জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হতে বাকি তিন দিন। প্রায় দুই মাস মেয়াদি এ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়নি অধিকাংশ বাঁধের কাজ। এতে আগাম বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। তাঁদের দাবি দ্রুত বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রমতে, ২০১৭ সালের কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষের কথা। ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলায় ৬৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছর জেলায় ৭২২টি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন করছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৮ কোটি টাকা।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচা ও শনির হাওরে ৩৫টি প্রকল্প অনুমোদন করে জেলা কাবিটা কমিটি। পাউবোর সূত্রমতে, সব প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। খরচার হাওরের এক থেকে চার নম্বর প্রকল্পের কাজ চলছে মন্থর গতিতে। ১ নম্বর প্রকল্পের ৪৪৮ মিটার কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এ প্রকল্পের ৪৪৮ মিটারের মধ্যে ২০০ মিটার অংশেই এখনো মাটি ফেলা হয়নি। বাকি অংশে যত্রতত্রভাবে মাটি ফেলা হচ্ছে।
১ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি সাজিদুর রহমান বিলম্বের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এখানে কাজ শুরুই করেছে শেষ সময়ে।’ ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এই বাঁধের আশপাশে সব সময় পানি থাকে। পানি দেরিতে নামায় কাজ শুরু করতেও দেরি হয়েছে। তা ছাড়া বৃষ্টির কারণে দূর থেকে মাটি আনা সম্ভব হয়নি। ফলে কাজ বন্ধ ছিল চার দিন। তবে সময়মতো কাজ শেষ করতে পারব।’
খরচার হাওর পাড়ের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাটির কাজ নিম্নমানের। সামান্য বৃষ্টি হলে তা টিকবে কি না সন্দেহ।’
২ নম্বর ও ৩ নম্বর প্রকল্পেও একই অবস্থা। ৩ নম্বর প্রকল্পে ৮৭২ মিটার বাঁধের মেরামতের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪১৯ টাকা। এই প্রকল্পের এখনো মাটি ফেলার বাকি আছে প্রায় ১৫০ মিটার অংশে।
এ বিষয়ে ৩ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি এলেমান হোসেন বলেন, ‘এ প্রকল্পের আশপাশে মাটি নেই। চার কিলোমিটার দূর থেকে মাটি ফেলতে হচ্ছে তাই কাজের দেরি হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য বছর আমাদের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির বিল আগেই দেওয়া হতো। এ বছর দেরিতে দেওয়ায় কাজও দেরিতে শুরু হয়েছে।’
খরচার হাওর রক্ষা বাঁধে ৪ নম্বর প্রকল্পের সদস্যসচিব বলেন, ‘সময়মতো বিল না দিলে কাজ কীভাবে করব? এবার বিল পাইতে দেরি হয়েছে তাই কাজ শেষ করতেও সময় লাগছে।’
বাঁধের কাজে বিলম্ব ও নিম্নমানের কাজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। বিশ্বম্ভরপুরের ফুলভরি গ্রামের আলী আহমদ বলেন, ‘বাঁধে ঠিকমতো মাটি ফেলা হচ্ছে না। বাঁধের কাজ ভালো না হলে পানি আইসা সব ফসল তলাইয়া লইয়া যাইব।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘পাউবো হিসাব দিয়েছে ৬৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। তা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। আমাদের তথ্য মতে এখন পর্যন্ত হাওরের ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর কাজের গতি কম। এ বছর পানি নামতে দেরি হওয়ায় কাজও শুরু হয়েছে দেরিতে। উপজেলার ৩ থেকে ৪টি প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতেই চলছে। আমরা বাঁধের সভাপতিকে বলেছি দ্রুত কাজ শেষ করতে।
পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘কাজ দ্রুত গতিতেই চলছে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মাটির কাজ শেষ করে ফেলব। বাঁধের অন্যান্য কাজ আছে সেগুলো শেষ করতে আরও সময় লাগবে।’
জহুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সময় বর্ধিত করার জন্য আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করব।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শনে আসেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হাওর থেকে পানি নামতে বিলম্ব হয়েছে। কাজ শেষ হতে নির্ধারিত সময়ের আরও সপ্তাহখানেক লাগতে পারে।
সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হতে বাকি তিন দিন। প্রায় দুই মাস মেয়াদি এ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়নি অধিকাংশ বাঁধের কাজ। এতে আগাম বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। তাঁদের দাবি দ্রুত বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রমতে, ২০১৭ সালের কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষের কথা। ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলায় ৬৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছর জেলায় ৭২২টি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন করছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৮ কোটি টাকা।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচা ও শনির হাওরে ৩৫টি প্রকল্প অনুমোদন করে জেলা কাবিটা কমিটি। পাউবোর সূত্রমতে, সব প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। খরচার হাওরের এক থেকে চার নম্বর প্রকল্পের কাজ চলছে মন্থর গতিতে। ১ নম্বর প্রকল্পের ৪৪৮ মিটার কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এ প্রকল্পের ৪৪৮ মিটারের মধ্যে ২০০ মিটার অংশেই এখনো মাটি ফেলা হয়নি। বাকি অংশে যত্রতত্রভাবে মাটি ফেলা হচ্ছে।
১ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি সাজিদুর রহমান বিলম্বের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এখানে কাজ শুরুই করেছে শেষ সময়ে।’ ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এই বাঁধের আশপাশে সব সময় পানি থাকে। পানি দেরিতে নামায় কাজ শুরু করতেও দেরি হয়েছে। তা ছাড়া বৃষ্টির কারণে দূর থেকে মাটি আনা সম্ভব হয়নি। ফলে কাজ বন্ধ ছিল চার দিন। তবে সময়মতো কাজ শেষ করতে পারব।’
খরচার হাওর পাড়ের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাটির কাজ নিম্নমানের। সামান্য বৃষ্টি হলে তা টিকবে কি না সন্দেহ।’
২ নম্বর ও ৩ নম্বর প্রকল্পেও একই অবস্থা। ৩ নম্বর প্রকল্পে ৮৭২ মিটার বাঁধের মেরামতের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪১৯ টাকা। এই প্রকল্পের এখনো মাটি ফেলার বাকি আছে প্রায় ১৫০ মিটার অংশে।
এ বিষয়ে ৩ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি এলেমান হোসেন বলেন, ‘এ প্রকল্পের আশপাশে মাটি নেই। চার কিলোমিটার দূর থেকে মাটি ফেলতে হচ্ছে তাই কাজের দেরি হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য বছর আমাদের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির বিল আগেই দেওয়া হতো। এ বছর দেরিতে দেওয়ায় কাজও দেরিতে শুরু হয়েছে।’
খরচার হাওর রক্ষা বাঁধে ৪ নম্বর প্রকল্পের সদস্যসচিব বলেন, ‘সময়মতো বিল না দিলে কাজ কীভাবে করব? এবার বিল পাইতে দেরি হয়েছে তাই কাজ শেষ করতেও সময় লাগছে।’
বাঁধের কাজে বিলম্ব ও নিম্নমানের কাজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। বিশ্বম্ভরপুরের ফুলভরি গ্রামের আলী আহমদ বলেন, ‘বাঁধে ঠিকমতো মাটি ফেলা হচ্ছে না। বাঁধের কাজ ভালো না হলে পানি আইসা সব ফসল তলাইয়া লইয়া যাইব।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘পাউবো হিসাব দিয়েছে ৬৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। তা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। আমাদের তথ্য মতে এখন পর্যন্ত হাওরের ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর কাজের গতি কম। এ বছর পানি নামতে দেরি হওয়ায় কাজও শুরু হয়েছে দেরিতে। উপজেলার ৩ থেকে ৪টি প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতেই চলছে। আমরা বাঁধের সভাপতিকে বলেছি দ্রুত কাজ শেষ করতে।
পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘কাজ দ্রুত গতিতেই চলছে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মাটির কাজ শেষ করে ফেলব। বাঁধের অন্যান্য কাজ আছে সেগুলো শেষ করতে আরও সময় লাগবে।’
জহুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সময় বর্ধিত করার জন্য আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করব।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শনে আসেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হাওর থেকে পানি নামতে বিলম্ব হয়েছে। কাজ শেষ হতে নির্ধারিত সময়ের আরও সপ্তাহখানেক লাগতে পারে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে