তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
কোর্ট হিলে জেলা প্রশাসনের নাকের ডগাতেই একের পর এক ভবন তুলেছে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি। গত ৪০ বছরে পাঁচটি ভবন নির্মাণ করা হলেও তখন কোনো আপত্তি তোলেনি প্রশাসন। শুধু তাই নয়, আইনজীবী ও সেবাপ্রার্থীদের কেন্দ্র করে এই পাহাড়ের বুকে গড়ে উঠেছে দোকানপাট, খাবার হোটেল, এমনকি শুঁটকির বাজারও। চার দশক ধরে এসব স্থাপনা তোলার সময় যেন নীরব দর্শক ছিল জেলা প্রশাসন।
তাদের সেই ঘুম ভাঙে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। এ সময় আইনজীবীরা নতুন করে আরও দুটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এখন জেলা প্রশাসন বলছে, নতুন দুটি ভবন তো বটেই, কোর্ট হিলে আইনজীবী সমিতির আগে নির্মাণ করা পাঁচ ভবনসহ ৩৫৩টি স্থাপনাই অবৈধ। এরপর সরকারি ২৫ দপ্তর থেকে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের চিঠি আসে।
আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ১৯৭৭ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ইজারা দলিলের ভিত্তিতে পরীর পাহাড়ে আইনজীবী সমিতিকে ১২ দশমিক ৯০ শতক জমি ইজারা দেওয়া হয়। আশির দশকে সেখানে ‘আইনজীবী সমিতি ভবন’ নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০১৪ সাল পর্যন্ত আইনজীবী এনেক্স-১, আইনজীবী এনেক্স-২, শাপলা ও দোয়েল নামে আরও চারটি ভবন নির্মাণ করে আইনজীবীদের চেম্বার বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইনজীবী সমিতি ‘বঙ্গবন্ধু আইনজীবী ভবন’ ও ‘একুশে আইনজীবী ভবন’ নামে আরও ১২ তলা ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করলে বাধা দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
ভবন হয় সিডিএর নকশা মেনে: জেলা প্রশাসন বলছে, সব ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে ইজারা নেওয়া ‘টিলা শ্রেণির’ জমির অতিরিক্ত ১ দশমিক ২৪ একর বেশি জমি দখল করেছে আইনজীবী সমিতি। তবে ওই পাঁচটি ভবনের নকশাই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অনুমোদন নিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের দাবির পর আইনজীবীদের পাঁচটি ভবন কীভাবে নির্মাণ হয়েছে এবং জমির মালিকানা নিশ্চিত না হয়ে নকশা অনুমোদন দিয়েছে কিনা এসব বিষয়ে সিডিএর কাছে জানতে চায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সিডিএর ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান ও উপপ্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আবু ঈসা আনছারীর সই করা এক চিঠিতে সম্প্রতি সেটির জবাব দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, কোর্ট হিল এলাকায় স্থাপনা নির্মাণের জন্য আইনজীবী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনজীবী সমিতি ভবনটির নকশা অনুমোদন দেওয়া হয় ২০০৪ সালের ২৪ আগস্ট। এরপর একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর আইনজীবী এনেক্স ভবন-১,২০০৫ সালের ৫ জুলাই আইনজীবী এনেক্স ভবন-২,২০০৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শাপলা ভবন এবং ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর দোয়েল ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
তখনো চুপ ছিল প্রশাসন: কোন প্রক্রিয়ায় নকশা অনুমোদন দিল সেটির ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে সিডিএর চিঠিতে। বলা হয়, সিডিএ নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে জন্য জমির মালিকানার বিষয়ে আবেদনকারীর দেওয়া জমির দলিল, খতিয়ানের ছায়ালিপি বিবেচনা করে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে জমির মালিকানার বিষয়ে পরবর্তীতে কেউ উপযুক্ত প্রমাণসহ আপত্তি জানালে সিডিএর আইন উপদেষ্টার মতামত নিয়ে ইমারত নকশা অনুমোদনের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে নির্মিত ভবনগুলোর অবস্থান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কাছে। কিন্তু প্রথম নির্মাণ নকশা অনুমোদন (২০০৪ সালের ২৪ আগস্ট) দেওয়া থেকে সর্বশেষ (৩১ ডিসেম্বর ২০১৪) অনুমোদন দেওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কিংবা বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তর থেকে কোনো আপত্তি তোলা হয়নি। এমনকি ভবনগুলো নির্মাণের সময়ও কোনো আপত্তি জানানো হয়নি।
যদিও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, অতীতেও আইনজীবী সমিতির অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের বিষয়ে জেলা প্রশাসন প্রতিবাদ করেছিল। এরপরও তাঁরা কীভাবে ভবন নির্মাণ করল—এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘তখন আইনজীবী সমিতির সঙ্গে জেলা প্রশাসন কুলিয়ে উঠতে পারেনি।’
এখন সিডিএর অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণের বিষয়টিই সামনে আনছে আইনজীবী সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আমরা সিডিএর অনুমোদন নিয়েই ভবন নির্মাণ করেছি। জেলা প্রশাসন তখন কিছু বলেনি। এত বছর পর এসে আমরা অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করেছি—বললে তো হবে না।’
২৫ দপ্তর থেকে আইনজীবীদের ভবনসহ স্থাপনা উচ্ছেদে চিঠি দেওয়ার বিষয়টিও ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, জেলা প্রশাসন সরকারি দপ্তরগুলোকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে।
কোর্ট হিলে জেলা প্রশাসনের নাকের ডগাতেই একের পর এক ভবন তুলেছে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি। গত ৪০ বছরে পাঁচটি ভবন নির্মাণ করা হলেও তখন কোনো আপত্তি তোলেনি প্রশাসন। শুধু তাই নয়, আইনজীবী ও সেবাপ্রার্থীদের কেন্দ্র করে এই পাহাড়ের বুকে গড়ে উঠেছে দোকানপাট, খাবার হোটেল, এমনকি শুঁটকির বাজারও। চার দশক ধরে এসব স্থাপনা তোলার সময় যেন নীরব দর্শক ছিল জেলা প্রশাসন।
তাদের সেই ঘুম ভাঙে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। এ সময় আইনজীবীরা নতুন করে আরও দুটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এখন জেলা প্রশাসন বলছে, নতুন দুটি ভবন তো বটেই, কোর্ট হিলে আইনজীবী সমিতির আগে নির্মাণ করা পাঁচ ভবনসহ ৩৫৩টি স্থাপনাই অবৈধ। এরপর সরকারি ২৫ দপ্তর থেকে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের চিঠি আসে।
আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ১৯৭৭ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ইজারা দলিলের ভিত্তিতে পরীর পাহাড়ে আইনজীবী সমিতিকে ১২ দশমিক ৯০ শতক জমি ইজারা দেওয়া হয়। আশির দশকে সেখানে ‘আইনজীবী সমিতি ভবন’ নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০১৪ সাল পর্যন্ত আইনজীবী এনেক্স-১, আইনজীবী এনেক্স-২, শাপলা ও দোয়েল নামে আরও চারটি ভবন নির্মাণ করে আইনজীবীদের চেম্বার বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইনজীবী সমিতি ‘বঙ্গবন্ধু আইনজীবী ভবন’ ও ‘একুশে আইনজীবী ভবন’ নামে আরও ১২ তলা ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করলে বাধা দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
ভবন হয় সিডিএর নকশা মেনে: জেলা প্রশাসন বলছে, সব ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে ইজারা নেওয়া ‘টিলা শ্রেণির’ জমির অতিরিক্ত ১ দশমিক ২৪ একর বেশি জমি দখল করেছে আইনজীবী সমিতি। তবে ওই পাঁচটি ভবনের নকশাই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অনুমোদন নিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের দাবির পর আইনজীবীদের পাঁচটি ভবন কীভাবে নির্মাণ হয়েছে এবং জমির মালিকানা নিশ্চিত না হয়ে নকশা অনুমোদন দিয়েছে কিনা এসব বিষয়ে সিডিএর কাছে জানতে চায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সিডিএর ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান ও উপপ্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আবু ঈসা আনছারীর সই করা এক চিঠিতে সম্প্রতি সেটির জবাব দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, কোর্ট হিল এলাকায় স্থাপনা নির্মাণের জন্য আইনজীবী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনজীবী সমিতি ভবনটির নকশা অনুমোদন দেওয়া হয় ২০০৪ সালের ২৪ আগস্ট। এরপর একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর আইনজীবী এনেক্স ভবন-১,২০০৫ সালের ৫ জুলাই আইনজীবী এনেক্স ভবন-২,২০০৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শাপলা ভবন এবং ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর দোয়েল ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
তখনো চুপ ছিল প্রশাসন: কোন প্রক্রিয়ায় নকশা অনুমোদন দিল সেটির ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে সিডিএর চিঠিতে। বলা হয়, সিডিএ নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে জন্য জমির মালিকানার বিষয়ে আবেদনকারীর দেওয়া জমির দলিল, খতিয়ানের ছায়ালিপি বিবেচনা করে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে জমির মালিকানার বিষয়ে পরবর্তীতে কেউ উপযুক্ত প্রমাণসহ আপত্তি জানালে সিডিএর আইন উপদেষ্টার মতামত নিয়ে ইমারত নকশা অনুমোদনের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে নির্মিত ভবনগুলোর অবস্থান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কাছে। কিন্তু প্রথম নির্মাণ নকশা অনুমোদন (২০০৪ সালের ২৪ আগস্ট) দেওয়া থেকে সর্বশেষ (৩১ ডিসেম্বর ২০১৪) অনুমোদন দেওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কিংবা বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তর থেকে কোনো আপত্তি তোলা হয়নি। এমনকি ভবনগুলো নির্মাণের সময়ও কোনো আপত্তি জানানো হয়নি।
যদিও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, অতীতেও আইনজীবী সমিতির অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের বিষয়ে জেলা প্রশাসন প্রতিবাদ করেছিল। এরপরও তাঁরা কীভাবে ভবন নির্মাণ করল—এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘তখন আইনজীবী সমিতির সঙ্গে জেলা প্রশাসন কুলিয়ে উঠতে পারেনি।’
এখন সিডিএর অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণের বিষয়টিই সামনে আনছে আইনজীবী সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আমরা সিডিএর অনুমোদন নিয়েই ভবন নির্মাণ করেছি। জেলা প্রশাসন তখন কিছু বলেনি। এত বছর পর এসে আমরা অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করেছি—বললে তো হবে না।’
২৫ দপ্তর থেকে আইনজীবীদের ভবনসহ স্থাপনা উচ্ছেদে চিঠি দেওয়ার বিষয়টিও ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, জেলা প্রশাসন সরকারি দপ্তরগুলোকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৭ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১০ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে