রাঙামাটি ও কাপ্তাই প্রতিনিধি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় ঢাকার সঙ্গে রাঙামাটি জেলাকেও ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ড্যাশবোর্ড ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমন ঘোষণায় নড়েচড়ে বসেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। মাস্ক নিশ্চিত করাসহ সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকিং করা হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন বলেছেন, করোনার নমুনা পরীক্ষার হার কমার বিপরীতে শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, দেশে করোনা শনাক্ত শুরুর পর সর্বশেষ জেলা হিসেবে আক্রান্ত হয় রাঙামাটি। এরপর ভালোভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা তৈরি হয়েছে। কমে গেছে করোনার নমুনা পরীক্ষার প্রবণতা। সম্প্রতি এই হার একেবারে কমে যায়। এরই মধ্যে শীতের শুরু থেকে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে।
এদিকে রাঙামাটিকে করোনার উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন জেলা চিহ্নিত করা হলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই। শহরের রাস্তায়, বাজার, অফিস-আদালতে উপস্থিত অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। জেলার সংবাদকর্মী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল বলেন, রাস্তাঘাটে অসংখ্য মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করছেন। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই।
রাঙামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, গত ১৫ দিনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৪ জনের। এর আগে গত ডিসেম্বরে ২৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মানুষের মাঝে নমুনা দেওয়ার প্রবণতা কমেছে। এতে করে শনাক্তের হার বেড়েছে। করোনা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি স্বাস্থ্য বিভাগের আছে।’
এদিকে রাঙামাটিকে রেড জোন ঘোষণার পর মানুষের মাস্ক পরা নিশ্চিত করাসহ সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে চালানো হচ্ছে মাইকিং। পর্যটন স্পটগুলো বাড়তি নজরদারি করতে নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট মাঠে আছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের যা করণীয়, তা করছে। সব উপজেলা বার্তা পাঠানো হয়েছে।’
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত জেলায় ৪ হাজার ২৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ জনের। এ থেকে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জেলায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ। রাঙামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ।
এদিকে কাপ্তাই প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটি জেলাকে ‘রেড জোন’ হওয়ার পর কাপ্তাইয়ে সচেতনতামূলক প্রচার, মাস্ক বিতরণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলা সদর ও বড়ইছড়ি সাপ্তাহিক বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির জাহান।
অভিযানে একটি ভ্রাম্যমাণ দোকানিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি জব্দ মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া ৪টি মামলায় মোট ১ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা করেন ইউএনও। এ সময় সচেতনতামূলক প্রচার ও বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়। অভিযানে ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম ও কাপ্তাই থানার পুলিশ সদস্যরা সহায়তা করেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় ঢাকার সঙ্গে রাঙামাটি জেলাকেও ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ড্যাশবোর্ড ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমন ঘোষণায় নড়েচড়ে বসেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। মাস্ক নিশ্চিত করাসহ সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকিং করা হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন বলেছেন, করোনার নমুনা পরীক্ষার হার কমার বিপরীতে শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, দেশে করোনা শনাক্ত শুরুর পর সর্বশেষ জেলা হিসেবে আক্রান্ত হয় রাঙামাটি। এরপর ভালোভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা তৈরি হয়েছে। কমে গেছে করোনার নমুনা পরীক্ষার প্রবণতা। সম্প্রতি এই হার একেবারে কমে যায়। এরই মধ্যে শীতের শুরু থেকে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে।
এদিকে রাঙামাটিকে করোনার উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন জেলা চিহ্নিত করা হলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই। শহরের রাস্তায়, বাজার, অফিস-আদালতে উপস্থিত অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। জেলার সংবাদকর্মী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল বলেন, রাস্তাঘাটে অসংখ্য মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করছেন। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই।
রাঙামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, গত ১৫ দিনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৪ জনের। এর আগে গত ডিসেম্বরে ২৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মানুষের মাঝে নমুনা দেওয়ার প্রবণতা কমেছে। এতে করে শনাক্তের হার বেড়েছে। করোনা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি স্বাস্থ্য বিভাগের আছে।’
এদিকে রাঙামাটিকে রেড জোন ঘোষণার পর মানুষের মাস্ক পরা নিশ্চিত করাসহ সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে চালানো হচ্ছে মাইকিং। পর্যটন স্পটগুলো বাড়তি নজরদারি করতে নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট মাঠে আছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের যা করণীয়, তা করছে। সব উপজেলা বার্তা পাঠানো হয়েছে।’
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত জেলায় ৪ হাজার ২৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ জনের। এ থেকে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জেলায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ। রাঙামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ।
এদিকে কাপ্তাই প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটি জেলাকে ‘রেড জোন’ হওয়ার পর কাপ্তাইয়ে সচেতনতামূলক প্রচার, মাস্ক বিতরণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলা সদর ও বড়ইছড়ি সাপ্তাহিক বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির জাহান।
অভিযানে একটি ভ্রাম্যমাণ দোকানিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি জব্দ মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া ৪টি মামলায় মোট ১ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা করেন ইউএনও। এ সময় সচেতনতামূলক প্রচার ও বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়। অভিযানে ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম ও কাপ্তাই থানার পুলিশ সদস্যরা সহায়তা করেন।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৮ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১০ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে