আজিজুর রহমান, চৌগাছা
ত্রিশ বছর আগে স্বামী হারিয়েছেন পঁচাত্তর বছরের ছায়রন। স্বামী হারানোর পর অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে মানুষ করেছেন চার ছেলে ও দুই মেয়েকে। চার ছেলের তিনজন বর্তমানে জীবিত। নিজেরা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন। সবারই আছে ইটের (আধা পাকা) ঘর। মেঝ ছেলে আনিছুর ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি করছেন। বাড়িতে উঠেছে আমন ধান।
কিন্তু মা এখন আর কাজ করতে না পারায় তাঁকে বাঁশঝাড়ে একটি ঝুপড়ি ঘরে রেখেছেন প্রায় পাঁচ বছর ধরে। তবে সেই ঝুপড়িও ছেলেরা তৈরি করে দেননি। নিজের জমানো কিছু টাকা ছিল, সেই টাকার কিছু দিয়ে ঝুপড়ির দুই–তিনখানা টিন কিনে বাঁশের খুঁটির ওপর বসিয়ে দিয়েছেন ছেলেরা। বাকি টাকাও নিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। ঘটনাটি যশোরের চৌগাছার জগদীশপুর ইউনিয়নের স্বর্পরাজপুর গ্রামের।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রকৌশলী কাফী বিন কবির এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ দুটি কম্বল, চাল, ডাল আলুসহ খাবার নিয়ে হাজির হন সেখানে। ব্যক্তিগতভাবে এক হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয় বৃদ্ধাকে।
এ সময় সেখানে ইউএনও একটি কাঠের পিঁড়িতে বসে বৃদ্ধাকে চেয়ারে বসিয়ে কথা বলেন। শেষে বড় ছেলের পাকা ঘরের বারান্দায় তুলে দেন। নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য শাহিনুর রহমানকে এ সময় নির্দেশ দেন তিন ছেলেকে আগামী দুই দিনের মধ্যে ইউএনও অফিসে যেতে। তিনি বৃদ্ধাকে প্রতিশ্রুতি দেন তাঁকে আর না খেয়ে এভাবে ঝুপড়িতে থাকতে হবে না।
তবে ইউএনও আসার খবর পেয়েই বাড়িতে তালা দিয়ে সড়ে পড়েন ছেলের বউয়েরা। আগে থেকেই মাঠে কাজ করায় বাড়িতে ছিলেন না বৃদ্ধার ছেলেরাও। এ সময় প্রকৌশলী কাফী বিন কবির ছেলেদের বিচার করার কথা বলতেই কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধা। ইউএনওর হাত জড়িয়ে ধরে বলতে থাকেন, ‘না না না, সোনা। ওদের ধরতি হবে না। ওরা জন মাইনে খেটে খাচ্ছে। খাইয়ে যাক। ওদের কিছু বলবেন না।’
বৃদ্ধা ছায়রন বলেন, ‘সকালে গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও স্বর্পরাজপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আম্মাদুল তাঁকে খাবার দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই খাবার ছাড়া দুপুর পর্যন্ত আর কিছু খাইনি।’
তিনি ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেন, ছেলে ও পুত্রবধূরা তাঁকে বাড়িতেই যেতে দেন না। মাঝে মাঝে খাবার দিয়ে যান।
এ বিষয়ে ইউএনওর দায়িত্ব পালনকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাফী বিন কবির বলেন, ‘এটা খুবই অমানবিক বিষয়। মাকে এভাবে বাঁশঝাড়ে ময়লা আবর্জনার মধ্যে রাখার মতো খারাপ অবস্থায় তাঁরা নেই। আমরা বৃদ্ধাকে আপাতত কিছু খাবার, হাত খরচ ও দুটি কম্বল দিয়ে ছেলের ঘরে তুলে দিয়ে এসেছি। তাঁর ছেলেদের অফিসে আসতে বলা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ত্রিশ বছর আগে স্বামী হারিয়েছেন পঁচাত্তর বছরের ছায়রন। স্বামী হারানোর পর অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে মানুষ করেছেন চার ছেলে ও দুই মেয়েকে। চার ছেলের তিনজন বর্তমানে জীবিত। নিজেরা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন। সবারই আছে ইটের (আধা পাকা) ঘর। মেঝ ছেলে আনিছুর ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি করছেন। বাড়িতে উঠেছে আমন ধান।
কিন্তু মা এখন আর কাজ করতে না পারায় তাঁকে বাঁশঝাড়ে একটি ঝুপড়ি ঘরে রেখেছেন প্রায় পাঁচ বছর ধরে। তবে সেই ঝুপড়িও ছেলেরা তৈরি করে দেননি। নিজের জমানো কিছু টাকা ছিল, সেই টাকার কিছু দিয়ে ঝুপড়ির দুই–তিনখানা টিন কিনে বাঁশের খুঁটির ওপর বসিয়ে দিয়েছেন ছেলেরা। বাকি টাকাও নিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। ঘটনাটি যশোরের চৌগাছার জগদীশপুর ইউনিয়নের স্বর্পরাজপুর গ্রামের।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রকৌশলী কাফী বিন কবির এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ দুটি কম্বল, চাল, ডাল আলুসহ খাবার নিয়ে হাজির হন সেখানে। ব্যক্তিগতভাবে এক হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয় বৃদ্ধাকে।
এ সময় সেখানে ইউএনও একটি কাঠের পিঁড়িতে বসে বৃদ্ধাকে চেয়ারে বসিয়ে কথা বলেন। শেষে বড় ছেলের পাকা ঘরের বারান্দায় তুলে দেন। নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য শাহিনুর রহমানকে এ সময় নির্দেশ দেন তিন ছেলেকে আগামী দুই দিনের মধ্যে ইউএনও অফিসে যেতে। তিনি বৃদ্ধাকে প্রতিশ্রুতি দেন তাঁকে আর না খেয়ে এভাবে ঝুপড়িতে থাকতে হবে না।
তবে ইউএনও আসার খবর পেয়েই বাড়িতে তালা দিয়ে সড়ে পড়েন ছেলের বউয়েরা। আগে থেকেই মাঠে কাজ করায় বাড়িতে ছিলেন না বৃদ্ধার ছেলেরাও। এ সময় প্রকৌশলী কাফী বিন কবির ছেলেদের বিচার করার কথা বলতেই কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধা। ইউএনওর হাত জড়িয়ে ধরে বলতে থাকেন, ‘না না না, সোনা। ওদের ধরতি হবে না। ওরা জন মাইনে খেটে খাচ্ছে। খাইয়ে যাক। ওদের কিছু বলবেন না।’
বৃদ্ধা ছায়রন বলেন, ‘সকালে গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও স্বর্পরাজপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আম্মাদুল তাঁকে খাবার দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই খাবার ছাড়া দুপুর পর্যন্ত আর কিছু খাইনি।’
তিনি ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেন, ছেলে ও পুত্রবধূরা তাঁকে বাড়িতেই যেতে দেন না। মাঝে মাঝে খাবার দিয়ে যান।
এ বিষয়ে ইউএনওর দায়িত্ব পালনকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাফী বিন কবির বলেন, ‘এটা খুবই অমানবিক বিষয়। মাকে এভাবে বাঁশঝাড়ে ময়লা আবর্জনার মধ্যে রাখার মতো খারাপ অবস্থায় তাঁরা নেই। আমরা বৃদ্ধাকে আপাতত কিছু খাবার, হাত খরচ ও দুটি কম্বল দিয়ে ছেলের ঘরে তুলে দিয়ে এসেছি। তাঁর ছেলেদের অফিসে আসতে বলা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে