ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
মাগুরায় গত কয়েক দিন টানা বর্ষণে পাকা ধানের মাঠে পানি জমতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে এমনটা হচ্ছে বলে কৃষিবিদরা জানিয়েছেন। এতে কৃষকেরা শ্রমিক সংকটে পড়েছেন। মাঠে পানি জমতে শুরু করলেও ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছেন না তাঁরা।
মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নে ধানের আবাদ বরাবরই অন্যান্য এলাকা থেকে ফলন এবারও বেশি। গতকাল বুধবার সকালে মঘী এলাকার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ মাঠে ধান পেকে গিয়েছে। হলদে ধান খেতে জমে গেছে পানি। টানা কয়েক দিন বৃষ্টিতে এমন দুর্দশা তৈরি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকদের চিন্তা বেড়ে গেছে। বেশ কিছু ধান ক্ষেতে পানি জমায় অসুবিধায় পড়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কয়েক দিন ঢল (বৃষ্টি) নেমেছে। ধানের মাঠ আছে ৬ বিঘা। সব মিলিয়ে ভালো ধান হয়েছে। আজ নিজে ও প্রতিবেশী দুই কৃষক মিলে সকালে কাটতি বসিছি।’
কৃষক জামিল মিয়া মঘীর মাঠ থেকে বলেন, ‘বৃষ্টি বেশি হলে ক্ষতি আমাদের। এখন ধান পেকে গেছে। এটা ঘরে তুলতে হবে। আর এ রকম ঝড়ো বৃষ্টি হলি ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে তা মাগুরার কিছু স্থানীয় শ্রমিক। তাঁদের দিন হিসাবে ১ হাজার থেকে হাজার ১২শ টাকা মজুরি। এতে ধান কাটার পর বাজার পর্যন্ত নিতি হলি পোষাবে না। লস হবে।’
মঘী ইউনিয়ন ছাড়াও রাগবদাউড় ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক জানান, এবার প্রতিটি মাঠে ধান ভরা। এই পাকা ধান কাটার সময় এখন। প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে লাগে ১০-১২ জন শ্রমিক। প্রতি শ্রমিক চাইছে ১২০০ টাকা করে। তাহলে এক বিঘা ধান কাটতে দিনে ১২০০০ টাকা খরচ। ওই এক বিঘা জমিতে ধান পাওয়া যায় গড়ে ৪০ মণ। এতে বাজার হিসাবে ধানের মণ চলে ১০২০ টাকা। তাহলে প্রতি মনে শ্রমিকরে পেছনে খরচ চলে যাচ্ছে ৩০০ টাকা।
কৃষকেরা আরও জানান, সব জিনিসের দাম বেশি বাজারে। বিশেষ করে সয়াবিন তেলের দাম বেশি হওয়ায় শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় দৈনিক মজুরি হিসাবে শ্রমিক কাজে লাগানো গেছে। এখন তাঁর দ্বিগুণ। শ্রমিকেরা বলছেন তেলের দাম বেশি। মজুরির কম হলে সেই টাকায় তেল কেনার পর তাঁদের চাল, সবজি মাছ কেনা হয় না। তাই মজুরি ৬০০ টাকা থেকে এখন ১২০০ টাকাও হাঁকাচ্ছেন তাঁরা।
মাগুরা কৃষি অধিদপ্তরে উপপরিচালক ড. হায়াৎ মাহমুদ মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃষ্টিতে কৃষকদের ধানে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ ধান কাটার সময় এখন। তবে শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে। এর কারণ সব মাঠেই এক সঙ্গে বোরো ধান পেকে গেছে। বোরো ধানের ফলনও এবার ভালো বলা যায়। জেলায় এবার বোরো ধানের লক্ষ্যে মাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমি। সেখানে আবাদ হয়েছে ৩৬ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমি।
মাগুরায় গত কয়েক দিন টানা বর্ষণে পাকা ধানের মাঠে পানি জমতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে এমনটা হচ্ছে বলে কৃষিবিদরা জানিয়েছেন। এতে কৃষকেরা শ্রমিক সংকটে পড়েছেন। মাঠে পানি জমতে শুরু করলেও ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছেন না তাঁরা।
মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নে ধানের আবাদ বরাবরই অন্যান্য এলাকা থেকে ফলন এবারও বেশি। গতকাল বুধবার সকালে মঘী এলাকার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ মাঠে ধান পেকে গিয়েছে। হলদে ধান খেতে জমে গেছে পানি। টানা কয়েক দিন বৃষ্টিতে এমন দুর্দশা তৈরি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকদের চিন্তা বেড়ে গেছে। বেশ কিছু ধান ক্ষেতে পানি জমায় অসুবিধায় পড়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কয়েক দিন ঢল (বৃষ্টি) নেমেছে। ধানের মাঠ আছে ৬ বিঘা। সব মিলিয়ে ভালো ধান হয়েছে। আজ নিজে ও প্রতিবেশী দুই কৃষক মিলে সকালে কাটতি বসিছি।’
কৃষক জামিল মিয়া মঘীর মাঠ থেকে বলেন, ‘বৃষ্টি বেশি হলে ক্ষতি আমাদের। এখন ধান পেকে গেছে। এটা ঘরে তুলতে হবে। আর এ রকম ঝড়ো বৃষ্টি হলি ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে তা মাগুরার কিছু স্থানীয় শ্রমিক। তাঁদের দিন হিসাবে ১ হাজার থেকে হাজার ১২শ টাকা মজুরি। এতে ধান কাটার পর বাজার পর্যন্ত নিতি হলি পোষাবে না। লস হবে।’
মঘী ইউনিয়ন ছাড়াও রাগবদাউড় ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক জানান, এবার প্রতিটি মাঠে ধান ভরা। এই পাকা ধান কাটার সময় এখন। প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে লাগে ১০-১২ জন শ্রমিক। প্রতি শ্রমিক চাইছে ১২০০ টাকা করে। তাহলে এক বিঘা ধান কাটতে দিনে ১২০০০ টাকা খরচ। ওই এক বিঘা জমিতে ধান পাওয়া যায় গড়ে ৪০ মণ। এতে বাজার হিসাবে ধানের মণ চলে ১০২০ টাকা। তাহলে প্রতি মনে শ্রমিকরে পেছনে খরচ চলে যাচ্ছে ৩০০ টাকা।
কৃষকেরা আরও জানান, সব জিনিসের দাম বেশি বাজারে। বিশেষ করে সয়াবিন তেলের দাম বেশি হওয়ায় শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় দৈনিক মজুরি হিসাবে শ্রমিক কাজে লাগানো গেছে। এখন তাঁর দ্বিগুণ। শ্রমিকেরা বলছেন তেলের দাম বেশি। মজুরির কম হলে সেই টাকায় তেল কেনার পর তাঁদের চাল, সবজি মাছ কেনা হয় না। তাই মজুরি ৬০০ টাকা থেকে এখন ১২০০ টাকাও হাঁকাচ্ছেন তাঁরা।
মাগুরা কৃষি অধিদপ্তরে উপপরিচালক ড. হায়াৎ মাহমুদ মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃষ্টিতে কৃষকদের ধানে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ ধান কাটার সময় এখন। তবে শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে। এর কারণ সব মাঠেই এক সঙ্গে বোরো ধান পেকে গেছে। বোরো ধানের ফলনও এবার ভালো বলা যায়। জেলায় এবার বোরো ধানের লক্ষ্যে মাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমি। সেখানে আবাদ হয়েছে ৩৬ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে