মো. ইমরান হোসাইন, কর্ণফুলী
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান এলাকা থেকে আনোয়ারা বৈরাগ পর্যন্ত উঁচু পাহাড়ের সেই রূপ এখন বিলুপ্তির পথে। বাকি যে টিলা-পাহাড় রয়েছে, সেগুলো কেটে মাটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে ভরাট করে গড়ে উঠছে কারখানা, ইমারত, রাস্তা।
চট্টগ্রামের সবচেয়ে কাছের উপজেলা কর্ণফুলী। নদী-সমুদ্র পরিবেষ্টিত এ উপজেলার অপার সৌন্দর্য নদীতীরের দেয়াং পাহাড়। সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের এই পাহাড় আজ আর অক্ষত নেই। শিল্পায়নের নামে খননযন্ত্র দিয়ে তা কেটে মাটি অপসারণ করে সমতল করা হচ্ছে। পাহাড় কাটার ঠিকাদারিতে রয়েছে স্থানীয় দুই উপজেলার রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীরা।
জানা গেছে, আট বছর ধরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান দৌলতপুর এলাকার কেইপিজেড অঞ্চল, আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের মধ্য বন্দর, উত্তর বন্দর, মোহাম্মদপুর, ফকির কিল ও হাজিগাঁও এলাকায় চলে পাহাড় কাটা। কয়েক বছর আগে হাজিগাঁও ও মোহাম্মদপুর এলাকায় পাহাড় কাটা বন্ধ হলেও বড় উঠান দৌলতপুর এলাকার কেইপিজেড অঞ্চল এলাকায় এখনো পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। দিন-রাতে খননযন্ত্র দিয়ে বড় উঠান এলাকা থেকে আনোয়ারা বৈরাগ পর্যন্ত উঁচু পাহাড় কেটে মাটি অপসারণ করে সমতল করা হয়েছে। অপার সৌন্দর্য নদীতীরের দেয়াং পাহাড়ের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের সেই রূপ এখন বিলুপ্তের পথে। বাকি যে টিলা-পাহাড়গুলো রয়েছে, সেগুলো কেটে মাটি একস্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে ভরাট করে গড়ে উঠছে কারখানা, ইমারত, রাস্তা।
২০১২ সালে পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংসসহ পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কেইপিজেডের (কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা) তিন শীর্ষ কর্মকর্তার পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও সাত থেকে আটজনকে আসামি করে মামলাও করেন পরিবেশ অধিদপ্তর। কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলার আড়াই হাজার একর পাহাড়ি ভূমিতে কেইপিজেড গড়ে উঠছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর ৩৩টি শর্তে কেইপিজেডকে পাহাড় কাটার অনুমতি দেয়। শর্তে লেখা আছে, অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী পাহাড় কর্তন ও মোচন করা যাবে। পাহাড়-টিলা কাটার আগে পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানাতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ পাহাড়ের পাদদেশে টার্ফিং, স্ট্যাবিলাইজিং, সিল্ট ট্র্যাপ ইত্যাদি ব্যবস্থা না নিয়েই ভূমি উন্নয়নের নামে এসব পাহাড় কেটে যাচ্ছে সমানে। দেয়াং পাহাড়গুলো যখন ছিল, তখন লোকালয়ে কখনো হাতি আসত না। কেইপিজেড একের পর এক পাহাড়গুলো কেটে শেষ করছে। এখন বন্যপ্রাণীগুলো তাদের বাসস্থান হারিয়ে দিন-দুপুরে চলে আসে লোকালয়ে। দেয়াং পাহাড় এখন নামে আছে, উঁচু পাহাড়গুলো কেটে সমতল করে দিচ্ছে। তারা যেভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে, আগামী কয়েক বছর পর পাহাড়ের নিশানাও থাকবে না। পাহাড় হারিয়ে গেলে কিছুদিন পর জীবজন্তু সবই লোকালয়ে চলে আসবে।
কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, কেইপিজেড শিল্পায়নের নামে দেয়াং পাহাড়কে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছে। পরিবেশ রক্ষায় তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। তাদের বেপরোয়া পাহাড় কাটার মাশুল দিচ্ছে এলাকাবাসী। জলাধার ভরাটের কারণে বর্ষায় পানি নামে লোকালয়ে। এ জন্য পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি স্থানীয়দের ভোগান্তি হয়।
পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে কেইপিজেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নিয়েই এখানে শিল্পায়নের জন্য প্লট ও সড়ক তৈরি করছি। পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সেভাবে পাহাড়ের টিলা কেটে সমতল করা হচ্ছে। যেসব শর্তে পরিবেশ অধিদপ্তর অনুমতি দিয়েছে আমরা কোনোভাবেই ওই শর্ত লঙ্ঘন করিনি।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ‘সম্প্রতি কেইপিজেডে পাহাড় কাটার ওই স্থান সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। সেখানে দুই কিলোমিটার এলাকায় যে সড়ক করা হচ্ছে, তা পরিবেশ ছাড়পত্রের শর্তানুযায়ী কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবেশের শর্ত লঙ্ঘন হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলম বলেন, ‘কেইপিজেডে পাহাড় কাটার বিষয়ে সদর দপ্তর থেকেও আমাকে অবগত করা হয়েছে। বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে।’
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান এলাকা থেকে আনোয়ারা বৈরাগ পর্যন্ত উঁচু পাহাড়ের সেই রূপ এখন বিলুপ্তির পথে। বাকি যে টিলা-পাহাড় রয়েছে, সেগুলো কেটে মাটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে ভরাট করে গড়ে উঠছে কারখানা, ইমারত, রাস্তা।
চট্টগ্রামের সবচেয়ে কাছের উপজেলা কর্ণফুলী। নদী-সমুদ্র পরিবেষ্টিত এ উপজেলার অপার সৌন্দর্য নদীতীরের দেয়াং পাহাড়। সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের এই পাহাড় আজ আর অক্ষত নেই। শিল্পায়নের নামে খননযন্ত্র দিয়ে তা কেটে মাটি অপসারণ করে সমতল করা হচ্ছে। পাহাড় কাটার ঠিকাদারিতে রয়েছে স্থানীয় দুই উপজেলার রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীরা।
জানা গেছে, আট বছর ধরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান দৌলতপুর এলাকার কেইপিজেড অঞ্চল, আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের মধ্য বন্দর, উত্তর বন্দর, মোহাম্মদপুর, ফকির কিল ও হাজিগাঁও এলাকায় চলে পাহাড় কাটা। কয়েক বছর আগে হাজিগাঁও ও মোহাম্মদপুর এলাকায় পাহাড় কাটা বন্ধ হলেও বড় উঠান দৌলতপুর এলাকার কেইপিজেড অঞ্চল এলাকায় এখনো পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। দিন-রাতে খননযন্ত্র দিয়ে বড় উঠান এলাকা থেকে আনোয়ারা বৈরাগ পর্যন্ত উঁচু পাহাড় কেটে মাটি অপসারণ করে সমতল করা হয়েছে। অপার সৌন্দর্য নদীতীরের দেয়াং পাহাড়ের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের সেই রূপ এখন বিলুপ্তের পথে। বাকি যে টিলা-পাহাড়গুলো রয়েছে, সেগুলো কেটে মাটি একস্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে ভরাট করে গড়ে উঠছে কারখানা, ইমারত, রাস্তা।
২০১২ সালে পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংসসহ পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কেইপিজেডের (কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা) তিন শীর্ষ কর্মকর্তার পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও সাত থেকে আটজনকে আসামি করে মামলাও করেন পরিবেশ অধিদপ্তর। কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলার আড়াই হাজার একর পাহাড়ি ভূমিতে কেইপিজেড গড়ে উঠছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর ৩৩টি শর্তে কেইপিজেডকে পাহাড় কাটার অনুমতি দেয়। শর্তে লেখা আছে, অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী পাহাড় কর্তন ও মোচন করা যাবে। পাহাড়-টিলা কাটার আগে পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানাতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ পাহাড়ের পাদদেশে টার্ফিং, স্ট্যাবিলাইজিং, সিল্ট ট্র্যাপ ইত্যাদি ব্যবস্থা না নিয়েই ভূমি উন্নয়নের নামে এসব পাহাড় কেটে যাচ্ছে সমানে। দেয়াং পাহাড়গুলো যখন ছিল, তখন লোকালয়ে কখনো হাতি আসত না। কেইপিজেড একের পর এক পাহাড়গুলো কেটে শেষ করছে। এখন বন্যপ্রাণীগুলো তাদের বাসস্থান হারিয়ে দিন-দুপুরে চলে আসে লোকালয়ে। দেয়াং পাহাড় এখন নামে আছে, উঁচু পাহাড়গুলো কেটে সমতল করে দিচ্ছে। তারা যেভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে, আগামী কয়েক বছর পর পাহাড়ের নিশানাও থাকবে না। পাহাড় হারিয়ে গেলে কিছুদিন পর জীবজন্তু সবই লোকালয়ে চলে আসবে।
কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, কেইপিজেড শিল্পায়নের নামে দেয়াং পাহাড়কে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছে। পরিবেশ রক্ষায় তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। তাদের বেপরোয়া পাহাড় কাটার মাশুল দিচ্ছে এলাকাবাসী। জলাধার ভরাটের কারণে বর্ষায় পানি নামে লোকালয়ে। এ জন্য পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি স্থানীয়দের ভোগান্তি হয়।
পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে কেইপিজেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নিয়েই এখানে শিল্পায়নের জন্য প্লট ও সড়ক তৈরি করছি। পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সেভাবে পাহাড়ের টিলা কেটে সমতল করা হচ্ছে। যেসব শর্তে পরিবেশ অধিদপ্তর অনুমতি দিয়েছে আমরা কোনোভাবেই ওই শর্ত লঙ্ঘন করিনি।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ‘সম্প্রতি কেইপিজেডে পাহাড় কাটার ওই স্থান সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। সেখানে দুই কিলোমিটার এলাকায় যে সড়ক করা হচ্ছে, তা পরিবেশ ছাড়পত্রের শর্তানুযায়ী কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবেশের শর্ত লঙ্ঘন হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলম বলেন, ‘কেইপিজেডে পাহাড় কাটার বিষয়ে সদর দপ্তর থেকেও আমাকে অবগত করা হয়েছে। বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে