আব্বাছ হোসেন, লক্ষ্মীপুর
কয়েক বছর আগেও নারকেলের ছোবড়া তেমন কাজের কিছু ছিল না। বড়জোর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। নারকেলের সেই ছোবড়াই এখন দামি জিনিস হয়ে উঠেছে। লক্ষ্মীপুরে বছরে অর্ধশত কোটি টাকার বাণিজ্য হয় নারকেলের ছোবড়া থেকে। এমনটাই জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের ছোবড়া ব্যবসায়ীরা।
নারকেলের ছোবড়া থেকে তৈরি হয় ‘কোকো ফাইবার’। যা দিয়ে সোফা, জাজিমসহ বিভিন্ন আসবাব তৈরি করা হয়। এই কাজে ব্যবহারের জন্য এখন একেকটি নারকেলের ছোবড়া পাঁচ থেকে সাত টাকায় কেনা হয়।
লক্ষ্মীপুরে কোকো ফাইবার প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রধান কেন্দ্র সদর উপজেলার দালাল বাজারে। এখানে নারকেলের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি নারকেলের ছোবড়া ঘিরে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ছোবড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা।
এ ছাড়া জেলার রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ, চরবংশী, খাসেরহাট, সদর উপজেলার মান্দারী, চন্দ্রগঞ্জ, রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া, মীরগঞ্জ, সোনাপুর, কমলনগর উপজেলা হাজিরহাট, রামগতির আলেকজান্ডার ও জমিদারহাটেও ছোবড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব এলাকায় ছোট-বড় ৩০টির মতো কারখানা রয়েছে। প্রতিটি কারখানায় নারী-পুরুষ মিলে কমপক্ষে ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করেন।
কারখানা শ্রমিক সেলিম জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে নারকেলের ছোবড়া দিয়ে জাজিম, পাপোশ, দড়ি, সোফা, চেয়ারের গদিসহ বিভিন্ন ধরনের শৌখিন ও প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরি করা হতো। বেডিং শিল্পেও ছোবড়ার ব্যবহার ছিল। আর ছোবড়া থেকে ফাইবার তৈরির সময় যে গুঁড়া পাওয়া যেত, তা কোনো কাজে লাগত না। কিন্তু এখন কোকো ফাইবার নামে ছোবড়ার আঁশ এবং কোকো ডাস্ট নামে ছোবড়ার গুঁড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজারের নারকেল ব্যবসায়ী আবদুর রহিম জানান, প্রতিটি কারখানায় প্রতিদিন কয়েক টন ছোবড়াকে আঁশে পরিণত করা হয়। ব্যাপক চাহিদা থাকায় জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতি বছর ছোবড়া প্রক্রিয়াকরণ কারখানা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছোবড়া থেকে মেশিনের সাহায্যে বের করা হয় আঁশ বা ফাইবার। এক হাজার নারকেলের ছোবড়ায় কমপক্ষে ৮০ কেজি আঁশ পাওয়া যায়।
একই এলাকার তোফায়েল আহমেদ জানান, দুই বছর আগেও প্রতিটি নারকেলের ছোবড়া কেনা হতো ৫০ পয়সা দরে। এখন তা পাঁচ-সাত টাকায় কেনা হয়। ছোবড়ার আঁশ প্রতি ২০ কেজির বান্ডিল বিক্রি হয় ৫০০-৬০০ টাকায়। প্রতিটি কারখানায় সপ্তাহে চার থেকে ছয় ট্রাক ফাইবার উৎপাদন হয়। প্রতি ট্রাকে কমপক্ষে ২০০ বান্ডিল ফাইবার বহন করা হয়।
তোফায়েল আহমেদ আরও জানান, সব খরচ বাদে একেকটি কারখানা মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করে থাকে।
লক্ষ্মীপুর বিসিক শিল্প নগরীর সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহরিয়ার ইসলাম খান বলেন, ফেলনা নারকেল ছোবড়া থেকে লক্ষ্মীপুরে অনেকগুলো কারখানা তৈরি হয়েছে। এতে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। অপ্রচলিত এ পণ্যের ব্যাপক বাজার তৈরি হওয়ায় এ জেলার অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, জেলায় ২ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে নারকেলের বাগান রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় রয়েছে নারকেল গাছ। এই এলাকা থেকে বছরে প্রায় সাড়ে ৫ থেকে ৬ কোটি শুকনো নারকেল আহরণ করা হয়। এসব নারকেলের ছোবড়া থেকে বছরে আয় হয় প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা।
কয়েক বছর আগেও নারকেলের ছোবড়া তেমন কাজের কিছু ছিল না। বড়জোর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। নারকেলের সেই ছোবড়াই এখন দামি জিনিস হয়ে উঠেছে। লক্ষ্মীপুরে বছরে অর্ধশত কোটি টাকার বাণিজ্য হয় নারকেলের ছোবড়া থেকে। এমনটাই জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের ছোবড়া ব্যবসায়ীরা।
নারকেলের ছোবড়া থেকে তৈরি হয় ‘কোকো ফাইবার’। যা দিয়ে সোফা, জাজিমসহ বিভিন্ন আসবাব তৈরি করা হয়। এই কাজে ব্যবহারের জন্য এখন একেকটি নারকেলের ছোবড়া পাঁচ থেকে সাত টাকায় কেনা হয়।
লক্ষ্মীপুরে কোকো ফাইবার প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রধান কেন্দ্র সদর উপজেলার দালাল বাজারে। এখানে নারকেলের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি নারকেলের ছোবড়া ঘিরে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ছোবড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা।
এ ছাড়া জেলার রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ, চরবংশী, খাসেরহাট, সদর উপজেলার মান্দারী, চন্দ্রগঞ্জ, রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া, মীরগঞ্জ, সোনাপুর, কমলনগর উপজেলা হাজিরহাট, রামগতির আলেকজান্ডার ও জমিদারহাটেও ছোবড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব এলাকায় ছোট-বড় ৩০টির মতো কারখানা রয়েছে। প্রতিটি কারখানায় নারী-পুরুষ মিলে কমপক্ষে ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করেন।
কারখানা শ্রমিক সেলিম জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে নারকেলের ছোবড়া দিয়ে জাজিম, পাপোশ, দড়ি, সোফা, চেয়ারের গদিসহ বিভিন্ন ধরনের শৌখিন ও প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরি করা হতো। বেডিং শিল্পেও ছোবড়ার ব্যবহার ছিল। আর ছোবড়া থেকে ফাইবার তৈরির সময় যে গুঁড়া পাওয়া যেত, তা কোনো কাজে লাগত না। কিন্তু এখন কোকো ফাইবার নামে ছোবড়ার আঁশ এবং কোকো ডাস্ট নামে ছোবড়ার গুঁড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজারের নারকেল ব্যবসায়ী আবদুর রহিম জানান, প্রতিটি কারখানায় প্রতিদিন কয়েক টন ছোবড়াকে আঁশে পরিণত করা হয়। ব্যাপক চাহিদা থাকায় জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতি বছর ছোবড়া প্রক্রিয়াকরণ কারখানা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছোবড়া থেকে মেশিনের সাহায্যে বের করা হয় আঁশ বা ফাইবার। এক হাজার নারকেলের ছোবড়ায় কমপক্ষে ৮০ কেজি আঁশ পাওয়া যায়।
একই এলাকার তোফায়েল আহমেদ জানান, দুই বছর আগেও প্রতিটি নারকেলের ছোবড়া কেনা হতো ৫০ পয়সা দরে। এখন তা পাঁচ-সাত টাকায় কেনা হয়। ছোবড়ার আঁশ প্রতি ২০ কেজির বান্ডিল বিক্রি হয় ৫০০-৬০০ টাকায়। প্রতিটি কারখানায় সপ্তাহে চার থেকে ছয় ট্রাক ফাইবার উৎপাদন হয়। প্রতি ট্রাকে কমপক্ষে ২০০ বান্ডিল ফাইবার বহন করা হয়।
তোফায়েল আহমেদ আরও জানান, সব খরচ বাদে একেকটি কারখানা মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করে থাকে।
লক্ষ্মীপুর বিসিক শিল্প নগরীর সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহরিয়ার ইসলাম খান বলেন, ফেলনা নারকেল ছোবড়া থেকে লক্ষ্মীপুরে অনেকগুলো কারখানা তৈরি হয়েছে। এতে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। অপ্রচলিত এ পণ্যের ব্যাপক বাজার তৈরি হওয়ায় এ জেলার অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, জেলায় ২ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে নারকেলের বাগান রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় রয়েছে নারকেল গাছ। এই এলাকা থেকে বছরে প্রায় সাড়ে ৫ থেকে ৬ কোটি শুকনো নারকেল আহরণ করা হয়। এসব নারকেলের ছোবড়া থেকে বছরে আয় হয় প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে