রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপ্লব মারমার নির্বাচনী ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে তাঁর কর্মী আফজাল হোসেন ও ইমাম হোসেনকে মেরে রক্তাক্ত করারও অভিযোগ করেছেন।

গতকাল শনিবার সকালে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইউপির দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিপ্লব মারমা।

তিনি ওই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর বিপরীতে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তার হোসেন মিলন।

অভিযোগে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জানান, গত শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের পরই রাত ৮টার দিকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগান। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পরই তাঁর প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকেরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় লাগানো পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এ ছাড়া কর্মীকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে।

বিপ্লব মারমা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা সশস্ত্র অবস্থায় মোটরসাইকেল মহড়া দেয়। ইউনিয়নের বারঘোনিয়া, কাটাপাহাড়, কয়লারডিপু, রেশমবাগান তনঞ্চঙ্গ্যাপাড়া, কলাবাগান ও থানাঘাট এলাকায় এসে আমার নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। আমার ২ জন কর্মীকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে।’

জানতে চাইলে আক্তার হোসেন মিলন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি গতকাল (শুক্রবার) রাতে ঢাকা ছিলাম, আজ (শনিবার) সকালে এসেছি। গত রাতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আমার কর্মীরা পোস্টার লাগিয়েছেন, কিন্তু কারও কোনো পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন কেউ ছিঁড়ে নাই; কাউকে মারধর করে নাই।’

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমি প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না। জনগণ যদি ভোট কেন্দ্রে না আসেন, তাহলে আমরা কাকে নিয়ে নির্বাচন করব? একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেমন আমার দল প্রত্যাশা করে, তেমনি আমিও জনগণের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার জানান, ‘আজ (শনিবার) সকালে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী একটি আবেদন করেছেন। এই বিষয়ে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান কে অবহিত করা হবে।’

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুন চন্দ্রঘোনা ইউপিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে। ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মাইনুল হোসেন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য আরশাদ আলী এরশাদ একমাত্র প্রার্থী হিসেবে বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া বাকি ৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ২১ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।