সখীপুর প্রতিনিধি
সখীপুর উপজেলায় গত ১৫ মাসে ৭২ জন নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ফাঁসিতে ঝুলে। এ ছাড়া নিজ শরীরে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
প্রেমঘটিত বিষয়ে মা-বাবার বাধা, মোবাইল ফোনে কথা বলতে নিষেধ করা, অভিমান, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক কলহ, মাদকাসক্তি ও মানসিক অবসাদ—এসব আত্মহত্যার মূল কারণ। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আত্মহত্যার এসব কারণ ওঠে এসেছে।
এলাকার সচেতন মহল বলছে, নগণ্য বিষয়েও ছেলেমেয়েরা মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বিষয়টি অবশ্যই উদ্বেগের। তবে যথাসময়ে মনোবিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আত্মহত্যার প্রবণতা থেকে ফেরানো সম্ভব।
সখীপুর থানা ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলায় ২০২১ সালে ৬২ জন এবং চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ জন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। তবে সংশ্লিষ্ট অনেকের মতামত এর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এর মধ্যে কম বয়সী তরুণ-তরুণী, শিক্ষার্থী ও গৃহবধূর সংখ্যাই বেশি।
এমন উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনা হলো, প্রেমঘটিত বিষয়ে মা-বাবা বকাবকি করায় ২০২১ সালের ১৯ মে কলেজছাত্রী তন্নী আক্তার রূপা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। জুলাই মাসে মা-বাবার সঙ্গে অভিমানে আত্মহত্যা করেন শোলাপ্রতিমা গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পারভিন আক্তার শিলা। আত্মহত্যার কারণ মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়া। একই মাসের শেষের দিকে প্রবাসী যুবকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে নিষেধ করায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শিউলী আক্তার আত্মহননের পথ বেছে নেয় ফাঁসিতে ঝুলে। একই বছরের ৭ আগস্ট উপজেলার হামিদপুর গ্রামের শুভ আহমেদের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার (১৬) ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। স্থানীয়রা জানান, অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, বেশির ভাগ তরুণ-তরুণী চাওয়া-পাওয়ার ব্যত্যয়ের কারণেই আত্মহত্যা করছেন। জনবহুল এ উপজেলায় আত্মহত্যার প্রবণতা টাঙ্গাইলের মধ্যে শীর্ষে। নগণ্য বিষয়েও ছেলেমেয়েরা মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বিষয়টি অবশ্যই উদ্বেগের।
সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পারিবারিক বন্ধন কমে যাওয়া, অল্প বয়সে হাতে স্মার্টফোন পাওয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অবাধ ব্যবহারের ফলে তরুণ-তরুণীরা ফাঁদে পড়ছে। ফলে একসময় তাঁরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এসব দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছেন। আত্মহত্যা রোধে পরিবার ও শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো ছেলেমেয়ে যদি আত্মহত্যা করতে চান, তাঁর কিছু আচরণ দেখলেই বোঝা যায়। যথাসময়ে মনোবিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আত্মহত্যা থেকে ফেরানো সম্ভব।
সখীপুর উপজেলায় গত ১৫ মাসে ৭২ জন নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ফাঁসিতে ঝুলে। এ ছাড়া নিজ শরীরে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
প্রেমঘটিত বিষয়ে মা-বাবার বাধা, মোবাইল ফোনে কথা বলতে নিষেধ করা, অভিমান, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক কলহ, মাদকাসক্তি ও মানসিক অবসাদ—এসব আত্মহত্যার মূল কারণ। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আত্মহত্যার এসব কারণ ওঠে এসেছে।
এলাকার সচেতন মহল বলছে, নগণ্য বিষয়েও ছেলেমেয়েরা মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বিষয়টি অবশ্যই উদ্বেগের। তবে যথাসময়ে মনোবিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আত্মহত্যার প্রবণতা থেকে ফেরানো সম্ভব।
সখীপুর থানা ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলায় ২০২১ সালে ৬২ জন এবং চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ জন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। তবে সংশ্লিষ্ট অনেকের মতামত এর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এর মধ্যে কম বয়সী তরুণ-তরুণী, শিক্ষার্থী ও গৃহবধূর সংখ্যাই বেশি।
এমন উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনা হলো, প্রেমঘটিত বিষয়ে মা-বাবা বকাবকি করায় ২০২১ সালের ১৯ মে কলেজছাত্রী তন্নী আক্তার রূপা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। জুলাই মাসে মা-বাবার সঙ্গে অভিমানে আত্মহত্যা করেন শোলাপ্রতিমা গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পারভিন আক্তার শিলা। আত্মহত্যার কারণ মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়া। একই মাসের শেষের দিকে প্রবাসী যুবকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে নিষেধ করায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শিউলী আক্তার আত্মহননের পথ বেছে নেয় ফাঁসিতে ঝুলে। একই বছরের ৭ আগস্ট উপজেলার হামিদপুর গ্রামের শুভ আহমেদের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার (১৬) ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। স্থানীয়রা জানান, অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, বেশির ভাগ তরুণ-তরুণী চাওয়া-পাওয়ার ব্যত্যয়ের কারণেই আত্মহত্যা করছেন। জনবহুল এ উপজেলায় আত্মহত্যার প্রবণতা টাঙ্গাইলের মধ্যে শীর্ষে। নগণ্য বিষয়েও ছেলেমেয়েরা মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বিষয়টি অবশ্যই উদ্বেগের।
সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পারিবারিক বন্ধন কমে যাওয়া, অল্প বয়সে হাতে স্মার্টফোন পাওয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অবাধ ব্যবহারের ফলে তরুণ-তরুণীরা ফাঁদে পড়ছে। ফলে একসময় তাঁরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এসব দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছেন। আত্মহত্যা রোধে পরিবার ও শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো ছেলেমেয়ে যদি আত্মহত্যা করতে চান, তাঁর কিছু আচরণ দেখলেই বোঝা যায়। যথাসময়ে মনোবিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আত্মহত্যা থেকে ফেরানো সম্ভব।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে