মেহেরপুর প্রতিনিধি
বেঁচে আছেন। অথচ পরিবারের চোখে মৃত ছিলেন মেহেরপুরের রকিবুজ্জামান রিপন। তাঁকে খুন করে লাশ গুম করা হয়েছে এমন অভিযোগে স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও চাচা শ্বশুরের নামে মামলা করেন রকিবুজ্জামের বাবা মনিরুল ইসলাম। দীর্ঘ ৫ বছর পর তাঁকে গত সোমবার জীবিত অবস্থায় গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুষ্টিয়ার একটি দল। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামের দত্তপাড়ার রকিবুজ্জামান ২০১৭ সালে গাংনী উপজেলার শিশিরপাড়া থেকে নিরুদ্দেশ হন।
পিবিআই কুষ্টিয়ার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, রকিবুজ্জামান গাংনীর ভরাট গ্রামের আকবর হোসেনের মেয়ে শ্যামলী খাতুনকে বিয়ে করে গোভিপুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। বিয়ের ৬ মাস পর স্ত্রীকে নিয়ে গাংনী উপজেলার শিশিরপাড়ার রোকেয়া খাতুনের বাড়িতে বাসা ভাড়া নেন। কিছুদিন পর তাঁদের ঘরে জন্ম নেয় একটি ছেলে সন্তান। পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাড়া বাড়ি থেকে ২০১৭ সালের ৮ জুলাই নিরুদ্দেশ হন রকিবুজ্জামান। ছেলে কোনো খোঁজ না পেয়ে বাবা মনিরুল ইসলাম ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর ছেলে স্ত্রী শ্যামলী খাতুন, শ্বশুর, শাশুড়ি ও চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে আদালতে খুন ও লাশ গুমের মামলা করেন। কিছুদিন পর শ্বশুর বিদেশে চলে যানে। এতে মনিরুল পরিবারের মাঝে আরও সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আদালতের নির্দেশনায় সদর থানা-পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্ত করে রকিবুজ্জামানকে জীবিত অথবা মৃত কোনোভাবেই উদ্ধার করতে না পেরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। আদালত থানা-পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে ২০১৮ সালে ১৫ অক্টোবর মামলাটি পুলিশ সুপার, পিবিআই কুষ্টিয়াকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মনিরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রকিবুজ্জামানের জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইলস লিমিটেডে চাকরি করছেন মর্মে নিশ্চিত হয় পিবিআই। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তাঁকে আটক করা হয়।
পিবিআই পরিদর্শক আরও জানান, রকিবুজ্জামান কৌশলে মো. শরিফুল ইসলাম ছদ্মনাম ধারণ করে শ্রীপুরে অবস্থান করেন। গত বছরের মার্চে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার মনমথ কুঠিপাড়ার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শিমলা আক্তারকে (২০) বিয়ে করেন। সে ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়, যার বয়স ৬ মাস। এদিকে, একই ঘটনায় রকিবুজ্জামানের স্ত্রী শ্যামলী খাতুন শ্বশুর, শাশুড়িসহ কয়েকজনকে আসামি করে পাল্টা মামলা করেন। সে মামলা এখনো বিচারাধীন।
শ্যামলী খাতুন বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই রকিবুজ্জামান নির্যাতন করত। একাধিকবার যৌতুক দিলেও বারবার টাকার দাবি করত। এর আগেও সে একটি বিয়ে করেছিল। আসলে সে একজন নারী লোভী। তার নাগরিক সনদপত্র না থাকায় ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারিনি।’
রকিবুজ্জামানের বাবা বলেন, ‘ছেলে দীর্ঘদিন নিরুদ্দেশ। বারবার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে ফোন করেও ব্যর্থ হই। এর পর ছেলে শ্বশুর বিদেশে চলে যাওয়ায় আমাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছি।’
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রকিবুজ্জামানকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে বাবা মনিরুল ইসলামের জিম্মায় দেন।
পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, মামলার তদন্তকাজ অব্যাহত থাকবে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।
রকিবুজ্জামান বলেন, ‘আমি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। সঙ্গে ছিল বউ ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এক সময় বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই।’ ভুয়া এনআইডি নম্বর বানানোর ব্যাপারটি অস্বীকার করেন তিনি। বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে বসে মামলার বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেব। এ ছাড়া যাঁদের কাছে ঋণী আছি। দ্রুত তা পরিশোধ করব।’
বেঁচে আছেন। অথচ পরিবারের চোখে মৃত ছিলেন মেহেরপুরের রকিবুজ্জামান রিপন। তাঁকে খুন করে লাশ গুম করা হয়েছে এমন অভিযোগে স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও চাচা শ্বশুরের নামে মামলা করেন রকিবুজ্জামের বাবা মনিরুল ইসলাম। দীর্ঘ ৫ বছর পর তাঁকে গত সোমবার জীবিত অবস্থায় গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুষ্টিয়ার একটি দল। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামের দত্তপাড়ার রকিবুজ্জামান ২০১৭ সালে গাংনী উপজেলার শিশিরপাড়া থেকে নিরুদ্দেশ হন।
পিবিআই কুষ্টিয়ার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, রকিবুজ্জামান গাংনীর ভরাট গ্রামের আকবর হোসেনের মেয়ে শ্যামলী খাতুনকে বিয়ে করে গোভিপুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। বিয়ের ৬ মাস পর স্ত্রীকে নিয়ে গাংনী উপজেলার শিশিরপাড়ার রোকেয়া খাতুনের বাড়িতে বাসা ভাড়া নেন। কিছুদিন পর তাঁদের ঘরে জন্ম নেয় একটি ছেলে সন্তান। পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাড়া বাড়ি থেকে ২০১৭ সালের ৮ জুলাই নিরুদ্দেশ হন রকিবুজ্জামান। ছেলে কোনো খোঁজ না পেয়ে বাবা মনিরুল ইসলাম ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর ছেলে স্ত্রী শ্যামলী খাতুন, শ্বশুর, শাশুড়ি ও চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে আদালতে খুন ও লাশ গুমের মামলা করেন। কিছুদিন পর শ্বশুর বিদেশে চলে যানে। এতে মনিরুল পরিবারের মাঝে আরও সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আদালতের নির্দেশনায় সদর থানা-পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্ত করে রকিবুজ্জামানকে জীবিত অথবা মৃত কোনোভাবেই উদ্ধার করতে না পেরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। আদালত থানা-পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে ২০১৮ সালে ১৫ অক্টোবর মামলাটি পুলিশ সুপার, পিবিআই কুষ্টিয়াকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মনিরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রকিবুজ্জামানের জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইলস লিমিটেডে চাকরি করছেন মর্মে নিশ্চিত হয় পিবিআই। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তাঁকে আটক করা হয়।
পিবিআই পরিদর্শক আরও জানান, রকিবুজ্জামান কৌশলে মো. শরিফুল ইসলাম ছদ্মনাম ধারণ করে শ্রীপুরে অবস্থান করেন। গত বছরের মার্চে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার মনমথ কুঠিপাড়ার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শিমলা আক্তারকে (২০) বিয়ে করেন। সে ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়, যার বয়স ৬ মাস। এদিকে, একই ঘটনায় রকিবুজ্জামানের স্ত্রী শ্যামলী খাতুন শ্বশুর, শাশুড়িসহ কয়েকজনকে আসামি করে পাল্টা মামলা করেন। সে মামলা এখনো বিচারাধীন।
শ্যামলী খাতুন বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই রকিবুজ্জামান নির্যাতন করত। একাধিকবার যৌতুক দিলেও বারবার টাকার দাবি করত। এর আগেও সে একটি বিয়ে করেছিল। আসলে সে একজন নারী লোভী। তার নাগরিক সনদপত্র না থাকায় ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারিনি।’
রকিবুজ্জামানের বাবা বলেন, ‘ছেলে দীর্ঘদিন নিরুদ্দেশ। বারবার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে ফোন করেও ব্যর্থ হই। এর পর ছেলে শ্বশুর বিদেশে চলে যাওয়ায় আমাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছি।’
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রকিবুজ্জামানকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে বাবা মনিরুল ইসলামের জিম্মায় দেন।
পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, মামলার তদন্তকাজ অব্যাহত থাকবে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।
রকিবুজ্জামান বলেন, ‘আমি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। সঙ্গে ছিল বউ ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এক সময় বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই।’ ভুয়া এনআইডি নম্বর বানানোর ব্যাপারটি অস্বীকার করেন তিনি। বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে বসে মামলার বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেব। এ ছাড়া যাঁদের কাছে ঋণী আছি। দ্রুত তা পরিশোধ করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে