শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে মেঘনা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান জলাধার বন্ধ করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করায় ২০ বিঘা জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। এতে ২ গ্রামের ২০ বিঘা জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেও সমাধান পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী কৃষকেরা। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের জমি কম দামে কিনে নিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে কৃষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বরমী ইউনিয়নের নেহালিয়া ও সিটপাড়া গ্রামে গড়ে উঠছে মেঘনা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। নিচু জমি কিনে জলাধার বন্ধ করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকের ২০ বিঘা জমির ফসল পানিতে ডুবে আছে। ফসলি জমিতে এখন থইথই পানি। কিছু জমির ফসল একেবারে তলিয়ে গেছে। পানি থাকার কারণে কিছু জমিতে ধান রোপণ করতে পারেননি কৃষকেরা। পানি যেদিকে প্রবাহিত হতো, সেদিকেই কারখানার সংশ্লিষ্টরা উঁচু সীমানাপ্রাচীর দিয়ে জলাধার বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্থানীয় কৃষক মো. হিজবুল বাহার বলেন, ‘আমার দুই বিঘা জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে। আর দু-এক দিন পানির নিচে থাকলে সম্পূর্ণ ধান নষ্ট হয়ে যাবে।’
নেহালিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। ফলনও ভালো হওয়ার কথা। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষের নির্মাণ করা সীমানাপ্রাচীর থাকার কারণে জমির ফসল পানির নিচে পচে নষ্ট হচ্ছে।’
সিটপাড়া গ্রামের কৃষক মো. আজিজুল হক বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, এক বিঘা জমিতে আমনের চাষ করেছি। মেঘনা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের জমির ফসল ঘরে তুলতে দিল না। ফসলি জমিতে এখন থই থই পানি। কোম্পানি কম দাম জমি হাতিয়ে নিতে সুপরিকল্পিতভাবে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেছে।’
মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বে থাকা মো. গোলাপ মিয়া বলেন, ‘আমরা কোনো জলাধার বন্ধ করিনি। আমাদের জমিতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেছি। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে আমাদের কিছু করার নেই।’
মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন কারখানার প্রকল্প কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারখানা নির্মাণ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ খুব বেশি না। সমস্যার সমাধানে বিষয়টি কারখানা কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে। পানিনিষ্কাশন যেমন কৃষকদের প্রয়োজন, পাশাপাশি আমাদের কারখানার জন্যও প্রয়োজন।’
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকেরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষকে বলার পরেও তারা কথা রাখছে না।’
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে মেঘনা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান জলাধার বন্ধ করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করায় ২০ বিঘা জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। এতে ২ গ্রামের ২০ বিঘা জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেও সমাধান পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী কৃষকেরা। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের জমি কম দামে কিনে নিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে কৃষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বরমী ইউনিয়নের নেহালিয়া ও সিটপাড়া গ্রামে গড়ে উঠছে মেঘনা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। নিচু জমি কিনে জলাধার বন্ধ করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকের ২০ বিঘা জমির ফসল পানিতে ডুবে আছে। ফসলি জমিতে এখন থইথই পানি। কিছু জমির ফসল একেবারে তলিয়ে গেছে। পানি থাকার কারণে কিছু জমিতে ধান রোপণ করতে পারেননি কৃষকেরা। পানি যেদিকে প্রবাহিত হতো, সেদিকেই কারখানার সংশ্লিষ্টরা উঁচু সীমানাপ্রাচীর দিয়ে জলাধার বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্থানীয় কৃষক মো. হিজবুল বাহার বলেন, ‘আমার দুই বিঘা জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে। আর দু-এক দিন পানির নিচে থাকলে সম্পূর্ণ ধান নষ্ট হয়ে যাবে।’
নেহালিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। ফলনও ভালো হওয়ার কথা। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষের নির্মাণ করা সীমানাপ্রাচীর থাকার কারণে জমির ফসল পানির নিচে পচে নষ্ট হচ্ছে।’
সিটপাড়া গ্রামের কৃষক মো. আজিজুল হক বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, এক বিঘা জমিতে আমনের চাষ করেছি। মেঘনা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের জমির ফসল ঘরে তুলতে দিল না। ফসলি জমিতে এখন থই থই পানি। কোম্পানি কম দাম জমি হাতিয়ে নিতে সুপরিকল্পিতভাবে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেছে।’
মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বে থাকা মো. গোলাপ মিয়া বলেন, ‘আমরা কোনো জলাধার বন্ধ করিনি। আমাদের জমিতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেছি। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে আমাদের কিছু করার নেই।’
মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন কারখানার প্রকল্প কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারখানা নির্মাণ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ খুব বেশি না। সমস্যার সমাধানে বিষয়টি কারখানা কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে। পানিনিষ্কাশন যেমন কৃষকদের প্রয়োজন, পাশাপাশি আমাদের কারখানার জন্যও প্রয়োজন।’
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকেরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষকে বলার পরেও তারা কথা রাখছে না।’
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে