সোহাগ পেশায় একজন গার্মেন্টসকর্মী। এরই মধ্যে বিয়ে করেছেন দুটি। আর কর্মস্থলে জড়িয়ে পড়েন অবৈধ সম্পর্কে। এটা নিয়েই তিক্ততা শুরু তাদের দাম্পত্য জীবনে। গার্মেন্টসে কাজ করার সময় মুক্তা বেগমের সঙ্গে তাঁর পরিচয়, ভালো লাগার একপর্যায়ে বিয়ে। তবে মুক্তার কাছে গোপন করেন প্রথম বিয়ের কথা বলে জানিয়েছেন সিআইডির এক কর্মকর্তা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এ তথ্য জানান।

এর আগে গত বুধবার রাতে রাজধানীর পল্লবী প্রথম স্ত্রীর বাসা থেকে গার্মেন্টসকর্মী মুক্তা বেগম (২৭) হত্যা মামলার আসামি স্বামী সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, আগের বিয়ের বিষয়টি মুক্তা বেগমের কাছে না বলে প্রথম স্ত্রী বিলকিস বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও একই কর্মস্থলে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি মুক্তা বেগম জানতে পেরে স্বামী সোহাগকে জিজ্ঞাসা করেন। এতেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশটি ঘরের মেঝেতে রেখে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান সোহাগ।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুক্তা ও সোহাগ দুজনেই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার পৃথক দুটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করতেন। অন্য এক গার্মেন্টসকর্মীর মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তাঁরা ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে বিয়ে করে বাসা ভাড়া করে সংসার করতে শুরু করেন। গত বছর মুক্তা বেগম ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে গর্ভপাত করান সোহাগ।

সোহাগ মুক্তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেন, মুক্তাকে ওড়নায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। পরে লাশটি ঘরের মেঝেতে রেখে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান তিনি।