রুবায়েত হোসেন, খুবি
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ১৯ মাস বন্ধ থাকার পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে। এত দিন পর ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত। গতকাল রোববার সকাল ৯টায় বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে পাঠদান শুরু হয়।
এত দিন অনলাইনে ক্লাস চললেও এখন থেকে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া গত ১৮ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের জন্য সব আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বর, ক্যাফেটেরিয়া, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, অদম্য বাংলা ও হল রোডসংলগ্ন দোকানগুলোসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সবাই ব্যস্ত ছিলেন একে-অপরের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়, গল্প-আড্ডায়। কেউ বন্ধুর সঙ্গে বসে চা খাচ্ছেন।
আবার বন্ধুরা মিলে বসিয়েছেন গানের আসর। এ ছাড়া ক্লাসে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতায় করোনাকালে পড়ালেখার ক্ষতি পুষিয়ে স্বাভাবিক শিক্ষা ও কর্মজীবনে ফেরার প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
আইন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মো. নাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘অনেক দিন পর ক্যাম্পাস খোলায় নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। পুরোনো সবকিছু নতুন মনে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত হওয়ায় ক্যাম্পাস আবারও তার চিরচেনা রূপে ফিরে আসায় খুব ভালো লাগছে।’
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এত দিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে অনুভূতিটা অন্য রকম হচ্ছে। দেড় বছরের বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সেশনজটের মুখে পড়েছেন। হল খোলার পর ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হওয়া আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। আমরা দীর্ঘ সেশনজটের কবল থেকে রক্ষা পাব হয়তো।’
ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর প্রিয় শিক্ষক ও সহপাঠীদের ক্লাসে ফিরে পেয়ে আমরা আনন্দিত। করোনার দিনগুলো শেষে আবারও ক্যাম্পাসে গল্প-আড্ডা জমবে, ভাবতেই ভালো লাগছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) শ্রেণির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে সব বর্ষের দ্বিতীয় টার্মের চূড়ান্ত পরীক্ষা আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। যা চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দ্বিতীয় টার্মের রেজিস্ট্রেশন (জরিমানা ছাড়া) ৩১ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত, রেজিস্ট্রেশন (জরিমানাসহ) ৭ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত, রিভিউ ক্লাস চলবে ৩১ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর, পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক ছুটি (পিএল) ২১ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় টার্মের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘আমরা ১৮ তারিখ থেকে প্রাথমিকভাবে চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দিয়েছি এবং ২৬ তারিখ থেকে সব বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য হল খুলে দেওয়ায় সব আবাসিক শিক্ষার্থী হলে ফিরেছেন। মোটামুটি আগের মতো অনুভূতি হচ্ছে।
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ১৯ মাস বন্ধ থাকার পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে। এত দিন পর ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত। গতকাল রোববার সকাল ৯টায় বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে পাঠদান শুরু হয়।
এত দিন অনলাইনে ক্লাস চললেও এখন থেকে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া গত ১৮ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের জন্য সব আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বর, ক্যাফেটেরিয়া, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, অদম্য বাংলা ও হল রোডসংলগ্ন দোকানগুলোসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সবাই ব্যস্ত ছিলেন একে-অপরের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়, গল্প-আড্ডায়। কেউ বন্ধুর সঙ্গে বসে চা খাচ্ছেন।
আবার বন্ধুরা মিলে বসিয়েছেন গানের আসর। এ ছাড়া ক্লাসে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতায় করোনাকালে পড়ালেখার ক্ষতি পুষিয়ে স্বাভাবিক শিক্ষা ও কর্মজীবনে ফেরার প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
আইন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মো. নাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘অনেক দিন পর ক্যাম্পাস খোলায় নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। পুরোনো সবকিছু নতুন মনে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত হওয়ায় ক্যাম্পাস আবারও তার চিরচেনা রূপে ফিরে আসায় খুব ভালো লাগছে।’
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এত দিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে অনুভূতিটা অন্য রকম হচ্ছে। দেড় বছরের বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সেশনজটের মুখে পড়েছেন। হল খোলার পর ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হওয়া আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। আমরা দীর্ঘ সেশনজটের কবল থেকে রক্ষা পাব হয়তো।’
ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর প্রিয় শিক্ষক ও সহপাঠীদের ক্লাসে ফিরে পেয়ে আমরা আনন্দিত। করোনার দিনগুলো শেষে আবারও ক্যাম্পাসে গল্প-আড্ডা জমবে, ভাবতেই ভালো লাগছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) শ্রেণির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে সব বর্ষের দ্বিতীয় টার্মের চূড়ান্ত পরীক্ষা আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। যা চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দ্বিতীয় টার্মের রেজিস্ট্রেশন (জরিমানা ছাড়া) ৩১ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত, রেজিস্ট্রেশন (জরিমানাসহ) ৭ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত, রিভিউ ক্লাস চলবে ৩১ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর, পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক ছুটি (পিএল) ২১ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় টার্মের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘আমরা ১৮ তারিখ থেকে প্রাথমিকভাবে চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দিয়েছি এবং ২৬ তারিখ থেকে সব বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য হল খুলে দেওয়ায় সব আবাসিক শিক্ষার্থী হলে ফিরেছেন। মোটামুটি আগের মতো অনুভূতি হচ্ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে