মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ২৫০। এর মধ্যে শিশু ওয়ার্ডে রয়েছে ২০ শয্যা। কিন্তু কদিন ধরে হাসপাতালটিতে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকছেন আট শতাধিক। অর্থাৎ শয্যাসংখ্যার তিন গুণেরও বেশি। শুধু তাই নয়, শিশু ওয়ার্ডে ২০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে অন্তত ১৭০ শিশু, যা শয্যাসংখ্যার আট গুণ বেশি। এ ছাড়া বহির্বিভাগ থেকে দিনে অন্তত দেড় হাজার রোগী সেবা নিচ্ছেন।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে ঠান্ডাজনিত রোগীর এই চাপ দেখা গেছে হাসপাতালটিতে। এতে একদিকে শয্যা না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে শিশুসহ নানা বয়সী রোগীকে। অন্যদিকে চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্সসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শুক্রবার হাসপাতালে দেখা যায়, সব ওয়ার্ড রোগীতে ঠাসা। বারান্দা ও হাঁটার পথেও রোগীরা বিছানা বিছিয়ে সেবা নিচ্ছেন। অনেকে সিঁড়িতেও শুয়ে সেবা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল ৮৪৫ জন। এর মধ্যে মেডিসিন ওয়ার্ডেই ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৬১ জন। অন্য রোগীদের মধ্যে ২০ শয্যার ডায়রিয়া রোগী ওয়ার্ডে ভর্তি ৮৪ জন। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা শিশু ওয়ার্ডে। শিশু ওয়ার্ডে প্রায় প্রতিদিনই রোগী ভর্তি থাকে ১৭০ থেকে ১৮০ জন।
শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডটির সামনের বারান্দার মেঝেতে রোগীতে ঠাসা। কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। বারান্দার পাশে মেডিসিন ওয়ার্ডেও শিশু রোগী রাখা হয়েছে। গাদাগাদি করে সেখানে বিছানা ফেলা হয়েছে। ওয়ার্ডের ভেতরেও ভিড় দেখা গেছে। এক শয্যায় শুয়ে দুই-তিন শিশুকেও চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ৫৮ জন চিকিৎসকের স্থলে রয়েছে ৪২ জন। এ ছাড়াও সংকট রয়েছে সেবিকা ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর। কুষ্টিয়ার আশপাশের জেলা থেকেও রোগীরা সেবা নিতে আসছে এখানে। কিন্তু পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় রোগীদের সেবা দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আদর্শপাড়া এলাকা থেকে আড়াই বছরের শিশু আদ্রিতাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন লিটন আলী ও তাঁর স্ত্রী মাইসা খাতুন। মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে আদ্রিতা অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু মেয়েকে ভর্তি করার পর আরেক বিপাকে পড়েন লিটন। শয্যা তো দূরের কথা, বারান্দায় পাটি বিছিয়ে মেয়েকে কোলে নিয়েই রাত পার করেছেন লিটনের স্ত্রী।
শিশু ওয়ার্ডের নার্স আফরোজা পারভীন বলেন, ‘ছাড়পত্রের চেয়ে প্রতিদিন রোগী ভর্তির হার বেশি। শয্যার চেয়ে কয়েক গুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। এতসংখ্যক রোগীকে সামাল দিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ সাইফুল আরেফিন বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুরা বেশি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের বেশির ভাগের বয়স এক থেকে তিন বছরের মধ্যে। তাই শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর রাখতে হবে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগীর তুলনায় চিকিৎসক ও নার্স সংকট রয়েছে। মেডিসিন ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি রোগী। রোগী রাখার জন্য কোথাও তিল পরিমাণ জায়গা নেই। তবে আমরা সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ২৫০। এর মধ্যে শিশু ওয়ার্ডে রয়েছে ২০ শয্যা। কিন্তু কদিন ধরে হাসপাতালটিতে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকছেন আট শতাধিক। অর্থাৎ শয্যাসংখ্যার তিন গুণেরও বেশি। শুধু তাই নয়, শিশু ওয়ার্ডে ২০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে অন্তত ১৭০ শিশু, যা শয্যাসংখ্যার আট গুণ বেশি। এ ছাড়া বহির্বিভাগ থেকে দিনে অন্তত দেড় হাজার রোগী সেবা নিচ্ছেন।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে ঠান্ডাজনিত রোগীর এই চাপ দেখা গেছে হাসপাতালটিতে। এতে একদিকে শয্যা না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে শিশুসহ নানা বয়সী রোগীকে। অন্যদিকে চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্সসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শুক্রবার হাসপাতালে দেখা যায়, সব ওয়ার্ড রোগীতে ঠাসা। বারান্দা ও হাঁটার পথেও রোগীরা বিছানা বিছিয়ে সেবা নিচ্ছেন। অনেকে সিঁড়িতেও শুয়ে সেবা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল ৮৪৫ জন। এর মধ্যে মেডিসিন ওয়ার্ডেই ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৬১ জন। অন্য রোগীদের মধ্যে ২০ শয্যার ডায়রিয়া রোগী ওয়ার্ডে ভর্তি ৮৪ জন। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা শিশু ওয়ার্ডে। শিশু ওয়ার্ডে প্রায় প্রতিদিনই রোগী ভর্তি থাকে ১৭০ থেকে ১৮০ জন।
শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডটির সামনের বারান্দার মেঝেতে রোগীতে ঠাসা। কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। বারান্দার পাশে মেডিসিন ওয়ার্ডেও শিশু রোগী রাখা হয়েছে। গাদাগাদি করে সেখানে বিছানা ফেলা হয়েছে। ওয়ার্ডের ভেতরেও ভিড় দেখা গেছে। এক শয্যায় শুয়ে দুই-তিন শিশুকেও চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ৫৮ জন চিকিৎসকের স্থলে রয়েছে ৪২ জন। এ ছাড়াও সংকট রয়েছে সেবিকা ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর। কুষ্টিয়ার আশপাশের জেলা থেকেও রোগীরা সেবা নিতে আসছে এখানে। কিন্তু পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় রোগীদের সেবা দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আদর্শপাড়া এলাকা থেকে আড়াই বছরের শিশু আদ্রিতাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন লিটন আলী ও তাঁর স্ত্রী মাইসা খাতুন। মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে আদ্রিতা অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু মেয়েকে ভর্তি করার পর আরেক বিপাকে পড়েন লিটন। শয্যা তো দূরের কথা, বারান্দায় পাটি বিছিয়ে মেয়েকে কোলে নিয়েই রাত পার করেছেন লিটনের স্ত্রী।
শিশু ওয়ার্ডের নার্স আফরোজা পারভীন বলেন, ‘ছাড়পত্রের চেয়ে প্রতিদিন রোগী ভর্তির হার বেশি। শয্যার চেয়ে কয়েক গুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। এতসংখ্যক রোগীকে সামাল দিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ সাইফুল আরেফিন বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুরা বেশি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের বেশির ভাগের বয়স এক থেকে তিন বছরের মধ্যে। তাই শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর রাখতে হবে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগীর তুলনায় চিকিৎসক ও নার্স সংকট রয়েছে। মেডিসিন ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি রোগী। রোগী রাখার জন্য কোথাও তিল পরিমাণ জায়গা নেই। তবে আমরা সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে