সম্পাদকীয়
গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় উনিশ শতকের ভারতের এক বিখ্যাত মনীষী। একাধারে আইনশাস্ত্রে সুপণ্ডিত, স্বনামধন্য উকিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিখ্যাত বিচারপতি, গণিতবিদ, প্রথিতযশা অধ্যাপক এবং বাংলার শিক্ষা সংস্কারক ছিলেন। তিনি ছাত্রজীবনে কখনো দ্বিতীয় হননি।
গুরুদাসের যখন মাত্র তিন বছর বয়স, তখন তাঁর বাবা মারা যান। কলুটোলা ব্রাঞ্চ স্কুল, প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনার পাট শেষ করে প্রেসিডেন্সি কলেজে গণিতের অধ্যাপনা দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। শিক্ষক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জনের পাশাপাশি চলতে থাকে তাঁর আইন নিয়ে পড়াশোনা। এরপর জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন, বহরমপুর কলেজে পড়ানোর পাশাপাশি কিছুকাল মুর্শিদাবাদের নবাবের আইনি উপদেষ্টার কাজও করেছেন।
তিনি ছিলেন খুবই মাতৃভক্ত। মায়ের ইচ্ছানুসারে শিক্ষকতার পেশা ছেড়ে কলকাতা হাইকোর্টে তিনি আইন ব্যবসায় যুক্ত হন। কিছুকাল ওকালতি করার পর ১৮৮৮ সালে তাঁকে বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। যত দিন তিনি এই পদে ছিলেন এক দিনের জন্যও আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন না। ১৬ বছর বিচারপতির দায়িত্ব পালনের পর তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
১৮৫৭ সালে কলকাতা, মাদ্রাজ ও বোম্বেতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে উপাচার্য পদে থাকতেন ব্রিটিশরাই। গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য নিযুক্ত হন।
পরাধীন ভারতবর্ষে কর্তব্য-কর্মে নিষ্ঠাবান এই মানুষটি মেয়েদের বিয়ের পর তাদের সম্পত্তির অধিকার নিয়ে যেমন সরব ছিলেন, তেমনি নারীশিক্ষার ব্যাপারেও ছিলেন সমান উৎসাহী। বিদ্যালয়ের শিক্ষায় সরকারি হস্তক্ষেপের বিরোধী ছিলেন তিনি। ছিলেন শিশুশিক্ষায় মারধরের বাইরে আনন্দ-খেলার মধ্য দিয়ে শিক্ষাদানের পৃষ্ঠপোষক।
তিনি কলকাতার মিউনিসিপ্যাল কমিশন, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ইংরেজ সরকার তাঁকে সাম্মানিক ‘স্যার’ উপাধি প্রদান করেছিল।
বহু ক্ষেত্রে অবদান রাখা পণ্ডিত এই মানুষটি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৪৪ সালের ২৬ জানুয়ারি কলকাতার নারকেলডাঙ্গায়। কৃতবিদ্য এই গুণীকে সম্মান জানাতে তাঁর জন্মস্থানের হল্ট স্টেশনটি ১৯৯৫ সালে তাঁর নামে নামকরণ করা হয়।
গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় উনিশ শতকের ভারতের এক বিখ্যাত মনীষী। একাধারে আইনশাস্ত্রে সুপণ্ডিত, স্বনামধন্য উকিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিখ্যাত বিচারপতি, গণিতবিদ, প্রথিতযশা অধ্যাপক এবং বাংলার শিক্ষা সংস্কারক ছিলেন। তিনি ছাত্রজীবনে কখনো দ্বিতীয় হননি।
গুরুদাসের যখন মাত্র তিন বছর বয়স, তখন তাঁর বাবা মারা যান। কলুটোলা ব্রাঞ্চ স্কুল, প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনার পাট শেষ করে প্রেসিডেন্সি কলেজে গণিতের অধ্যাপনা দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। শিক্ষক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জনের পাশাপাশি চলতে থাকে তাঁর আইন নিয়ে পড়াশোনা। এরপর জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন, বহরমপুর কলেজে পড়ানোর পাশাপাশি কিছুকাল মুর্শিদাবাদের নবাবের আইনি উপদেষ্টার কাজও করেছেন।
তিনি ছিলেন খুবই মাতৃভক্ত। মায়ের ইচ্ছানুসারে শিক্ষকতার পেশা ছেড়ে কলকাতা হাইকোর্টে তিনি আইন ব্যবসায় যুক্ত হন। কিছুকাল ওকালতি করার পর ১৮৮৮ সালে তাঁকে বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। যত দিন তিনি এই পদে ছিলেন এক দিনের জন্যও আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন না। ১৬ বছর বিচারপতির দায়িত্ব পালনের পর তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
১৮৫৭ সালে কলকাতা, মাদ্রাজ ও বোম্বেতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে উপাচার্য পদে থাকতেন ব্রিটিশরাই। গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য নিযুক্ত হন।
পরাধীন ভারতবর্ষে কর্তব্য-কর্মে নিষ্ঠাবান এই মানুষটি মেয়েদের বিয়ের পর তাদের সম্পত্তির অধিকার নিয়ে যেমন সরব ছিলেন, তেমনি নারীশিক্ষার ব্যাপারেও ছিলেন সমান উৎসাহী। বিদ্যালয়ের শিক্ষায় সরকারি হস্তক্ষেপের বিরোধী ছিলেন তিনি। ছিলেন শিশুশিক্ষায় মারধরের বাইরে আনন্দ-খেলার মধ্য দিয়ে শিক্ষাদানের পৃষ্ঠপোষক।
তিনি কলকাতার মিউনিসিপ্যাল কমিশন, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ইংরেজ সরকার তাঁকে সাম্মানিক ‘স্যার’ উপাধি প্রদান করেছিল।
বহু ক্ষেত্রে অবদান রাখা পণ্ডিত এই মানুষটি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৪৪ সালের ২৬ জানুয়ারি কলকাতার নারকেলডাঙ্গায়। কৃতবিদ্য এই গুণীকে সম্মান জানাতে তাঁর জন্মস্থানের হল্ট স্টেশনটি ১৯৯৫ সালে তাঁর নামে নামকরণ করা হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে