বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন গত রোববার দুপুরে পাথরঘাটা থানায় এই অভিযোগ করেন।
দেলোয়ার হোসেনের দাবি, কাকচিড়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি-সংলগ্ন এলাকায় তাঁদের পৈতৃক ক্রয়সূত্রে রেকর্ডীয় জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন সাংসদ রিমন। এ ছাড়া কাকচিড়া খাদ্যগুদামের চলাচলের পথ বন্ধ করে সেটিও দখলে নিয়ে ভবনের নির্মাণকাজ করছেন বলে জানিয়েছেন খাদ্য বিভাগের জমিদাতারা।
দেলোয়ার হোসেন পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের পূর্ব লেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা। সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বাড়িও একই ইউনিয়নে।
পাথরঘাটা থানায় করা লিখিত অভিযোগে বেলায়েত হোসেন উল্লেখ করেন, তফসিল বর্ণিত পাথরঘাটা উপজেলার লেমুয়া মৌজার ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি নিয়ে আদালতে বণ্টন মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলায় সম্প্রতি জমিতে স্থিতাবস্থা জারি করে আদেশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্থানীয় সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও তাঁর সমর্থক কাকচিড়ার বাসিন্দা মাহবুব ওই জমি দখলে নিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন। বাদী এতে বাধা দেওয়ার পর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা হয়। কিন্তু গত রোববার বেলা ১টার দিকে তিনি তাঁর জমিতে গিয়ে দেখতে পান, সেখানে সাংসদ রিমন ও মাহবুব ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। এ সময় তিনি কাজ করতে নিষেধ করলে মাহবুব হুমকি-ধমকি দিয়ে তাঁকে ওই স্থান ত্যাগ করতে বলেন।
বেলায়েত জানান, ওই মৌজার মোট ১৩ শতাংশ জমির এসএ রেকর্ডীয় মালিক ১০ জন। তাঁদের মধ্যে চারজনের ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি আনোয়ার গংয়ের কেনা। বাকি জমির মধ্যে জালাল আহমেদ শিকদার ও আবু জাফর ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ জমির মালিক। তাঁরা জমি বিক্রি করেননি। সাংসদ রিমন অন্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে দশমিক ৭৫ শতাংশ ও দশমিক ৬৫ শতাংশের দুটি জমি কিনেছেন; অথচ তিনি দাগের ৭ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পাঠিয়ে ওই কাজ বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন।
কাজ বন্ধ রাখলেও ওই দিন দুপুরে মাহবুব তাঁকে বলেন, ‘এমপির সঙ্গে টক্কর দিয়ে জমি খাবা! দেকপা আনে তোমারে জমি কেডা খাওয়ায়! তোমার কাগজপত্র থাকলে ঢাকায় গিয়া এমপির লগে কতা কও মিয়া।’
বেলায়েত বলেন, ২০০২ সালে জমির শরিকদের মধ্যে বিরোধীয় পাঁচটি দাগ নিয়ে বণ্টন মামলা চালু হয়। আইনজীবীর বাবা মারা যাওয়ায় মামলাটি পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটে। ২০০৮ সালে আবার মামলাটি চালু হলে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালত জমিতে স্থিতাবস্থা জারি করে আদেশ দেন।
বেলায়েত এ সময় আরও বলেন, ‘১৪ বছর ধরে বণ্টন মামলা চালাইয়া মুই নিঃস্ব হয়ে গেছি। মোর হেই জমি এখন এমপি সাব দখল কইরে বিল্ডিং গাততেছে। তিন দিন ধইররা তারে (এমপিরে) ফোন দিতেছি, ফোন না ধইররা ব্ল্যাক লিস্ট কইররা রাকছে। লাগলে মুই অই জমিতেই মইররা যামু, তোমো (তবুও) মোর জাগা ছাড়মু না।’
জমি দখল এবং হুমকি দেওয়ার বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে মাহবুব বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, ওই দাগ থেকে এমপি ৭ শতাংশ জমি কিনেছেন। সেখান থেকে তাঁর ৫ শতাংশ জমি দখলে আছে। দখলীয় জমিতেই তিনি কাজ করছেন। ওনাকে হুমকি দেওয়ার প্রশ্ন আসে না। তিনি কাগজপত্র অনুযায়ী জমি পেলে সেটা অন্য কেউ নিতে পারবে না।’
সাংসদ রিমনও দাবি করছেন, যে জমিতে কাজ করছেন, ওই জমির ক্রয়সূত্রে মালিক তিনি। সাংসদ বলেন, ‘৭ শতাংশ জমি রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারিশদের কাছ থেকে কিনেছি। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ওই জমি আমার দখলে। এখন সেই জমিতে কাজ করছি। তাঁকে (বেলায়েত হোসেনকে) বলেছি কাগজপত্র নিয়ে আসতে; কিন্তু তিনি আসেননি। এখানে বেলায়েতের জমি থাকলে আমি তাঁকে বুঝিয়ে দেব।’
বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন গত রোববার দুপুরে পাথরঘাটা থানায় এই অভিযোগ করেন।
দেলোয়ার হোসেনের দাবি, কাকচিড়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি-সংলগ্ন এলাকায় তাঁদের পৈতৃক ক্রয়সূত্রে রেকর্ডীয় জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন সাংসদ রিমন। এ ছাড়া কাকচিড়া খাদ্যগুদামের চলাচলের পথ বন্ধ করে সেটিও দখলে নিয়ে ভবনের নির্মাণকাজ করছেন বলে জানিয়েছেন খাদ্য বিভাগের জমিদাতারা।
দেলোয়ার হোসেন পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের পূর্ব লেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা। সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বাড়িও একই ইউনিয়নে।
পাথরঘাটা থানায় করা লিখিত অভিযোগে বেলায়েত হোসেন উল্লেখ করেন, তফসিল বর্ণিত পাথরঘাটা উপজেলার লেমুয়া মৌজার ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি নিয়ে আদালতে বণ্টন মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলায় সম্প্রতি জমিতে স্থিতাবস্থা জারি করে আদেশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্থানীয় সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও তাঁর সমর্থক কাকচিড়ার বাসিন্দা মাহবুব ওই জমি দখলে নিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন। বাদী এতে বাধা দেওয়ার পর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা হয়। কিন্তু গত রোববার বেলা ১টার দিকে তিনি তাঁর জমিতে গিয়ে দেখতে পান, সেখানে সাংসদ রিমন ও মাহবুব ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। এ সময় তিনি কাজ করতে নিষেধ করলে মাহবুব হুমকি-ধমকি দিয়ে তাঁকে ওই স্থান ত্যাগ করতে বলেন।
বেলায়েত জানান, ওই মৌজার মোট ১৩ শতাংশ জমির এসএ রেকর্ডীয় মালিক ১০ জন। তাঁদের মধ্যে চারজনের ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি আনোয়ার গংয়ের কেনা। বাকি জমির মধ্যে জালাল আহমেদ শিকদার ও আবু জাফর ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ জমির মালিক। তাঁরা জমি বিক্রি করেননি। সাংসদ রিমন অন্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে দশমিক ৭৫ শতাংশ ও দশমিক ৬৫ শতাংশের দুটি জমি কিনেছেন; অথচ তিনি দাগের ৭ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পাঠিয়ে ওই কাজ বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন।
কাজ বন্ধ রাখলেও ওই দিন দুপুরে মাহবুব তাঁকে বলেন, ‘এমপির সঙ্গে টক্কর দিয়ে জমি খাবা! দেকপা আনে তোমারে জমি কেডা খাওয়ায়! তোমার কাগজপত্র থাকলে ঢাকায় গিয়া এমপির লগে কতা কও মিয়া।’
বেলায়েত বলেন, ২০০২ সালে জমির শরিকদের মধ্যে বিরোধীয় পাঁচটি দাগ নিয়ে বণ্টন মামলা চালু হয়। আইনজীবীর বাবা মারা যাওয়ায় মামলাটি পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটে। ২০০৮ সালে আবার মামলাটি চালু হলে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালত জমিতে স্থিতাবস্থা জারি করে আদেশ দেন।
বেলায়েত এ সময় আরও বলেন, ‘১৪ বছর ধরে বণ্টন মামলা চালাইয়া মুই নিঃস্ব হয়ে গেছি। মোর হেই জমি এখন এমপি সাব দখল কইরে বিল্ডিং গাততেছে। তিন দিন ধইররা তারে (এমপিরে) ফোন দিতেছি, ফোন না ধইররা ব্ল্যাক লিস্ট কইররা রাকছে। লাগলে মুই অই জমিতেই মইররা যামু, তোমো (তবুও) মোর জাগা ছাড়মু না।’
জমি দখল এবং হুমকি দেওয়ার বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে মাহবুব বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, ওই দাগ থেকে এমপি ৭ শতাংশ জমি কিনেছেন। সেখান থেকে তাঁর ৫ শতাংশ জমি দখলে আছে। দখলীয় জমিতেই তিনি কাজ করছেন। ওনাকে হুমকি দেওয়ার প্রশ্ন আসে না। তিনি কাগজপত্র অনুযায়ী জমি পেলে সেটা অন্য কেউ নিতে পারবে না।’
সাংসদ রিমনও দাবি করছেন, যে জমিতে কাজ করছেন, ওই জমির ক্রয়সূত্রে মালিক তিনি। সাংসদ বলেন, ‘৭ শতাংশ জমি রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারিশদের কাছ থেকে কিনেছি। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ওই জমি আমার দখলে। এখন সেই জমিতে কাজ করছি। তাঁকে (বেলায়েত হোসেনকে) বলেছি কাগজপত্র নিয়ে আসতে; কিন্তু তিনি আসেননি। এখানে বেলায়েতের জমি থাকলে আমি তাঁকে বুঝিয়ে দেব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে