার্যালয়ের প্রধান সহকারী দেবদাস বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে জানান, মুজিব বর্ষে তাঁরা কিছু নতুন গ্রাহক পেয়েছেন। বিনামূল্যে সংযোগ বলে অনেকে এখনো আবেদন করছেন। ২০২০ সালের ২০ জুলাই মাগুরায় মুজিবর্ষে বিনামূল্যে টেলিফোন সংযোগের কাজ শুরু হয়। ওই দিনেই আমাদের ৭টি আবেদন জমা পরে।
কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তই দেড় বছরে মুজিবর্ষের এই প্যাকেজে মোট ৬৭টি নতুন গ্রাহক পান তাঁরা। জেলায় চার উপজেলায় এই নতুন গ্রাহকদের বেশির ভাগই শহর এলাকায় বলে তিনি জানা গেছে। তবে অনলাইনে আবেদন অনেকেই করেছেন। সংস্থাটির নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করা গ্রাহকের এলাকা টেলিফোন লাইনের আওতায় হতে হবে। সেই সঙ্গে সংযোগ ফ্রি হলেও ৩০০ টাকা ফিস জমা দিতে হয়েছে। যা আগে ছিল ৬০০ টাকা।
প্রতি মাসে সার্ভিস চাজ ১৫০ টাকা করা হয়েছে এই প্যাকেজে। এত সুবিধা থাকার পরেও দেড় বছরে একশত গ্রাহক ও পাইনি জেলা কার্যালয়। তবে ইন্টারনেটের সংযোগ এই একই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে গ্রাহককে। যা আগের তুলনায় অনেকটা বেশি বলে তারা বলছেন। এই দেড় বছরে বিটিসিএলের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ২৫২ জন। এর মধ্যে সরকারি সংযোগসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও কিছু শিক্ষার্থীরা রয়েছে।
মাগুরা বিটিসিএল এর সহকারী ম্যানেজার, (টেলিকম, মাগুরা-নড়াইল দায়িত্বপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান গতকাল বুধবার মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে জানান, মাগুরায় এখন মোট ল্যান্ডফোন সংযোগের গ্রাহক ৯৬৪ জন। মুজিব বর্ষে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে বিনামূল্যে টেলিফোন সংযোগ দেওয়া হবে তা প্রচার করেছি। এরপর কিছু নতুন গ্রাহক পেয়েছি। তবে আরও বেশি গ্রাহক হতে পারত বলে আমার ধারণা।
তিনি আরও জানান, আগের থেকে আমাদের সেবা অনেক আধুনিক হয়েছে। এতে নতুন গ্রাহকেরা সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে আমরা আশা করছি আরও গ্রাহক তৈরি হবে। ইন্টারনেটের গতি আমাদের সব সময় বেশি। মাসে মাত্র ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএস আমাদের। গ্রাহকেরা সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গত দু্ই বছর আগে মুজিব বর্ষে বিনা মূল্যে (ফ্রি) ল্যান্ডফোন সংযোগ ও পুনঃসংযোগের ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডে (বিটিসিএল) আগ্রহী গ্রাহকদের অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়।
এই ঘোষণায় মাগুরায় নতুন সংযোগ পেতে গ্রাহকদের মধ্যে আশানুরূপ আগ্রহ দেখা যায়নি।
পুরোনো সংযোগ নতুন করে পেতে গ্রাহকের সাড়াও কম। এমনকি গত দেড় বছরেও বিনা মূল্যে সংযোগ বিষয়টি জানেন না আগ্রহীরা। বিটিসিএলের হারানো গৌরব ফেরানোসহ আরও বেশি লাভজনক হবে প্রতিষ্ঠানটি এই লক্ষ্যেই বিনা মূল্যে সংযোগ দেওয়ার প্যাকেজটি চালুর কথা বলেছিল সংস্থাটি।
২০২০ সালে বিনা মূল্যে টেলিফোন সংযোগ ঘোষণাটি সাধারণ মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়নি বলে জানান এক গ্রাহক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই গ্রাহক বলেন, আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছিলাম। ওই অফিসে পরিচিত ছিল একজন। তাঁকে বলে অনলাইনে আবেদন করি। কিছুদিন পরে আমার সংযোগটি দিয়ে দেয়। নতুন সংযোগ নেওয়ার পর জানতে পারি ন্যূনতম ৩০০ টাকা চার্জ দিতে হবে। তবে আমার দেখাদেখি অনেকে আগ্রহ দেখালেও তাঁরা বিষয়টি একেবারেই জানেন না বলে জেনেছি। সংস্থ্যটি যদি মাগুরার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করত তবে গ্রাহক বৃদ্ধি পেত।
এক সময় নিয়মিত টেলিফোন ব্যবহার করে বাদ দেওয়া এক গ্রাহক জুয়েল। তিনি আবার নতুন করে সংযোগ নিয়ে জানান, টেলিফোন লাইন বিনামূল্যে সংযোগ নেওয়ার বিষয়টি জেনে আমি নিয়েছি। বিষয়টি বেশি করে প্রচার হলে আরও অনেকে নিতেন। সার্ভিস ভালো, যা আগে ছিল না। সবকিছু ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেখে সংযোগ নিতে আগ্রহী হয়েছে।
মাগুরা শহরের ব্যবসায়ী রমজানুল মিয়া জানান, মোবাইলের সময়ে টেলিফোন সংযোগ বিনা মূল্যে কে নেবে! তবে বাড়িতে সংযোগ নেওয়ার আগ্রহ তাঁর আছে। বিষয়টি তিনি একেবারেই জানেন না বলে এই প্রতিবেদককে জানান।
মাগুরা শহরের ভায়না এলাকার পশ্চিম পার্শ্বে বিটিসিএলের কার্যালয়। আগে টেলিফোন ভবন নামে ছিল বলে সেই নামেই অনেকে চেনেন। কার্যালয়ের প্রধান সহকারী দেবদাস বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে জানান, মুজিব বর্ষে তাঁরা কিছু নতুন গ্রাহক পেয়েছেন। বিনামূল্যে সংযোগ বলে অনেকে এখনো আবেদন করছেন। ২০২০ সালের ২০ জুলাই মাগুরায় মুজিবর্ষে বিনামূল্যে টেলিফোন সংযোগের কাজ শুরু হয়। ওই দিনেই আমাদের ৭টি আবেদন জমা পরে।
কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তই দেড় বছরে মুজিবর্ষের এই প্যাকেজে মোট ৬৭টি নতুন গ্রাহক পান তাঁরা। জেলায় চার উপজেলায় এই নতুন গ্রাহকদের বেশির ভাগই শহর এলাকায় বলে তিনি জানা গেছে। তবে অনলাইনে আবেদন অনেকেই করেছেন। সংস্থাটির নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করা গ্রাহকের এলাকা টেলিফোন লাইনের আওতায় হতে হবে। সেই সঙ্গে সংযোগ ফ্রি হলেও ৩০০ টাকা ফিস জমা দিতে হয়েছে। যা আগে ছিল ৬০০ টাকা।
প্রতি মাসে সার্ভিস চাজ ১৫০ টাকা করা হয়েছে এই প্যাকেজে। এত সুবিধা থাকার পরেও দেড় বছরে একশত গ্রাহক ও পাইনি জেলা কার্যালয়। তবে ইন্টারনেটের সংযোগ এই একই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে গ্রাহককে। যা আগের তুলনায় অনেকটা বেশি বলে তারা বলছেন। এই দেড় বছরে বিটিসিএলের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ২৫২ জন। এর মধ্যে সরকারি সংযোগসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও কিছু শিক্ষার্থীরা রয়েছে।
মাগুরা বিটিসিএল এর সহকারী ম্যানেজার, (টেলিকম, মাগুরা-নড়াইল দায়িত্বপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান গতকাল বুধবার মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে জানান, মাগুরায় এখন মোট ল্যান্ডফোন সংযোগের গ্রাহক ৯৬৪ জন। মুজিব বর্ষে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে বিনামূল্যে টেলিফোন সংযোগ দেওয়া হবে তা প্রচার করেছি। এরপর কিছু নতুন গ্রাহক পেয়েছি। তবে আরও বেশি গ্রাহক হতে পারত বলে আমার ধারণা।
তিনি আরও জানান, আগের থেকে আমাদের সেবা অনেক আধুনিক হয়েছে। এতে নতুন গ্রাহকেরা সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে আমরা আশা করছি আরও গ্রাহক তৈরি হবে। ইন্টারনেটের গতি আমাদের সব সময় বেশি। মাসে মাত্র ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএস আমাদের। গ্রাহকেরা সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে