সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
মাদারীপুরে প্রায় ১০ বছর ধরে একটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের সেতুটির বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির ওপর বাঁশের মাচা বিছিয়ে প্রায় ৫ বছর ধরে এলাকাবাসী চলাচল করছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার সেতুটি পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ কারণে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর গোবিন্দপুর গ্রামের চর গোবিন্দপুর ইউকে উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে খালের ওপর প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে ৫০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় ফরাজীকান্দি, মাঝেরকান্দি, মাদবরকান্দি, ডিগ্রি খোয়াজপুর, ভসারচরসহ ৭টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়। গত প্রায় ১০ বছর আগে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে পলেস্তারা খসে পড়ে অন্তত ৫টি স্থানে বড় গর্তের মতো হয়ে গেছে। এতে সেতুটি মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার জানানো হলেও সেতুটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চলাচলের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ৫ বছর ধরে স্থানীয়রা ভাঙা সেতুটির ওপর বাঁশের মাচা বিছিয়ে কোনোমতে হেঁটে চলাচল করছেন। একজন মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নিতে দুর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয়রা। সেতুটি ব্যবহার করে ৭টি গ্রামের শিশু-কিশোর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চর গোবিন্দপুর ইউকে উচ্চ বিদ্যালয়, ৩৬ নম্বর চর গোবিন্দপুর উত্তরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিয়াচাঁন দাখিল মাদ্রাসা, হাবিবা ইসলাম নুরানি মাদ্রাসাসহ ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে।
তথ্য মতে, সেতু পার হতে গিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৩ স্কুলশিক্ষার্থীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। প্রায় ৩ মাস আগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা সেতুটি পুনর্নির্মাণের উদ্দেশ্যে পরিদর্শন করেন। মাটি পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন হলেও এখনো সেতুটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়েই হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত মাদারীপুর শহর, স্থানীয় হাট-বাজার, স্কুল, মাদ্রাসা, হাসপাতালে যাতায়াত করছেন।
৩৬ নম্বর চর গোবিন্দপুর উত্তরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জুবায়ের হোসেন বলে, ‘আমরা যখন ব্রিজের ওপর দিয়ে আসি তখন অনেক ভয় লাগে। স্কুলে আসতে হলেতো এভাবেই আসতে হবে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করি।’
চর গোবিন্দপুর ইউকে উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সোবাহান বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে স্কুলে আসার সময় গত বছর আমার এক সহপাঠী সেতুর গর্ত দিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে গেছে। আমরা দ্রুত নতুন একটি সেতু চাই।’
স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুর রহমান মীর বলেন, ‘আইজ কয়েক বছর ধইরা আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়া এই ব্রিজ দিয়া হাঁটাচলা করি। হাট বাজারে, শহরে, হাসপাতালে যাই, পোলাপাইন স্কুলে যায়। অনেক বার চেয়ারম্যানকে বলার পরও ব্রিজটা কইরা দেয় নাই। এখন সরকারের কাছে আমাগো একটাই দাবি এই ব্রিজটা যেন তাড়াতাড়ি কইরা দেয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল মুন্সি বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে অন্তত ৭ গ্রামের ৮ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। আমরা নিজেরা মিলে ৫ বছর ধরে এভাবে বাঁশ বেঁধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করলেও দেখার মতো কেউ নেই। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সরকারি কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে গেছেন অনেক আগে, কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। এই দুর্ভোগ থেকে আমরা মুক্তি চাই।’
খোয়াজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মুন্সি বলেন, ‘এই সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য আমি আরও অনেক আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা সরেজমিন পরিদর্শন করে সেতুটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মেপে নিয়েছেন। প্রায় তিন মাস আগে সয়েল টেস্ট ও সম্পন্ন হয়েছে। যে কোনো সময় অর্থ বরাদ্দ হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করি অতি শিগগিরই সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’
মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘এই সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুনর্নির্মাণের উদ্দেশ্যে আমরা পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যে মাটি পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই নির্মাণকাজ শুরু হবে।’
মাদারীপুরে প্রায় ১০ বছর ধরে একটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের সেতুটির বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির ওপর বাঁশের মাচা বিছিয়ে প্রায় ৫ বছর ধরে এলাকাবাসী চলাচল করছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার সেতুটি পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ কারণে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর গোবিন্দপুর গ্রামের চর গোবিন্দপুর ইউকে উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে খালের ওপর প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে ৫০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় ফরাজীকান্দি, মাঝেরকান্দি, মাদবরকান্দি, ডিগ্রি খোয়াজপুর, ভসারচরসহ ৭টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়। গত প্রায় ১০ বছর আগে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে পলেস্তারা খসে পড়ে অন্তত ৫টি স্থানে বড় গর্তের মতো হয়ে গেছে। এতে সেতুটি মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার জানানো হলেও সেতুটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চলাচলের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ৫ বছর ধরে স্থানীয়রা ভাঙা সেতুটির ওপর বাঁশের মাচা বিছিয়ে কোনোমতে হেঁটে চলাচল করছেন। একজন মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নিতে দুর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয়রা। সেতুটি ব্যবহার করে ৭টি গ্রামের শিশু-কিশোর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চর গোবিন্দপুর ইউকে উচ্চ বিদ্যালয়, ৩৬ নম্বর চর গোবিন্দপুর উত্তরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিয়াচাঁন দাখিল মাদ্রাসা, হাবিবা ইসলাম নুরানি মাদ্রাসাসহ ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে।
তথ্য মতে, সেতু পার হতে গিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৩ স্কুলশিক্ষার্থীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। প্রায় ৩ মাস আগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা সেতুটি পুনর্নির্মাণের উদ্দেশ্যে পরিদর্শন করেন। মাটি পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন হলেও এখনো সেতুটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়েই হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত মাদারীপুর শহর, স্থানীয় হাট-বাজার, স্কুল, মাদ্রাসা, হাসপাতালে যাতায়াত করছেন।
৩৬ নম্বর চর গোবিন্দপুর উত্তরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জুবায়ের হোসেন বলে, ‘আমরা যখন ব্রিজের ওপর দিয়ে আসি তখন অনেক ভয় লাগে। স্কুলে আসতে হলেতো এভাবেই আসতে হবে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করি।’
চর গোবিন্দপুর ইউকে উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সোবাহান বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে স্কুলে আসার সময় গত বছর আমার এক সহপাঠী সেতুর গর্ত দিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে গেছে। আমরা দ্রুত নতুন একটি সেতু চাই।’
স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুর রহমান মীর বলেন, ‘আইজ কয়েক বছর ধইরা আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়া এই ব্রিজ দিয়া হাঁটাচলা করি। হাট বাজারে, শহরে, হাসপাতালে যাই, পোলাপাইন স্কুলে যায়। অনেক বার চেয়ারম্যানকে বলার পরও ব্রিজটা কইরা দেয় নাই। এখন সরকারের কাছে আমাগো একটাই দাবি এই ব্রিজটা যেন তাড়াতাড়ি কইরা দেয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল মুন্সি বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে অন্তত ৭ গ্রামের ৮ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। আমরা নিজেরা মিলে ৫ বছর ধরে এভাবে বাঁশ বেঁধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করলেও দেখার মতো কেউ নেই। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সরকারি কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে গেছেন অনেক আগে, কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। এই দুর্ভোগ থেকে আমরা মুক্তি চাই।’
খোয়াজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মুন্সি বলেন, ‘এই সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য আমি আরও অনেক আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা সরেজমিন পরিদর্শন করে সেতুটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মেপে নিয়েছেন। প্রায় তিন মাস আগে সয়েল টেস্ট ও সম্পন্ন হয়েছে। যে কোনো সময় অর্থ বরাদ্দ হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করি অতি শিগগিরই সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’
মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘এই সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুনর্নির্মাণের উদ্দেশ্যে আমরা পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যে মাটি পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই নির্মাণকাজ শুরু হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৩ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৫ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে