আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হওয়া বরিশালের আগৈলঝাড়ার ১৬ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর আজও সংরক্ষণ করা হয়নি।
৭১ এর রণাঙ্গন কাঁপানো শহীদ যোদ্ধাদের দরিদ্র পরিবার সদস্যদের আর্থিক সংগতি না থাকায় বা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তাঁদের কবরগুলো আজও সংরক্ষণ না করায় মুছে যেতে বসেছে শহীদদের স্মৃতিচিহ্ন।
পরবর্তী প্রজন্ম জানবেও না দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাঁরা কে কোথায় চির নিদ্রায় শুয়ে আছেন? বছর ঘুরে বছর আসে, জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় মহান বিজয় দিবস। আর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবার সদস্যদের সংবর্ধনার নামে ভাগ্যে জোটে একটি রজনীগন্ধার ডাঁটা। বছর কয়েক হলো তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সম্মাননার ৩০০ টাকার প্রাইজবন্ড।
আর্থিক সংগতি থাকা দু–একটি পরিবার তাঁদের প্রিয়জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরটি সংরক্ষণ করতে পারলেও অধিকাংশ কবর এখনো সংরক্ষণ করা যায়নি। কারণ, দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত ওই পরিবারগুলোর ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বা রাজনৈতিক কোনো পৃষ্ঠপোষকতা।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে বিজয় দিবসের পতাকা ওড়া পর্যন্ত পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হওয়া আগৈলঝাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন গৈলা গ্রামের সিপাহি আলাউদ্দিন, শিহিপাশা গ্রামের মোস্তফা হাওলাদার, নুরুল ইসলাম হাওলাদার, মধ্য শিহিপাশা গ্রামের মান্নান মোল্লা, সেরাল গ্রামের সিপাহি সিরাজুল ইসলাম, ভালুকশী গ্রামের আব্দুল মান্নান খান, বাশাইল গ্রামের গোলাম মাওলা, সেকেন্দার আলী, আব্দুল আজিজ শিকদার, রাজিহারের বসুন্ডা গ্রামের আব্দুল হক হাওলাদার, পয়সা গ্রামের শামসুল হক, ফুল্লশ্রী গ্রামের মনসুর আহম্মদ, চাঁদত্রিশিরা গ্রামের তৈয়ব আলী বখতিয়ার, বেলুহার গ্রামের আব্দুস ছালাম, বরিয়ালী গ্রামের মহসীন আলী ও রত্নপুর গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদার।
সেরাল গ্রামের সিপাহি সিরাজুল ইসলাম বরিশালের তালতলা যুদ্ধে শহীদ হন। ওই সময় তাঁকে তাঁর কর্মস্থল বরিশালে কবর দেওয়া হয়। পরে স্বজনদের ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অর্থ সংকটের কারণে আজও তাঁর নিজ বাড়িতে প্রিয়জনের কবরটি স্থানান্তর করতে পারেননি স্বজনেরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার সিরাজুল হক সরদার বলেন, ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে ১৬ শহীদের কবরস্থান সংরক্ষণ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে ১৬ শহীদের কবরস্থান সরকার থেকে প্রকল্পের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে।’
ইউএনও আবুল হাশেম বলেন, ‘সরকারিভাবে কাঠিরা বধ্যভূমি ও কেতনার বিল সংরক্ষণের জন্য ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থানগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।’
দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হওয়া বরিশালের আগৈলঝাড়ার ১৬ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর আজও সংরক্ষণ করা হয়নি।
৭১ এর রণাঙ্গন কাঁপানো শহীদ যোদ্ধাদের দরিদ্র পরিবার সদস্যদের আর্থিক সংগতি না থাকায় বা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তাঁদের কবরগুলো আজও সংরক্ষণ না করায় মুছে যেতে বসেছে শহীদদের স্মৃতিচিহ্ন।
পরবর্তী প্রজন্ম জানবেও না দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাঁরা কে কোথায় চির নিদ্রায় শুয়ে আছেন? বছর ঘুরে বছর আসে, জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় মহান বিজয় দিবস। আর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবার সদস্যদের সংবর্ধনার নামে ভাগ্যে জোটে একটি রজনীগন্ধার ডাঁটা। বছর কয়েক হলো তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সম্মাননার ৩০০ টাকার প্রাইজবন্ড।
আর্থিক সংগতি থাকা দু–একটি পরিবার তাঁদের প্রিয়জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরটি সংরক্ষণ করতে পারলেও অধিকাংশ কবর এখনো সংরক্ষণ করা যায়নি। কারণ, দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত ওই পরিবারগুলোর ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বা রাজনৈতিক কোনো পৃষ্ঠপোষকতা।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে বিজয় দিবসের পতাকা ওড়া পর্যন্ত পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হওয়া আগৈলঝাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন গৈলা গ্রামের সিপাহি আলাউদ্দিন, শিহিপাশা গ্রামের মোস্তফা হাওলাদার, নুরুল ইসলাম হাওলাদার, মধ্য শিহিপাশা গ্রামের মান্নান মোল্লা, সেরাল গ্রামের সিপাহি সিরাজুল ইসলাম, ভালুকশী গ্রামের আব্দুল মান্নান খান, বাশাইল গ্রামের গোলাম মাওলা, সেকেন্দার আলী, আব্দুল আজিজ শিকদার, রাজিহারের বসুন্ডা গ্রামের আব্দুল হক হাওলাদার, পয়সা গ্রামের শামসুল হক, ফুল্লশ্রী গ্রামের মনসুর আহম্মদ, চাঁদত্রিশিরা গ্রামের তৈয়ব আলী বখতিয়ার, বেলুহার গ্রামের আব্দুস ছালাম, বরিয়ালী গ্রামের মহসীন আলী ও রত্নপুর গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদার।
সেরাল গ্রামের সিপাহি সিরাজুল ইসলাম বরিশালের তালতলা যুদ্ধে শহীদ হন। ওই সময় তাঁকে তাঁর কর্মস্থল বরিশালে কবর দেওয়া হয়। পরে স্বজনদের ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অর্থ সংকটের কারণে আজও তাঁর নিজ বাড়িতে প্রিয়জনের কবরটি স্থানান্তর করতে পারেননি স্বজনেরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার সিরাজুল হক সরদার বলেন, ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে ১৬ শহীদের কবরস্থান সংরক্ষণ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে ১৬ শহীদের কবরস্থান সরকার থেকে প্রকল্পের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে।’
ইউএনও আবুল হাশেম বলেন, ‘সরকারিভাবে কাঠিরা বধ্যভূমি ও কেতনার বিল সংরক্ষণের জন্য ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থানগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে