রাহুল শর্মা, ঢাকা
করোনাকালে দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ ছিল দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর পরিণামে ২০২১ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ের বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লাখ ৩৭ হাজার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভল্যুশন উইং পরিচালিত এক জরিপে বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিতির এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২১ সালে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের তুলনামূলক চিত্র জানতে এ জরিপ করা হয়। জরিপের অংশ হিসেবে তথ্য চেয়ে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ১৯ হাজার ৪১১টি প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১১ হাজার ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জরিপের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয় ১১ আগস্ট।
বার্ষিক পরীক্ষায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ধুলাউড়ি কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মোহাম্মদ আবু হানিফ বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এটা বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার অন্যতম কারণ। এ ছাড়া শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ ও পরীক্ষায় প্রস্তুতির অভাব ইত্যাদি কারণও রয়েছে।
জানতে চাইলে মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভল্যুশন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বলেন, জরিপে ৭ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। ২০২১ সালে ১১ হাজার ৬৭৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩৮ জন। এর মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৫ জন, যার হার ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। জরিপের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পেলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কেমন হতো এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যেহেতু উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া গেছে, তাই বলা যায় অনুপস্থিতির হার ৭ দশমিক ২৩ শতাংশের কাছাকাছিই থাকত।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী করোনার সময় সার্বিকভাবে শিক্ষার্থী কমার এই প্রবণতা আগের বছর (২০২০) থেকেই দৃশ্যমান ছিল। ব্যানবেইসের ২০২০ সালের জরিপ অনুযায়ী, মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০ হাজার ৮৪৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী ছিল ১ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজার। পরের বছর (২০২১) সালের জরিপের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, একই ধরনের ২০ হাজার ২৯৪ প্রতিষ্ঠান মোট শিক্ষার্থী ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার ২২।
ব্যানবেইসের তথ্যের ভিত্তিতে মাউশি পরিচালকের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৯ জন। ১১ হাজার ৬৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী বাল্যবিবাহের কারণে অনুপস্থিত ৪৪ হাজার ৪১৪ জন, যা মোট অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শিশুশ্রমে যোগ দেওয়ার জন্য অনুপস্থিত ৭৭ হাজার ৭০৬ জন, যা মোট অনুপস্থিতির ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। অন্যান্য কারণে অনুপস্থিত ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন, যা মোট অনুপস্থিতির প্রায় ৭৪ শতাংশ।
পরিসংখ্যানবিদদের হিসাবে, জরিপের আওতাধীন ১৯ হাজার ৪১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গেলে আনুপাতিক হারে বেশি হওয়ার কথা বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রমসহ বিভিন্ন কারণে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম ছাড়া অন্যান্য কী কী কারণে শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত হয়েছে, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বলেন, ধারণা করা যায়, পড়াশোনার প্রতি অনাগ্রহ, প্রস্তুতির অভাব, আর্থিক অসচ্ছলতা, জীবনমানের পরিবর্তন, বাসস্থান পরিবর্তন, যাতায়াত সমস্যা, মা-বাবার বিচ্ছেদ ইত্যাদি অন্যান্য শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার কমাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ ও মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম তারিক আহসান। তিনি বলেন, করোনার সময়ে শিক্ষার্থীদের জীবনযাপনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। এ বিষয়টির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষণ ও মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষণ প্রক্রিয়া শুধু শ্রেণিকক্ষ ভিত্তিক না করে এটাকে পরিবার ও এলাকাভিত্তিক করা এবং অন্য কোনোভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে মূল্যায়নপ্রক্রিয়াও শুধু পরীক্ষাকেন্দ্রিক করলে হবে না। এর সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্ট ও সমস্যা সমাধানমূলক কার্যক্রম ইত্যাদি যুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবারকেন্দ্রিক কাউন্সেলিং, অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা জোরদার করার মতো পদক্ষেপ নিতে হবে।
জরিপের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের হার ময়মনসিংহ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রমের হার সবচেয়ে বেশি রাজশাহী অঞ্চলে।
জরিপের তথ্য বলছে, বাল্যবিবাহের কারণে রাজশাহী অঞ্চলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৩১৭ জন, খুলনা অঞ্চলে ৮ হাজার ৬৪ জন, রংপুর অঞ্চলে ৭ হাজার ৪২৫ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৫ হাজার ৮০৩ জন, ঢাকা অঞ্চলে ৫ হাজার ২৫৫ জন, কুমিল্লা অঞ্চলে ৪ হাজার ৭৫৫ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩ হাজার ৫৩ জন, বরিশাল অঞ্চলে ১ হাজার ৫১৪ জন ও সিলেট অঞ্চলে ১ হাজার ২২৮ জন।
করোনাকালে দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ ছিল দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর পরিণামে ২০২১ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ের বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লাখ ৩৭ হাজার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভল্যুশন উইং পরিচালিত এক জরিপে বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিতির এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২১ সালে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের তুলনামূলক চিত্র জানতে এ জরিপ করা হয়। জরিপের অংশ হিসেবে তথ্য চেয়ে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ১৯ হাজার ৪১১টি প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১১ হাজার ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জরিপের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয় ১১ আগস্ট।
বার্ষিক পরীক্ষায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ধুলাউড়ি কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মোহাম্মদ আবু হানিফ বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এটা বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার অন্যতম কারণ। এ ছাড়া শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ ও পরীক্ষায় প্রস্তুতির অভাব ইত্যাদি কারণও রয়েছে।
জানতে চাইলে মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভল্যুশন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বলেন, জরিপে ৭ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। ২০২১ সালে ১১ হাজার ৬৭৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩৮ জন। এর মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৫ জন, যার হার ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। জরিপের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পেলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কেমন হতো এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যেহেতু উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া গেছে, তাই বলা যায় অনুপস্থিতির হার ৭ দশমিক ২৩ শতাংশের কাছাকাছিই থাকত।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী করোনার সময় সার্বিকভাবে শিক্ষার্থী কমার এই প্রবণতা আগের বছর (২০২০) থেকেই দৃশ্যমান ছিল। ব্যানবেইসের ২০২০ সালের জরিপ অনুযায়ী, মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০ হাজার ৮৪৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী ছিল ১ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজার। পরের বছর (২০২১) সালের জরিপের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, একই ধরনের ২০ হাজার ২৯৪ প্রতিষ্ঠান মোট শিক্ষার্থী ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার ২২।
ব্যানবেইসের তথ্যের ভিত্তিতে মাউশি পরিচালকের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৯ জন। ১১ হাজার ৬৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী বাল্যবিবাহের কারণে অনুপস্থিত ৪৪ হাজার ৪১৪ জন, যা মোট অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শিশুশ্রমে যোগ দেওয়ার জন্য অনুপস্থিত ৭৭ হাজার ৭০৬ জন, যা মোট অনুপস্থিতির ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। অন্যান্য কারণে অনুপস্থিত ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন, যা মোট অনুপস্থিতির প্রায় ৭৪ শতাংশ।
পরিসংখ্যানবিদদের হিসাবে, জরিপের আওতাধীন ১৯ হাজার ৪১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গেলে আনুপাতিক হারে বেশি হওয়ার কথা বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রমসহ বিভিন্ন কারণে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম ছাড়া অন্যান্য কী কী কারণে শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত হয়েছে, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বলেন, ধারণা করা যায়, পড়াশোনার প্রতি অনাগ্রহ, প্রস্তুতির অভাব, আর্থিক অসচ্ছলতা, জীবনমানের পরিবর্তন, বাসস্থান পরিবর্তন, যাতায়াত সমস্যা, মা-বাবার বিচ্ছেদ ইত্যাদি অন্যান্য শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার কমাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ ও মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম তারিক আহসান। তিনি বলেন, করোনার সময়ে শিক্ষার্থীদের জীবনযাপনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। এ বিষয়টির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষণ ও মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষণ প্রক্রিয়া শুধু শ্রেণিকক্ষ ভিত্তিক না করে এটাকে পরিবার ও এলাকাভিত্তিক করা এবং অন্য কোনোভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে মূল্যায়নপ্রক্রিয়াও শুধু পরীক্ষাকেন্দ্রিক করলে হবে না। এর সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্ট ও সমস্যা সমাধানমূলক কার্যক্রম ইত্যাদি যুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবারকেন্দ্রিক কাউন্সেলিং, অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা জোরদার করার মতো পদক্ষেপ নিতে হবে।
জরিপের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের হার ময়মনসিংহ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রমের হার সবচেয়ে বেশি রাজশাহী অঞ্চলে।
জরিপের তথ্য বলছে, বাল্যবিবাহের কারণে রাজশাহী অঞ্চলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৩১৭ জন, খুলনা অঞ্চলে ৮ হাজার ৬৪ জন, রংপুর অঞ্চলে ৭ হাজার ৪২৫ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৫ হাজার ৮০৩ জন, ঢাকা অঞ্চলে ৫ হাজার ২৫৫ জন, কুমিল্লা অঞ্চলে ৪ হাজার ৭৫৫ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩ হাজার ৫৩ জন, বরিশাল অঞ্চলে ১ হাজার ৫১৪ জন ও সিলেট অঞ্চলে ১ হাজার ২২৮ জন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে