নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দরে শ্রমিকের কাজ করেন রমজান মিয়া। তিনি বন্দরে পণ্য ওঠা-নামার কাজ করে দিনে ৩০০ টাকা পান। দুই বছর আগেও তিনি দিনে ৩০০ টাকা পেতেন। এতে কোনোরকমে সংসার চলত। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতিতে তিনি আর পেরে উঠছেন না।
এই সামান্য উপার্জনে স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা, কলেজপড়ুয়া ছোট বোনসহ ছয় সদস্যের সংসার চালাতে রমজানকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এই কষ্ট শুধু রমজান মিয়ার একার নয়, তাঁর মতো কষ্টে আছেন নাকুগাঁও স্থলবন্দরের প্রায় তিন হাজার শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
রমজানের সংসারে প্রতিদিন দুই কেজি করে মাসে চাল কিনতে হয় দেড় মণ। ৪৫ টাকা কেজি ধরে এতে ব্যয় হয় ২ হাজার ৭০০ টাকা। সংসারের জন্য সপ্তাহে দুই হাটে তিনি বাজার করেন। তাঁর হিসাবে মাসে চার কেজি ডাল লাগে।
এতে খরচ হয় ৪০০ টাকা। মাসে ৪ কেজি তেল লাগে, এতে খরচ হয় ৭২০ টাকা। আলু, মরিচ, রসুন, পেঁয়াজ, লবণ, হলুদসহ সপ্তাহে আরও ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা খরচ করতে হয়। এ ছাড়া সংসারে মাসে ১০-১২ কেজি মাছ কিনতে হয়, এতে খরচ পড়ে ২ হাজার টাকা।
ছোট বোনের লেখাপড়াসহ কলেজে যাতায়াতে অটোরিকশার ভাড়া, ছোট ছেলের জন্য দুধ, চিনি কিনতে আরও দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। এ কারণে মাস শেষে তাঁকে ধারদেনা করেই চলতে হচ্ছে।
রমজান বলেন, ‘আগে এক দিনে যে টেহা পাইতাম, অহনও সেই টেহা পাই। আগে কোনোমতো সংসার চললেও অহন সবকিছুর দাম বাড়ায় এই টেহায় মাস চলে না। মাস শেষে ধারদেনা করুন লাগে। অহন দিন পার করতে গিয়া উল্টা ঋণের বোঝাই বাড়াইতাছি।’
রমজানের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার বলেন, ‘একজন মানুষের উপার্জনে তো ছয় সদস্যের সংসার চলে না। বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। কিন্তু না কিনলেও তো চলে না।
গরু-খাসির মাংস খাওয়ার কথা তো স্বপ্নের লাহান। মাঝেমধ্যে ফার্মের মুরগির মাংস আনি। কী করমু, কষ্ট কইরাই চলন লাগে।’
নয়াবিল ইউনিয়নের কাটাবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমান বন্দরের লোড-আনলোডের কাজ করেন। বৃদ্ধ মা খোদেজা বেগম (৮০), স্ত্রী, দুই ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার। মেয়েকে সম্প্রতি বিয়ে দিয়েছেন। তাঁর সংসারের জন্য প্রতিদিন দুই কেজি চাল কিনতে হয়। মাসে তেল লাগে ৫ লিটার, ডাল লাগে ৮ কেজি, ১০-১২ কেজি মাছ কিনতে হয়। তরিতরকারি, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, লবণ, আলু, গরমমসলা, চিনি কিনতে আরও দুই হাজার টাকা খরচ পড়ে। কিন্তু দিন ৩০০ টাকা মজুরিতে কাজ করে কষ্টে সংসার চালাতে হচ্ছে তাঁকেও।
পাথর ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান রেমন বলেন, পাথর ভাঙার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা ৭ ঘণ্টা কাজ করে ২৫০ টাকা মজুরি পান এবং নাশতা বাবদ আলাদা টাকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া লোড-আনলোডের শ্রমিকেরা তাঁদের কাজ অনুযায়ী মজুরি পান ৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেলেনা পারভীন বলেন, ‘নকুগাঁওয়ে শ্রমিকদের মজুরির বিষয়টি মূলত মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সমন্বয়ে নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকেরা তাঁদের দাবি জানিয়ে যদি মালিকদের কাছ থেকে মজুরি বাড়াতে পারেন, তবে বাড়াবে।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দরে শ্রমিকের কাজ করেন রমজান মিয়া। তিনি বন্দরে পণ্য ওঠা-নামার কাজ করে দিনে ৩০০ টাকা পান। দুই বছর আগেও তিনি দিনে ৩০০ টাকা পেতেন। এতে কোনোরকমে সংসার চলত। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতিতে তিনি আর পেরে উঠছেন না।
এই সামান্য উপার্জনে স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা, কলেজপড়ুয়া ছোট বোনসহ ছয় সদস্যের সংসার চালাতে রমজানকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এই কষ্ট শুধু রমজান মিয়ার একার নয়, তাঁর মতো কষ্টে আছেন নাকুগাঁও স্থলবন্দরের প্রায় তিন হাজার শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
রমজানের সংসারে প্রতিদিন দুই কেজি করে মাসে চাল কিনতে হয় দেড় মণ। ৪৫ টাকা কেজি ধরে এতে ব্যয় হয় ২ হাজার ৭০০ টাকা। সংসারের জন্য সপ্তাহে দুই হাটে তিনি বাজার করেন। তাঁর হিসাবে মাসে চার কেজি ডাল লাগে।
এতে খরচ হয় ৪০০ টাকা। মাসে ৪ কেজি তেল লাগে, এতে খরচ হয় ৭২০ টাকা। আলু, মরিচ, রসুন, পেঁয়াজ, লবণ, হলুদসহ সপ্তাহে আরও ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা খরচ করতে হয়। এ ছাড়া সংসারে মাসে ১০-১২ কেজি মাছ কিনতে হয়, এতে খরচ পড়ে ২ হাজার টাকা।
ছোট বোনের লেখাপড়াসহ কলেজে যাতায়াতে অটোরিকশার ভাড়া, ছোট ছেলের জন্য দুধ, চিনি কিনতে আরও দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। এ কারণে মাস শেষে তাঁকে ধারদেনা করেই চলতে হচ্ছে।
রমজান বলেন, ‘আগে এক দিনে যে টেহা পাইতাম, অহনও সেই টেহা পাই। আগে কোনোমতো সংসার চললেও অহন সবকিছুর দাম বাড়ায় এই টেহায় মাস চলে না। মাস শেষে ধারদেনা করুন লাগে। অহন দিন পার করতে গিয়া উল্টা ঋণের বোঝাই বাড়াইতাছি।’
রমজানের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার বলেন, ‘একজন মানুষের উপার্জনে তো ছয় সদস্যের সংসার চলে না। বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। কিন্তু না কিনলেও তো চলে না।
গরু-খাসির মাংস খাওয়ার কথা তো স্বপ্নের লাহান। মাঝেমধ্যে ফার্মের মুরগির মাংস আনি। কী করমু, কষ্ট কইরাই চলন লাগে।’
নয়াবিল ইউনিয়নের কাটাবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমান বন্দরের লোড-আনলোডের কাজ করেন। বৃদ্ধ মা খোদেজা বেগম (৮০), স্ত্রী, দুই ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার। মেয়েকে সম্প্রতি বিয়ে দিয়েছেন। তাঁর সংসারের জন্য প্রতিদিন দুই কেজি চাল কিনতে হয়। মাসে তেল লাগে ৫ লিটার, ডাল লাগে ৮ কেজি, ১০-১২ কেজি মাছ কিনতে হয়। তরিতরকারি, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, লবণ, আলু, গরমমসলা, চিনি কিনতে আরও দুই হাজার টাকা খরচ পড়ে। কিন্তু দিন ৩০০ টাকা মজুরিতে কাজ করে কষ্টে সংসার চালাতে হচ্ছে তাঁকেও।
পাথর ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান রেমন বলেন, পাথর ভাঙার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা ৭ ঘণ্টা কাজ করে ২৫০ টাকা মজুরি পান এবং নাশতা বাবদ আলাদা টাকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া লোড-আনলোডের শ্রমিকেরা তাঁদের কাজ অনুযায়ী মজুরি পান ৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেলেনা পারভীন বলেন, ‘নকুগাঁওয়ে শ্রমিকদের মজুরির বিষয়টি মূলত মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সমন্বয়ে নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকেরা তাঁদের দাবি জানিয়ে যদি মালিকদের কাছ থেকে মজুরি বাড়াতে পারেন, তবে বাড়াবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে