খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে তৃণমূলে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে (ইউডিসি) আগ্রহ বাড়ছে সেবাগ্রহীতাদের। উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদে এই অবস্থা দেখা গেছে।

খাগড়াছড়ির ৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মধ্যে ৪টি ইউপি নিয়ে মানিকছড়ি উপজেলা। এর মধ্যে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে একজন পুরুষ ও সহকারী হিসেবে একজন মহিলা উদ্যোক্তা প্রায় ৬০ ধরনের সেবা দিচ্ছেন।

সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই মুহূর্তে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরির জন্য ডিজিটাল বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রয়োজন হচ্ছে। তাই প্রতিটি ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে অভিভাবকদের ভিড় জমছে। এক সঙ্গে অভিভাবকেরা ভিড় করায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদে সন্তানের ডিজিটাল জন্মসনদ নিতে আসা পত্রিকা বিক্রেতা (হকার) মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘অনেক বছর আগেই সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করেছি, কিন্তু ডিজিটাল করাইনি। এখন স্কুলে শিক্ষকেরা ডিজিটাল জন্ম সনদের জন্য চাপ দিচ্ছে।’

সাবেক ইউপি সদস্য শিউলি বেগম বলেন, ৫ বছর আগেও মানুষজনকে অনেকটা জোর করে জন্মসনদ করাতে হয়েছে। মৃত্যুসনদ এখনো অনেকে করেনি! সরকারি-বেসরকারি সেবা গ্রহণে জন্ম ও মৃত্যু সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর পর থেকে সবাই গুরুত্ব দিয়ে ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছে।

ইউডিসি উদ্যোক্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, শুরু থেকে মানুষ ডিজিটাল সেন্টারে আসতে না চাইলেও সম্প্রতি সেবাগ্রহীতা বাড়ছে। ইউপি চেয়ারম্যান সভাপতি হিসেবে ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন। এ ছাড়া ইউডিসির সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে।

বাটনাতলী ইউপি সচিব মো. আব্দুল হাকিম বলেন, গ্রামের সাধারণ মানুষ সরকারি সুবিধা গ্রহণ বা আবেদন করতে এখন আর সদরে যেতে হয় না। নির্ধারিত খরচে ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তারা সেই সেবা দিচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না মাহমুদ বলেন, তৃণমূলে জনগণের অবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে ইউনিয়ন পরিষদ। ফলে সরকারের ডিজিটাল সব সুবিধা জনগণের দোরগোড়া পৌঁছে দিয়ে ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।