তীব্র শীতে কাঁপছে তারাগঞ্জ। রাতে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। অধিকাংশ হতদরিদ্র মানুষের শীত নিবারণের গরম কাপড় নেই।

এ রকম পরিস্থিতিতে হতদরিদ্র শীতার্তদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে ২ হাজার ৩০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে বিতরণের জন্য কম্বলগুলো ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের কাছে দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, দরিদ্র ও ছিন্নমূল শীতার্তদের তুলনায় বরাদ্দ কম্বলের পরিমাণ খুবই সামান্য। প্রতি ২০ জনে একটি কম্বল পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রকল্প ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তারাগঞ্জের মোট জনসংখ্যা দেড় লাখ। এর মধ্যে অতিদরিদ্র ও নিম্ন-আয়ের মানুষ হচ্ছে প্রায় ৪৬ হাজার।

নতুন বছরের শুরু থেকে এ উপজেলায় শীতের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। এতে কষ্টে থাকা মানুষের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ২ হাজার ৩০০টি কম্বল বিতরণের জন্য দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কুর্শা ইউনিয়নে ৭০০, আলমপুরে ৪০০, ইকরচালীতে ৪০০, হাড়িয়ারকুঠিতে ৪০০ ও সয়ার ইউনিয়নে ৪০০ কম্বল দেওয়া হয়।

ইকরচালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭০০ জন। সেখানে পুরো ইকরচালী ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪০০টি কম্বল। আমার ভাগে হয়তো ২০ থেকে ২৫টি কম্বল পড়তে পারে। প্রতিদিন আমার বাড়িতে যে পরিমাণ দরিদ্র মানুষ কম্বলের জন্য ভিড় করছেন তা প্রায় ৩০০-এর মতো। ওই কম্বল কীভাবে বিতরণ করব তা নিয়ে মাথা ঘুরছে।’

ইউনিয়নের আরেক সদস্য মিলন মিয়া বলেন, ‘শীতার্ত মানুষ প্রতিদিন সরকারি কম্বলের জন্য ভিড় করছেন। তাতে বাড়িতে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে যে পরিমাণ কম্বল বরাদ্দ এসেছে তাতে ২০ জনে একটি কম্বল পাবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রথম ধাপে পাঁচটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৩০০ জন হতদরিদ্রের জন্য চেয়ারম্যানদের কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সেগুলো শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করবেন। আরও ১ হাজার ৯৫০টি কম্বল দেওয়া হবে।