তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
দুই লেনের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১ হাজার ৩৮২ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, যা নিয়ে শুরু থেকেই দেখা দেয় জটিলতা। এর মধ্যে কিছু অংশের জমি নিয়ে সমস্যার সমাধান হলেও হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার জমি অধিগ্রহণে জটিলতা কাটছে না। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সময়মতো জমি না পেলে কাজ শুরু করতে পারবে না ঠিকাদার। এতে বাড়বে প্রকল্পের মেয়াদ। সেই সঙ্গে বাড়বে খরচও।
জানা গেছে, এই প্রকল্পের জন্য হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলায় জমি লাগবে ১ হাজার দশমিক ২০ একর। প্রয়োজনীয় ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য হবিগঞ্জ ও সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই আবেদনের চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো জমি বুঝে পায়নি তারা।
এদিকে জমি বুঝে না পাওয়ায় মহাসড়কের পাশ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ, তিতাস গ্যাস, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, বিটিসিএল, ওয়াসা ও পৌরসভার পরিষেবা লাইন সরাতে পারছেন না প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সময়মতো এসব কাজ শেষ না হলে ঠিকাদার নিয়োগের পর মাঠপর্যায়ের মূল কাজ শুরু করাটাও বাধাগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. রুকুনুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কের মূল কাজ শুরুর আগে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে বারবার বলে আসছি আমরা। কিন্তু সেখান থেকে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। এতে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে পড়বে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ না হলে মূল কাজে প্রভাব পড়বে। সময়মতো জমি না পেলে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে যাবে, খরচও বাড়বে। তবে সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে আগামী আগস্ট থেকে মূল কাজ শুরু করতে পারব।’
আঞ্চলিক যোগাযোগ ও দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ। এই পথে সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনের ২০৯ দশমিক ৩২৮ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণে ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা। সড়ক নির্মাণের কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াও শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। পুরো প্রকল্পটি ছয় প্যাকেজে ও ১৩ লটে বাস্তবায়ন করা হবে। এরই মধ্যে প্রকল্পের চারটি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার হয়ে সিলেট পর্যন্ত যাবে এই মহাসড়ক।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে করার বিষয়ে জোর দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সওজের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব জায়গায় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া এক রকম নয়। একেক জায়গার জমিতে একেক ধরনের জটিলতা আছে। তবে জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকবে না।
ঢাকা-সিলেট রুটে দুই লেনের মহাসড়কে যানবাহনের চাপ সামাল দিতে না পারায় দুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে, বিভিন্ন স্থানে যানজটও লেগে থাকে। এতে রুটের যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। এই ভোগান্তি কমাতে গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় দিকে সার্ভিসসহ ৬ লেনে উন্নতি করার জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৬ সালে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। যদি কোনো কারণে এই সময়ে কাজ শেষ না হয়, তাহলে প্রকল্পের মেয়াদ ও খরচ দুটোই বেড়ে যাবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগের সব প্রকল্প থেকে সরকারের এখন অভিজ্ঞতা নেওয়া উচিত। প্রতিটি প্রকল্পে জমি নিয়েই জটিলতা হচ্ছে। প্রকল্প শুরুর আগেই জমি অধিগ্রহণ ও পরিষেবা লাইন সরানোর জন্য আলাদা প্রকল্প নিয়ে সেগুলো চূড়ান্ত করার পর, মূল প্রকল্প দেওয়া উচিত।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটিতে যৌথভাবে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এই মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা এবং এডিবি ঋণ দিচ্ছে ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ৬৬টি সেতু, কালভার্ট ৩০৫টি, রেলওয়ে ওভারপাস ৮টি, ফুটওভার ব্রিজ ২৬টি, ইউ-টার্ন ৩৭টি, রাউন্ড অ্যাবাউট ৮টি, ভূমি অধিগ্রহণ ১ হাজার ৩৩ একর। মহাসড়কের মূল চার লেন হবে ৭ দশমিক ৩ মিটার এবং সার্ভিস লেন হবে ৫ দশমিক ৫ মিটারের।
দুই লেনের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১ হাজার ৩৮২ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, যা নিয়ে শুরু থেকেই দেখা দেয় জটিলতা। এর মধ্যে কিছু অংশের জমি নিয়ে সমস্যার সমাধান হলেও হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার জমি অধিগ্রহণে জটিলতা কাটছে না। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সময়মতো জমি না পেলে কাজ শুরু করতে পারবে না ঠিকাদার। এতে বাড়বে প্রকল্পের মেয়াদ। সেই সঙ্গে বাড়বে খরচও।
জানা গেছে, এই প্রকল্পের জন্য হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলায় জমি লাগবে ১ হাজার দশমিক ২০ একর। প্রয়োজনীয় ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য হবিগঞ্জ ও সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই আবেদনের চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো জমি বুঝে পায়নি তারা।
এদিকে জমি বুঝে না পাওয়ায় মহাসড়কের পাশ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ, তিতাস গ্যাস, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, বিটিসিএল, ওয়াসা ও পৌরসভার পরিষেবা লাইন সরাতে পারছেন না প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সময়মতো এসব কাজ শেষ না হলে ঠিকাদার নিয়োগের পর মাঠপর্যায়ের মূল কাজ শুরু করাটাও বাধাগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. রুকুনুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কের মূল কাজ শুরুর আগে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে বারবার বলে আসছি আমরা। কিন্তু সেখান থেকে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। এতে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে পড়বে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ না হলে মূল কাজে প্রভাব পড়বে। সময়মতো জমি না পেলে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে যাবে, খরচও বাড়বে। তবে সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে আগামী আগস্ট থেকে মূল কাজ শুরু করতে পারব।’
আঞ্চলিক যোগাযোগ ও দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ। এই পথে সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনের ২০৯ দশমিক ৩২৮ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণে ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা। সড়ক নির্মাণের কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াও শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। পুরো প্রকল্পটি ছয় প্যাকেজে ও ১৩ লটে বাস্তবায়ন করা হবে। এরই মধ্যে প্রকল্পের চারটি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার হয়ে সিলেট পর্যন্ত যাবে এই মহাসড়ক।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে করার বিষয়ে জোর দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সওজের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব জায়গায় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া এক রকম নয়। একেক জায়গার জমিতে একেক ধরনের জটিলতা আছে। তবে জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকবে না।
ঢাকা-সিলেট রুটে দুই লেনের মহাসড়কে যানবাহনের চাপ সামাল দিতে না পারায় দুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে, বিভিন্ন স্থানে যানজটও লেগে থাকে। এতে রুটের যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। এই ভোগান্তি কমাতে গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় দিকে সার্ভিসসহ ৬ লেনে উন্নতি করার জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৬ সালে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। যদি কোনো কারণে এই সময়ে কাজ শেষ না হয়, তাহলে প্রকল্পের মেয়াদ ও খরচ দুটোই বেড়ে যাবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগের সব প্রকল্প থেকে সরকারের এখন অভিজ্ঞতা নেওয়া উচিত। প্রতিটি প্রকল্পে জমি নিয়েই জটিলতা হচ্ছে। প্রকল্প শুরুর আগেই জমি অধিগ্রহণ ও পরিষেবা লাইন সরানোর জন্য আলাদা প্রকল্প নিয়ে সেগুলো চূড়ান্ত করার পর, মূল প্রকল্প দেওয়া উচিত।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটিতে যৌথভাবে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এই মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা এবং এডিবি ঋণ দিচ্ছে ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ৬৬টি সেতু, কালভার্ট ৩০৫টি, রেলওয়ে ওভারপাস ৮টি, ফুটওভার ব্রিজ ২৬টি, ইউ-টার্ন ৩৭টি, রাউন্ড অ্যাবাউট ৮টি, ভূমি অধিগ্রহণ ১ হাজার ৩৩ একর। মহাসড়কের মূল চার লেন হবে ৭ দশমিক ৩ মিটার এবং সার্ভিস লেন হবে ৫ দশমিক ৫ মিটারের।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে