সম্পাদকীয়
২৩ মে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার দাবিতে ‘ঢাকা নদী সম্মেলন’ প্রস্তুতি সভা হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাবে। সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নদী রক্ষার জন্য নদীখেকো, বালুখেকো, নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা বলেছেন। নদী রক্ষার জন্য এই প্রতিরোধ খুবই দরকার। কিন্তু কথা হলো, কারা এই দখলকারী, দূষণকারী? তাদের চিহ্নিত করবে কারা, তাদের বিরুদ্ধে কারা ব্যবস্থা নেবে?
মন্ত্রী বলেছেন, দেশের মানুষ এখন উন্নয়ন মানেই বোঝে রাস্তা, ব্রিজ ও বিল্ডিং বানানো, কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। খাঁটি কথা। কিন্তু উন্নয়ন বলতে সরকারি দলের লোকেরাও তো একই কথা বোঝে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি উন্নয়নের নামে নদীসহ পরিবেশদূষণকারী বিষয়গুলোর ব্যাপারে খড়্গহস্ত হওয়া যেত, তাহলে তো আমজনতার বোঝা না-বোঝাকে অগ্রাহ্য করেই আমরা আমাদের নদীগুলো বাঁচাতে পারতাম।
নদীর পাড় দিয়েই প্রাচীনকালে গড়ে উঠেছিল সভ্যতা। পানি ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। তাই পানির সবচেয়ে ভালো উৎস হিসেবে নদীকেই বেছে নিয়েছিল প্রাচীনকালের মানুষ। কিন্তু সেই সভ্যতার খাঁড়ায়ই বিলীন হতে চলেছে নদী। উন্নয়নের নামে অযথা নদীর টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে বলে অনেক সময় নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আর নদীকে নালা হিসেবে ব্যবহার করার কথা কে না জানে।
নদীর প্রতি অনিষ্টকর আচরণের কয়েকটির কথা বলা যাক। আমরা দেখেছি মেডিকেল বর্জ্য, গৃহবর্জ্য ইত্যাদির অনেকটাই নিক্ষেপ করা হচ্ছে নদী নামক ভাগাড়ে। নদী হয়ে উঠছে মশা-মাছির প্রজননের আদর্শ স্থান।
কেউ কি খেয়াল করেছেন, নদীর পাড় কিংবা নদীতে জেগে ওঠা চর হামেশাই দখল হয়ে যাচ্ছে? প্রথমে কোনো সমিতির সাইনবোর্ড লাগিয়ে অস্থায়ী ব্যবসা শুরু হয়। এরপর সেখানে দালান ওঠে। নদীর ধারে এই অবৈধ কারবার দিনের পর দিন চলে, কিন্তু কেউ তাদের কোনো শাস্তি দেয় না। নদীকে আড়াআড়ি রেখে রাস্তা তৈরি করে নদীর সর্বনাশও ডেকে আনা হয়। সড়ক মানেই যে উন্নয়ন নয়, সড়ক নির্মাণের সময়ও যে প্রকৃতি-পরিবেশের কথা বিবেচনায় নিতে হয়, সে কথা কে কাকে মনে করিয়ে দেবে?
আর উজানে বাঁধ দিয়ে ভাটি অঞ্চলের নদীগুলোর যে দুর্দশা করা হয়েছে, সে তো আন্তর্জাতিক বোঝাপড়ার ব্যাপার। আদার ব্যাপারী হয়ে সেই জাহাজের খবর নিতে চাওয়া অন্যায় কি না জানি না, কিন্তু সেই সমস্যা সমাধানের ওপরও তো বন্যা, অতিরিক্ত পলি ইত্যাদির সমস্যা মোকাবিলা করার বিষয়টি নির্ভর করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক নদীর প্রবাহ নিয়েও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের আলোচনা আশাপ্রদ কোনো জায়গায় পৌঁছায়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা একমত, উন্নয়ন বলতে যা বোঝানো হয়েছে বা হচ্ছে, তার সবটা আসলে উন্নয়ন নয়। লোকদেখানো উন্নয়নে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় বটে, অল্প কিছু মানুষের পকেটে টাকা আসে বটে, কিন্তু তাতে এলাকার মানুষের জীবনে নেমে আসে দুর্দশা—এটাই সবচেয়ে ভীতিকর সত্য।
২৩ মে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার দাবিতে ‘ঢাকা নদী সম্মেলন’ প্রস্তুতি সভা হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাবে। সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নদী রক্ষার জন্য নদীখেকো, বালুখেকো, নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা বলেছেন। নদী রক্ষার জন্য এই প্রতিরোধ খুবই দরকার। কিন্তু কথা হলো, কারা এই দখলকারী, দূষণকারী? তাদের চিহ্নিত করবে কারা, তাদের বিরুদ্ধে কারা ব্যবস্থা নেবে?
মন্ত্রী বলেছেন, দেশের মানুষ এখন উন্নয়ন মানেই বোঝে রাস্তা, ব্রিজ ও বিল্ডিং বানানো, কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। খাঁটি কথা। কিন্তু উন্নয়ন বলতে সরকারি দলের লোকেরাও তো একই কথা বোঝে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি উন্নয়নের নামে নদীসহ পরিবেশদূষণকারী বিষয়গুলোর ব্যাপারে খড়্গহস্ত হওয়া যেত, তাহলে তো আমজনতার বোঝা না-বোঝাকে অগ্রাহ্য করেই আমরা আমাদের নদীগুলো বাঁচাতে পারতাম।
নদীর পাড় দিয়েই প্রাচীনকালে গড়ে উঠেছিল সভ্যতা। পানি ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। তাই পানির সবচেয়ে ভালো উৎস হিসেবে নদীকেই বেছে নিয়েছিল প্রাচীনকালের মানুষ। কিন্তু সেই সভ্যতার খাঁড়ায়ই বিলীন হতে চলেছে নদী। উন্নয়নের নামে অযথা নদীর টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে বলে অনেক সময় নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আর নদীকে নালা হিসেবে ব্যবহার করার কথা কে না জানে।
নদীর প্রতি অনিষ্টকর আচরণের কয়েকটির কথা বলা যাক। আমরা দেখেছি মেডিকেল বর্জ্য, গৃহবর্জ্য ইত্যাদির অনেকটাই নিক্ষেপ করা হচ্ছে নদী নামক ভাগাড়ে। নদী হয়ে উঠছে মশা-মাছির প্রজননের আদর্শ স্থান।
কেউ কি খেয়াল করেছেন, নদীর পাড় কিংবা নদীতে জেগে ওঠা চর হামেশাই দখল হয়ে যাচ্ছে? প্রথমে কোনো সমিতির সাইনবোর্ড লাগিয়ে অস্থায়ী ব্যবসা শুরু হয়। এরপর সেখানে দালান ওঠে। নদীর ধারে এই অবৈধ কারবার দিনের পর দিন চলে, কিন্তু কেউ তাদের কোনো শাস্তি দেয় না। নদীকে আড়াআড়ি রেখে রাস্তা তৈরি করে নদীর সর্বনাশও ডেকে আনা হয়। সড়ক মানেই যে উন্নয়ন নয়, সড়ক নির্মাণের সময়ও যে প্রকৃতি-পরিবেশের কথা বিবেচনায় নিতে হয়, সে কথা কে কাকে মনে করিয়ে দেবে?
আর উজানে বাঁধ দিয়ে ভাটি অঞ্চলের নদীগুলোর যে দুর্দশা করা হয়েছে, সে তো আন্তর্জাতিক বোঝাপড়ার ব্যাপার। আদার ব্যাপারী হয়ে সেই জাহাজের খবর নিতে চাওয়া অন্যায় কি না জানি না, কিন্তু সেই সমস্যা সমাধানের ওপরও তো বন্যা, অতিরিক্ত পলি ইত্যাদির সমস্যা মোকাবিলা করার বিষয়টি নির্ভর করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক নদীর প্রবাহ নিয়েও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের আলোচনা আশাপ্রদ কোনো জায়গায় পৌঁছায়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা একমত, উন্নয়ন বলতে যা বোঝানো হয়েছে বা হচ্ছে, তার সবটা আসলে উন্নয়ন নয়। লোকদেখানো উন্নয়নে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় বটে, অল্প কিছু মানুষের পকেটে টাকা আসে বটে, কিন্তু তাতে এলাকার মানুষের জীবনে নেমে আসে দুর্দশা—এটাই সবচেয়ে ভীতিকর সত্য।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৮ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১০ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে