নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তেল, চাল, পেঁয়াজ, চিনি—এমন আরও কয়েকটি পণ্যের দাম নিয়ে মানুষ ভুগছে অনেক দিন ধরে। এর মধ্যে এসে গেল রমজান। প্রতিবছর যা হয়, এবারও তা-ই হলো। এক-দুই দিনের ব্যবধানে বদলে গেল কাঁচাবাজারের চিত্র। বেগুন-শসা-কাঁচা মরিচ যেন ছোঁয়া যায় না। বৈশাখ আসার আগেই বাড়তি তাপ। মাছ-মাংসের দোকানদারের গলাও আরেকটু চড়া। এই অস্বস্তি সঙ্গী করেই শুরু হলো সংযমের মাস।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি আনতে পারেনি। গত শনিবারও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)-এর বৈঠকে ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রমজান মাসে কোনো পণ্যের দাম বাড়বে না। কিন্তু বাস্তব চিত্র সেই আগের মতোই।
রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা বেসরকারি চাকুরে ফারুক হোসেন জানান, গত শুক্রবার তিনি প্রতি হালি লেবু ৩০ টাকায় কিনেছিলেন। গতকাল রোববার তা মিরপুর ৬ নম্বর কাঁচাবাজার থেকে ৬০ টাকায় কিনেছেন। বড় লেবু তাঁর কাছে ১০০ টাকা হালি দাম হাঁকান। দুই-আড়াই কেজি ওজনের প্রতি কেজি রুই মাছ তিনি শুক্রবার ২৮০ টাকায় কিনেছিলেন। গতকাল তা ৪০০ টাকা দাম হাঁকান। পরে তিনি মাছ না কিনেই বাসায় ফেরেন। দেশি শসা তিনি ১৬০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন বলে জানান।
রাজধানীর আজিমপুর ছাপরা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা ইমরান আলী। তিনি জানান, বাজারে কোনো স্বস্তি নেই। ইফতারির প্রতিটি কাঁচা পণ্যের দামই তাঁদের নাগালের বাইরে। শসা, লেবু, বেগুন, কাঁচা মরিচ—সবকিছুরই দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি। আর গত সপ্তাহে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৫০ টাকায় কিনেছিলেন। গতকাল তা ২৭০ টাকায় কেনেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি শসার দাম ছিল মানভেদে ৩৫-৪৫ টাকা। গতকাল রোববার তা বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকায়। প্রতি কেজি লম্বা বেগুনের দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা। গতকাল তা ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি সোনালি মুরগির দাম ছিল ২৫০ টাকা। গতকাল তা ২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি রুই মাছ (দুই-আড়াই কেজির) বিক্রি হয়েছিল ২৫০-২৮০ টাকা। গতকাল তা ৩৫০-৪০০ টাকা দাম হাঁকান। বাড়তি সব ধরনের ফলের দামও। তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, বাজারে সয়াবিন তেল, ছোলা, চিনি, ডালের দাম কিছুটা কমতির দিকে।
প্রতিবছর রোজার আগে রাজধানীতে মাংসের দাম বেঁধে দেওয়া হলেও এ বছর তা করা হয়নি। এ কারণে মাংস বিক্রেতারা তাঁদের ইচ্ছামতো দামে বিক্রি করছেন। দুই-তিন দিন আগেও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০-৬৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
গতকাল রোববার তা ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঢাকার মতো সারা দেশের বাজারেও কমবেশি একই অবস্থা। চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী বাজারে থলে হাতে ঘুরছিলেন ঈদগাহ বরফ কল এলাকার বাসিন্দা সেলিম উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘দুই দিন আগেও তো বরবটি কিনেছি ৫০ টাকা করে। আজ এমন কী হয়েছে, যাতে কেজিতে ৩০ টাকা দাম বেড়ে গেল?’
সাহ্রিতে খাওয়ার জন্য বাজারে গরুর মাংস কিনতে গিয়েছিলেন সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকার আব্দুস শহীদ। তাঁর অভিজ্ঞতা, ‘বাজারে গিয়ে দেখি হাড়সহ মাংস সাড়ে সাত শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই গরুর মাংস না কিনে মুরগির মাংস কিনতে যাই। সেখানেও দেখি দাম বেড়েছে।’
রংপুরের তারাগঞ্জের ভ্যানচালক খয়বার হোসেন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্যাডেল ঘুরিয়ে আয় করেছিলেন ২৫০ টাকা। সেই টাকায় চাল, সবজি আর মসলা কিনে গামছায় বেঁধে বাড়ি ফেরার পথে ইফতারের জন্য একটি তরমুজ কিনতে চেয়েছিলেন। বিক্রেতা প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ টাকা দর হাঁকান। নিজের গাঁটের অবস্থা বুঝে তিনি সরে যান। পরে পাশের দোকান থেকে দুটি টেস্টি স্যালাইন কেনেন। সেখানেও বাধে বিপত্তি। কোনো কারণ ছাড়াই ৫ টাকার স্যালাইন ৬ টাকা করে নেন বিক্রেতা।
এই অবস্থায় রোজার প্রথম দিনে বাজার পরিস্থিতি দেখতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের বলেন, রোজার সুযোগে পণ্যের দাম বেশি নিলে আল্লাহ কিন্তু মাফ করবেন না।
বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ৪৬ সদস্যের একটি তদারকি সেলও করেছে। তারপরও বাজার বেসামাল। আজ সোমবার বৈঠকে বসবে টাস্কফোর্স।
তেল, চাল, পেঁয়াজ, চিনি—এমন আরও কয়েকটি পণ্যের দাম নিয়ে মানুষ ভুগছে অনেক দিন ধরে। এর মধ্যে এসে গেল রমজান। প্রতিবছর যা হয়, এবারও তা-ই হলো। এক-দুই দিনের ব্যবধানে বদলে গেল কাঁচাবাজারের চিত্র। বেগুন-শসা-কাঁচা মরিচ যেন ছোঁয়া যায় না। বৈশাখ আসার আগেই বাড়তি তাপ। মাছ-মাংসের দোকানদারের গলাও আরেকটু চড়া। এই অস্বস্তি সঙ্গী করেই শুরু হলো সংযমের মাস।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি আনতে পারেনি। গত শনিবারও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)-এর বৈঠকে ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রমজান মাসে কোনো পণ্যের দাম বাড়বে না। কিন্তু বাস্তব চিত্র সেই আগের মতোই।
রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা বেসরকারি চাকুরে ফারুক হোসেন জানান, গত শুক্রবার তিনি প্রতি হালি লেবু ৩০ টাকায় কিনেছিলেন। গতকাল রোববার তা মিরপুর ৬ নম্বর কাঁচাবাজার থেকে ৬০ টাকায় কিনেছেন। বড় লেবু তাঁর কাছে ১০০ টাকা হালি দাম হাঁকান। দুই-আড়াই কেজি ওজনের প্রতি কেজি রুই মাছ তিনি শুক্রবার ২৮০ টাকায় কিনেছিলেন। গতকাল তা ৪০০ টাকা দাম হাঁকান। পরে তিনি মাছ না কিনেই বাসায় ফেরেন। দেশি শসা তিনি ১৬০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন বলে জানান।
রাজধানীর আজিমপুর ছাপরা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা ইমরান আলী। তিনি জানান, বাজারে কোনো স্বস্তি নেই। ইফতারির প্রতিটি কাঁচা পণ্যের দামই তাঁদের নাগালের বাইরে। শসা, লেবু, বেগুন, কাঁচা মরিচ—সবকিছুরই দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি। আর গত সপ্তাহে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৫০ টাকায় কিনেছিলেন। গতকাল তা ২৭০ টাকায় কেনেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি শসার দাম ছিল মানভেদে ৩৫-৪৫ টাকা। গতকাল রোববার তা বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকায়। প্রতি কেজি লম্বা বেগুনের দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা। গতকাল তা ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি সোনালি মুরগির দাম ছিল ২৫০ টাকা। গতকাল তা ২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি রুই মাছ (দুই-আড়াই কেজির) বিক্রি হয়েছিল ২৫০-২৮০ টাকা। গতকাল তা ৩৫০-৪০০ টাকা দাম হাঁকান। বাড়তি সব ধরনের ফলের দামও। তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, বাজারে সয়াবিন তেল, ছোলা, চিনি, ডালের দাম কিছুটা কমতির দিকে।
প্রতিবছর রোজার আগে রাজধানীতে মাংসের দাম বেঁধে দেওয়া হলেও এ বছর তা করা হয়নি। এ কারণে মাংস বিক্রেতারা তাঁদের ইচ্ছামতো দামে বিক্রি করছেন। দুই-তিন দিন আগেও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০-৬৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
গতকাল রোববার তা ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঢাকার মতো সারা দেশের বাজারেও কমবেশি একই অবস্থা। চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী বাজারে থলে হাতে ঘুরছিলেন ঈদগাহ বরফ কল এলাকার বাসিন্দা সেলিম উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘দুই দিন আগেও তো বরবটি কিনেছি ৫০ টাকা করে। আজ এমন কী হয়েছে, যাতে কেজিতে ৩০ টাকা দাম বেড়ে গেল?’
সাহ্রিতে খাওয়ার জন্য বাজারে গরুর মাংস কিনতে গিয়েছিলেন সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকার আব্দুস শহীদ। তাঁর অভিজ্ঞতা, ‘বাজারে গিয়ে দেখি হাড়সহ মাংস সাড়ে সাত শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই গরুর মাংস না কিনে মুরগির মাংস কিনতে যাই। সেখানেও দেখি দাম বেড়েছে।’
রংপুরের তারাগঞ্জের ভ্যানচালক খয়বার হোসেন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্যাডেল ঘুরিয়ে আয় করেছিলেন ২৫০ টাকা। সেই টাকায় চাল, সবজি আর মসলা কিনে গামছায় বেঁধে বাড়ি ফেরার পথে ইফতারের জন্য একটি তরমুজ কিনতে চেয়েছিলেন। বিক্রেতা প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ টাকা দর হাঁকান। নিজের গাঁটের অবস্থা বুঝে তিনি সরে যান। পরে পাশের দোকান থেকে দুটি টেস্টি স্যালাইন কেনেন। সেখানেও বাধে বিপত্তি। কোনো কারণ ছাড়াই ৫ টাকার স্যালাইন ৬ টাকা করে নেন বিক্রেতা।
এই অবস্থায় রোজার প্রথম দিনে বাজার পরিস্থিতি দেখতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের বলেন, রোজার সুযোগে পণ্যের দাম বেশি নিলে আল্লাহ কিন্তু মাফ করবেন না।
বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ৪৬ সদস্যের একটি তদারকি সেলও করেছে। তারপরও বাজার বেসামাল। আজ সোমবার বৈঠকে বসবে টাস্কফোর্স।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে