পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে পটুয়াখালীতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ কারণে স্থানীয় কৃষকেরা মুগ ডাল ও রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসে ৫৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি, বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালীসহ সব উপজেলায় বৃষ্টির পানিতে মুগ ডাল, বাদাম, মরিচ ও শাকসবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ১৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে। বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর। এ ছাড়া পটুয়াখালী জেলায় এক লাখ হেক্টর জমিতে মুগ ডালের চাষ হয়েছে। এ বছর ৮৯ হাজার হেক্টর মুগ ডালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ভারী বর্ষণের কারণে মুগ ডালের কিছুটা ক্ষতি হবে এবং ২০০ হেক্টরের মতো রবি ফসল আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার খেতে ধান ও মুগ ডাল লাগাইছি। বন্যা আসার খবরে ধান কাইট্টা হালাইছি। কিন্তু মুগ ডাইল তুলতে পারি নাই। এহন বৃষ্টির পানি লাগায় মুগ ডাইলে গজ হইয়া যাইতেছে।’
রাঙ্গাবালী উপজেলার বিজয় দাস বলেন, ‘আমি ৫ একর জমিতে মুগ ডাল, ৫৩ শতাংশ জমিতে বাদাম আর ১ একর জমিতে মরিচ চাষ করেছি। গত কয়েক দিন শ্রমিক-সংকট ছিল। ডাল ঘরে তুলতে পারিনি। কিন্তু এ বৃষ্টিতে আমার সব শেষ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।’
দশমিনা উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক মো. আকবর মিয়া বলেন, ‘এবার ১ একর জমিতে চিনাবাদাম আবাদ করেছি। তবে গত তিন দিনের বৃষ্টিতে চিন্তায় পড়ে গেছি। বাদাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
এদিকে দশমিনা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহম্মেদ বলেন, ‘এই উপজেলার দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ফসল কাটার উপযোগী হয়েছে। বৃষ্টিপাত যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তাই কৃষকদের দ্রুত বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আর এই উপজেলায় ১৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে মুগ ডালের চাষ হয়েছে। তবে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে বোরো ধান বা রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা কম। তবে বৃষ্টি বাড়লে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।’
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘দুর্যোগের আগে ও পরে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি যাতে কমিয়ে আনা যায়, সে জন্য আগে থেকেই কৃষি বিভাগ কাজ করছে এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। এ ছাড়া যতটা সম্ভব মাঠের ফসল দ্রুত সংগ্রহ করার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। এরই মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে পটুয়াখালীতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ কারণে স্থানীয় কৃষকেরা মুগ ডাল ও রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসে ৫৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি, বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালীসহ সব উপজেলায় বৃষ্টির পানিতে মুগ ডাল, বাদাম, মরিচ ও শাকসবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ১৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে। বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর। এ ছাড়া পটুয়াখালী জেলায় এক লাখ হেক্টর জমিতে মুগ ডালের চাষ হয়েছে। এ বছর ৮৯ হাজার হেক্টর মুগ ডালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ভারী বর্ষণের কারণে মুগ ডালের কিছুটা ক্ষতি হবে এবং ২০০ হেক্টরের মতো রবি ফসল আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার খেতে ধান ও মুগ ডাল লাগাইছি। বন্যা আসার খবরে ধান কাইট্টা হালাইছি। কিন্তু মুগ ডাইল তুলতে পারি নাই। এহন বৃষ্টির পানি লাগায় মুগ ডাইলে গজ হইয়া যাইতেছে।’
রাঙ্গাবালী উপজেলার বিজয় দাস বলেন, ‘আমি ৫ একর জমিতে মুগ ডাল, ৫৩ শতাংশ জমিতে বাদাম আর ১ একর জমিতে মরিচ চাষ করেছি। গত কয়েক দিন শ্রমিক-সংকট ছিল। ডাল ঘরে তুলতে পারিনি। কিন্তু এ বৃষ্টিতে আমার সব শেষ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।’
দশমিনা উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক মো. আকবর মিয়া বলেন, ‘এবার ১ একর জমিতে চিনাবাদাম আবাদ করেছি। তবে গত তিন দিনের বৃষ্টিতে চিন্তায় পড়ে গেছি। বাদাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
এদিকে দশমিনা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহম্মেদ বলেন, ‘এই উপজেলার দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ফসল কাটার উপযোগী হয়েছে। বৃষ্টিপাত যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তাই কৃষকদের দ্রুত বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আর এই উপজেলায় ১৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে মুগ ডালের চাষ হয়েছে। তবে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে বোরো ধান বা রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা কম। তবে বৃষ্টি বাড়লে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।’
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘দুর্যোগের আগে ও পরে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি যাতে কমিয়ে আনা যায়, সে জন্য আগে থেকেই কৃষি বিভাগ কাজ করছে এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। এ ছাড়া যতটা সম্ভব মাঠের ফসল দ্রুত সংগ্রহ করার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। এরই মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে