সম্পাদকীয়
এডিসি হারুন অর রশিদ বেদম পিটিয়েছেন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে। শাহবাগ থানার মধ্যে ঢুকিয়ে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সহযোগিতায় এই বেপরোয়া মারধর চলেছে। কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই মারপিটের ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। আমরা সেই আলোচনার মধ্যে না গিয়ে কিছু মৌলিক বিষয়ে দৃষ্টিপাত করব।
এই যে ব্যাপক আলোড়ন হলো, তার একটা বড় কারণ, এডিসি হারুন অর রশিদ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পিটিয়েছেন। তিনি যদি সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হতেন, তাহলে কি তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের এতটা মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারত?
প্রকাশিত খবরেই দেখা যাচ্ছে, কারণে-অকারণে মারমুখী হওয়া এই এডিসির স্বভাব। পুলিশ বিভাগে এহেন একজন পুলিশ অফিসারের ‘কদর’ যে ছিল, সে তো তাঁর সর্বশেষ কর্মকাণ্ডেই বোঝা যায়।
‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’—এ রকম একটি কথা প্রায়ই শোনা যায়। কখনো কখনো কোনো পুলিশ সদস্যের এমন কিছু কাজও দেখা যায়, যার কারণে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে পুলিশ সম্পর্কে জনগণের ধারণা পুরোপুরি ইতিবাচক নয়। পুলিশের দুর্নীতি, হঠকারিতা, ঘুষ ইত্যাদির খবর কিন্তু ভেসে বেড়ায় বাতাসে। পুলিশ যদি মানুষের বন্ধুই হবে, তাহলে সাধারণ মানুষ কেন পুলিশকে ভয় পাবে? কেন তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারবে না?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে অনেক গভীরে যেতে হবে। বর্তমান আলোচনায় তার অবকাশ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে পুলিশের পরিচয় হলেও আইন যদি ভাঙে ক্ষমতাবান মানুষ এবং সেই ক্ষমতাবানদের সঙ্গে যদি স্বার্থের সম্পর্ক থাকে আরও অনেক রথী-মহারথীর, তাহলে পুলিশের করণীয় কী? কিংবা সহজ করে জিজ্ঞেস করা যায়, তখন পুলিশ কী করে? প্রশ্নটা সহজ এবং উত্তরও জানা।
সরকার সমর্থনকারী ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে পুলিশের একধরনের বোঝাপড়া থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ পাওয়া যায়, এই ছাত্রসংগঠনের স্বার্থে পুলিশ বাহিনী বেপরোয়া হয়ে বিরুদ্ধপক্ষকে পেটায়, গ্রেপ্তার করে। সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠনের কোনো নেতা অন্যায় করে থাকলে পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না বলেও অভিযোগ আছে। কিন্তু কী এমন ঘটল, যার ফলে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের মধ্যে এ রকম বিরূপ সম্পর্কের সৃষ্টি হলো? পুরো গল্পের মধ্যে একজন নারী পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি ঘটনাকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই পুলিশ সদস্যের কর্তব্য, অন্যায়ের পক্ষ অবলম্বন করা নয়। সঠিক পথে ছাত্রসংগঠন করাই শিক্ষার্থীর কর্তব্য, ক্ষমতাকে পীড়নের হাতিয়ার বানানো নয়। সামগ্রিকভাবে এই দুটি শর্ত পুলিশ আর ছাত্রসংগঠন মেনে চললে দিনের পর দিন এসব খবর শুনতে হতো না। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেত জনগণ।
নির্দিষ্ট ঘটনাটিতে এডিসি হারুনের আচরণ সব ধরনের যুক্তিকে হার মানিয়েছে। এমন মানুষের এ রকম একটি পেশায় থাকার যোগ্যতা আছে কি না, তা নিয়েই তো কথা হওয়া দরকার। হারুন অর রশিদ যা করেছেন, তা ফৌজদারি অপরাধ, তাঁকে গ্রেপ্তার করেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চালানো দরকার। বিভাগীয় শাস্তি এখানে যথেষ্ট নয়।
এডিসি হারুন অর রশিদ বেদম পিটিয়েছেন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে। শাহবাগ থানার মধ্যে ঢুকিয়ে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সহযোগিতায় এই বেপরোয়া মারধর চলেছে। কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই মারপিটের ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। আমরা সেই আলোচনার মধ্যে না গিয়ে কিছু মৌলিক বিষয়ে দৃষ্টিপাত করব।
এই যে ব্যাপক আলোড়ন হলো, তার একটা বড় কারণ, এডিসি হারুন অর রশিদ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পিটিয়েছেন। তিনি যদি সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হতেন, তাহলে কি তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের এতটা মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারত?
প্রকাশিত খবরেই দেখা যাচ্ছে, কারণে-অকারণে মারমুখী হওয়া এই এডিসির স্বভাব। পুলিশ বিভাগে এহেন একজন পুলিশ অফিসারের ‘কদর’ যে ছিল, সে তো তাঁর সর্বশেষ কর্মকাণ্ডেই বোঝা যায়।
‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’—এ রকম একটি কথা প্রায়ই শোনা যায়। কখনো কখনো কোনো পুলিশ সদস্যের এমন কিছু কাজও দেখা যায়, যার কারণে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে পুলিশ সম্পর্কে জনগণের ধারণা পুরোপুরি ইতিবাচক নয়। পুলিশের দুর্নীতি, হঠকারিতা, ঘুষ ইত্যাদির খবর কিন্তু ভেসে বেড়ায় বাতাসে। পুলিশ যদি মানুষের বন্ধুই হবে, তাহলে সাধারণ মানুষ কেন পুলিশকে ভয় পাবে? কেন তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারবে না?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে অনেক গভীরে যেতে হবে। বর্তমান আলোচনায় তার অবকাশ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে পুলিশের পরিচয় হলেও আইন যদি ভাঙে ক্ষমতাবান মানুষ এবং সেই ক্ষমতাবানদের সঙ্গে যদি স্বার্থের সম্পর্ক থাকে আরও অনেক রথী-মহারথীর, তাহলে পুলিশের করণীয় কী? কিংবা সহজ করে জিজ্ঞেস করা যায়, তখন পুলিশ কী করে? প্রশ্নটা সহজ এবং উত্তরও জানা।
সরকার সমর্থনকারী ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে পুলিশের একধরনের বোঝাপড়া থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ পাওয়া যায়, এই ছাত্রসংগঠনের স্বার্থে পুলিশ বাহিনী বেপরোয়া হয়ে বিরুদ্ধপক্ষকে পেটায়, গ্রেপ্তার করে। সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠনের কোনো নেতা অন্যায় করে থাকলে পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না বলেও অভিযোগ আছে। কিন্তু কী এমন ঘটল, যার ফলে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের মধ্যে এ রকম বিরূপ সম্পর্কের সৃষ্টি হলো? পুরো গল্পের মধ্যে একজন নারী পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি ঘটনাকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই পুলিশ সদস্যের কর্তব্য, অন্যায়ের পক্ষ অবলম্বন করা নয়। সঠিক পথে ছাত্রসংগঠন করাই শিক্ষার্থীর কর্তব্য, ক্ষমতাকে পীড়নের হাতিয়ার বানানো নয়। সামগ্রিকভাবে এই দুটি শর্ত পুলিশ আর ছাত্রসংগঠন মেনে চললে দিনের পর দিন এসব খবর শুনতে হতো না। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেত জনগণ।
নির্দিষ্ট ঘটনাটিতে এডিসি হারুনের আচরণ সব ধরনের যুক্তিকে হার মানিয়েছে। এমন মানুষের এ রকম একটি পেশায় থাকার যোগ্যতা আছে কি না, তা নিয়েই তো কথা হওয়া দরকার। হারুন অর রশিদ যা করেছেন, তা ফৌজদারি অপরাধ, তাঁকে গ্রেপ্তার করেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চালানো দরকার। বিভাগীয় শাস্তি এখানে যথেষ্ট নয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে