লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে একটি বোরো সেচ প্রকল্প চালু নিয়ে দুদিনে দুই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন। প্রথম চিঠিতে তিনি সেচ প্রকল্প চালুর অনুমতি দিলেও পরের চিঠিতে সেই আদেশ বাতিল করেন। এ কারণে চলতি মৌসুমে প্রায় ২৬ একর জমিতে ধানের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আওতায় নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরকে নিয়ে ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পটি লক্ষ্মীপুর সদরের মান্দারীর পশ্চিম গন্ধব্যপুর এলাকায়।
কৃষকেরা বলেন, বোরো ধানের চারা লাগানোর সময় যাচ্ছে। কিন্তু পানির অভাবে জমিতে এখনো হাল দিতে পারছেন না। সময়মতো চারা লাগাতে না পারলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রকল্পের ম্যানেজার ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। প্রকল্পটি ইসমাইলের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগটি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যা বিএডিসি এবং কৃষি কর্মকর্তাদের তদন্তেও উঠে আসে।
তাঁদের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উপজেলা সেচ প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন গত ২০ জানুয়ারি ইসমাইল হোসেনকে সেচ প্রকল্প চালু করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেন। কিন্তু তিন দিন পর ২৩ জানুয়ারি আবার ওই চিঠির আদেশ বাতিল করে সেচ প্রকল্প বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
প্রকল্পের আওতাধীন কৃষক মমিন উল্যা, খলিল মিয়া, শাহ আলম, মফিজ উল্যা, আবদুস সহিদসহ অনেকে বলেন, পানির অভাবে চাষ দিতে পারছেন না। অথচ দুই সপ্তাহ আগে চারা লাগানোর সময় ছিল। বীজতলার চারাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহিমের সুপারিশ নিয়ে গত ১৯ জুলাই মো. মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। ১৬ নভেম্বর পাল্টা অভিযোগ করেন প্রকল্পের ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন ও হারাধন চন্দ্র মজুমদার। গত
১৯ জানুয়ারি মহিউদ্দিনের অভিযোগটি ব্যক্তিস্বার্থে করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম। পরে ইউএনও আরেকটি চিঠি দেন পাম্প চালু না করতে।
তবে মহিউদ্দিন বলেন, ‘ম্যানেজার ইসমাইল ঠিকমতো পানি দিতেন না। তিনি অতিরিক্ত টাকা আদায় করতেন এবং কৃষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। তাই কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি অভিযোগ করেছি।’
বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মামুন বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সেচ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছি। কৃষকেরা জমিতে পানি চাচ্ছেন। কিন্তু প্রকল্প ম্যানেজার ইসমাইল সেচ পাম্প চালু করতে পারছেন না।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান ইমাম বলেন, ‘প্রকল্পটি বিএডিসির। এতে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই। তবে অভিযোগগুলো আমরা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছি। বিষয়টি সমাধান হলে কৃষকেরা চাষাবাদ শুরু করতে পারবেন।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের আবেদনের ভিত্তিতে সেচ পাম্প চালানোর নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু আরেকটি অভিযোগের কারণে পাম্প বন্ধ রাখতে বলেছি। দুই-এক দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
লক্ষ্মীপুরে একটি বোরো সেচ প্রকল্প চালু নিয়ে দুদিনে দুই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন। প্রথম চিঠিতে তিনি সেচ প্রকল্প চালুর অনুমতি দিলেও পরের চিঠিতে সেই আদেশ বাতিল করেন। এ কারণে চলতি মৌসুমে প্রায় ২৬ একর জমিতে ধানের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আওতায় নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরকে নিয়ে ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পটি লক্ষ্মীপুর সদরের মান্দারীর পশ্চিম গন্ধব্যপুর এলাকায়।
কৃষকেরা বলেন, বোরো ধানের চারা লাগানোর সময় যাচ্ছে। কিন্তু পানির অভাবে জমিতে এখনো হাল দিতে পারছেন না। সময়মতো চারা লাগাতে না পারলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রকল্পের ম্যানেজার ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। প্রকল্পটি ইসমাইলের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগটি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যা বিএডিসি এবং কৃষি কর্মকর্তাদের তদন্তেও উঠে আসে।
তাঁদের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উপজেলা সেচ প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন গত ২০ জানুয়ারি ইসমাইল হোসেনকে সেচ প্রকল্প চালু করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেন। কিন্তু তিন দিন পর ২৩ জানুয়ারি আবার ওই চিঠির আদেশ বাতিল করে সেচ প্রকল্প বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
প্রকল্পের আওতাধীন কৃষক মমিন উল্যা, খলিল মিয়া, শাহ আলম, মফিজ উল্যা, আবদুস সহিদসহ অনেকে বলেন, পানির অভাবে চাষ দিতে পারছেন না। অথচ দুই সপ্তাহ আগে চারা লাগানোর সময় ছিল। বীজতলার চারাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহিমের সুপারিশ নিয়ে গত ১৯ জুলাই মো. মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। ১৬ নভেম্বর পাল্টা অভিযোগ করেন প্রকল্পের ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন ও হারাধন চন্দ্র মজুমদার। গত
১৯ জানুয়ারি মহিউদ্দিনের অভিযোগটি ব্যক্তিস্বার্থে করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম। পরে ইউএনও আরেকটি চিঠি দেন পাম্প চালু না করতে।
তবে মহিউদ্দিন বলেন, ‘ম্যানেজার ইসমাইল ঠিকমতো পানি দিতেন না। তিনি অতিরিক্ত টাকা আদায় করতেন এবং কৃষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। তাই কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি অভিযোগ করেছি।’
বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মামুন বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সেচ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছি। কৃষকেরা জমিতে পানি চাচ্ছেন। কিন্তু প্রকল্প ম্যানেজার ইসমাইল সেচ পাম্প চালু করতে পারছেন না।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান ইমাম বলেন, ‘প্রকল্পটি বিএডিসির। এতে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই। তবে অভিযোগগুলো আমরা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছি। বিষয়টি সমাধান হলে কৃষকেরা চাষাবাদ শুরু করতে পারবেন।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের আবেদনের ভিত্তিতে সেচ পাম্প চালানোর নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু আরেকটি অভিযোগের কারণে পাম্প বন্ধ রাখতে বলেছি। দুই-এক দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২০ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে