ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। প্রতিনিয়তই বাড়ছে তেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ ও সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে এসব পণ্য কিনতে এসে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষ। ফলে অনেকেই বাজারে এসে কেনাকাটা না করে ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ঝিনাইদহে সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। ভোরের থেকেই প্রিয়া সিনেমা হল, পায়রা চত্বর, শিশু একাডেমিসহ টিসিবির ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকের ভাগ্যেই মিলছে না পণ্য। ফলে খালি হাতে ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। আবার কোথায় কোথাও সৃষ্টি হচ্ছে হট্টগোলের। গেল এক সপ্তাহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এমনই চিত্র মেলে।
এই কেন্দ্রগুলোতে অতি দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত অনেক মানুষই সংসারের জন্য তেল, চিনি ও ডাল কিনতে দাঁড়াচ্ছেন লাইনে।
জানা যায়, ৪৭ জন ডিলার পর্যায়ক্রমে জেলার ৬টি উপজেলায় টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছেন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে দিনে দুই হাজার কেজি চিনি, মশুরডাল দুই হাজার কেজি, পেঁয়াজ পাঁচ হাজার কেজি আর সয়াবিন তেল দুই হাজার লিটার বিক্রি করা হচ্ছে।
এর মধ্যে ডাল ৬৫ টাকা কেজি, চিনি ৫৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৩০ টাকা আর তেল ১১০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
জেলা সদরের সাধুহাটি এলাকা থেকে আসা স্কুলশিক্ষক সাদিকুর রহমান বলেন, ‘কি করব আয় বাড়েনি। বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে তাল মিলাতে পারছি না, জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। জানি না কত দিন এভাবে চলবে।’
কাস্টসাগরা এলাকার মধুমিতা বিশ্বাস বলেন, ‘স্বামী দিনমজুর। অল্প টাকা রোজগার। তিনি কাজে গেছেন। আর আমি টিসিবি পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছি। যদি কম দামে তেল, চিনি, ডাল আর কিছু পেঁয়াজ কিনতে পারি তাহলে অন্তত কয়েকটা দিন ভালোভাবে চলতে পারব।’
টিসিবির পণ্য কিনতে আসা শফিকুল বিশ্বাস বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার দিকে ২ কেজি ডাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি চিনি আর ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনেছি। বেশ কয়েক দিনই চলে যাবে। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এই পণ্য কিনতে পেরেছি তাই লাইনে দাঁড়ানোর কষ্ট ভুলে গেছি।’
তাঁর মতো এমন অভিব্যক্তির কথা জানান লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে পারা অনেক নারী, পুরুষ।
টিসিবি পণ্য বিক্রেতা ইমরান হোসেন বলেন, ‘মানুষ অনেক কিন্তু পণ্য তো সীমিত তাই সকলকে ঠিকমতো দিতে পারছি না। তবুও চেষ্টা করছি যেগুলো পেয়েছি তা সঠিক ভাবে মানুষকে দেওয়ার জন্য। তবে শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রাম থেকেও মানুষ এসে পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়াচ্ছে, তাই কিছুটা হলেও এ সংকট দেখা দিচ্ছে।
অপর আরেক ক্রেতা বলেন, ‘সরকার যদি বাড়ায় এক টাকা তো ব্যবসায়ীরা বাড়ান ১০ টাকা। এসব তদারকি করার কেউ নেই। প্রসাশন যদি কঠোর হতো তাহলে আমাদের মতোন সাধারণ ক্রেতারা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকতে পারতাম।’
ঝিনাইদহ টিসিবি কেন্দ্রের অফিস প্রধান সহকারী কার্যনির্বাহী আতিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার ন্যায্য মূল্যে মানুষকে নিত্য পণ্য সরবরাহ করতে টিসিবির মাধ্যমে তেল, চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। পণ্যের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় কিছুটা হয়তো সংকট হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে সরকারের পক্ষ থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে। সে প্রক্রিয়াও চলমান আছে।’
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মণিরা বেগম টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শনকালে বলেন, সরকারের এই ন্যায্য মূল্যের বিক্রয় কার্যক্রম সব সময়ই তদারকিতে রাখা হয়েছে। সকলে যেন সঠিক ভাবে পণ্য কিনতে পারে, কোথাও অনিয়ম না হয় সে জন্য কঠোর নজরদারিতে রয়েছে বিক্রয়কেন্দ্রগুলো।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। প্রতিনিয়তই বাড়ছে তেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ ও সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে এসব পণ্য কিনতে এসে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষ। ফলে অনেকেই বাজারে এসে কেনাকাটা না করে ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ঝিনাইদহে সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। ভোরের থেকেই প্রিয়া সিনেমা হল, পায়রা চত্বর, শিশু একাডেমিসহ টিসিবির ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকের ভাগ্যেই মিলছে না পণ্য। ফলে খালি হাতে ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। আবার কোথায় কোথাও সৃষ্টি হচ্ছে হট্টগোলের। গেল এক সপ্তাহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এমনই চিত্র মেলে।
এই কেন্দ্রগুলোতে অতি দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত অনেক মানুষই সংসারের জন্য তেল, চিনি ও ডাল কিনতে দাঁড়াচ্ছেন লাইনে।
জানা যায়, ৪৭ জন ডিলার পর্যায়ক্রমে জেলার ৬টি উপজেলায় টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছেন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে দিনে দুই হাজার কেজি চিনি, মশুরডাল দুই হাজার কেজি, পেঁয়াজ পাঁচ হাজার কেজি আর সয়াবিন তেল দুই হাজার লিটার বিক্রি করা হচ্ছে।
এর মধ্যে ডাল ৬৫ টাকা কেজি, চিনি ৫৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৩০ টাকা আর তেল ১১০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
জেলা সদরের সাধুহাটি এলাকা থেকে আসা স্কুলশিক্ষক সাদিকুর রহমান বলেন, ‘কি করব আয় বাড়েনি। বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে তাল মিলাতে পারছি না, জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। জানি না কত দিন এভাবে চলবে।’
কাস্টসাগরা এলাকার মধুমিতা বিশ্বাস বলেন, ‘স্বামী দিনমজুর। অল্প টাকা রোজগার। তিনি কাজে গেছেন। আর আমি টিসিবি পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছি। যদি কম দামে তেল, চিনি, ডাল আর কিছু পেঁয়াজ কিনতে পারি তাহলে অন্তত কয়েকটা দিন ভালোভাবে চলতে পারব।’
টিসিবির পণ্য কিনতে আসা শফিকুল বিশ্বাস বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার দিকে ২ কেজি ডাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি চিনি আর ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনেছি। বেশ কয়েক দিনই চলে যাবে। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এই পণ্য কিনতে পেরেছি তাই লাইনে দাঁড়ানোর কষ্ট ভুলে গেছি।’
তাঁর মতো এমন অভিব্যক্তির কথা জানান লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে পারা অনেক নারী, পুরুষ।
টিসিবি পণ্য বিক্রেতা ইমরান হোসেন বলেন, ‘মানুষ অনেক কিন্তু পণ্য তো সীমিত তাই সকলকে ঠিকমতো দিতে পারছি না। তবুও চেষ্টা করছি যেগুলো পেয়েছি তা সঠিক ভাবে মানুষকে দেওয়ার জন্য। তবে শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রাম থেকেও মানুষ এসে পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়াচ্ছে, তাই কিছুটা হলেও এ সংকট দেখা দিচ্ছে।
অপর আরেক ক্রেতা বলেন, ‘সরকার যদি বাড়ায় এক টাকা তো ব্যবসায়ীরা বাড়ান ১০ টাকা। এসব তদারকি করার কেউ নেই। প্রসাশন যদি কঠোর হতো তাহলে আমাদের মতোন সাধারণ ক্রেতারা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকতে পারতাম।’
ঝিনাইদহ টিসিবি কেন্দ্রের অফিস প্রধান সহকারী কার্যনির্বাহী আতিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার ন্যায্য মূল্যে মানুষকে নিত্য পণ্য সরবরাহ করতে টিসিবির মাধ্যমে তেল, চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। পণ্যের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় কিছুটা হয়তো সংকট হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে সরকারের পক্ষ থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে। সে প্রক্রিয়াও চলমান আছে।’
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মণিরা বেগম টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শনকালে বলেন, সরকারের এই ন্যায্য মূল্যের বিক্রয় কার্যক্রম সব সময়ই তদারকিতে রাখা হয়েছে। সকলে যেন সঠিক ভাবে পণ্য কিনতে পারে, কোথাও অনিয়ম না হয় সে জন্য কঠোর নজরদারিতে রয়েছে বিক্রয়কেন্দ্রগুলো।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে