রানা আব্বাস, অ্যান্টিগা থেকে
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পরশু বিকেলেই বাংলাদেশ দল অ্যান্টিগা থেকে সেন্ট ভিনসেন্টের ফ্লাইট ধরেছে। অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান ম্যাচটা টেলিভিশনে তাঁদের সেন্ট ভিনসেন্টের টিম হোটেলে বসেই দেখার কথা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানদের জয়ে বাংলাদেশ দল তাহলে কী বার্তা পেয়েছে?
আর্নস ভেলে আফগানিস্তানকে হারাতে কতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে, তা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানদের রূপকথা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ভারতের কাছে হারের পর অ্যান্টিগায় সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘মনে করি না আমাদের আর সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে। তবে এ-ও বলতে হচ্ছে, একটা জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করার এটা এক দারুণ সুযোগ। আমরা মাথা উঁচু করে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাই। আফগানিস্তান খুবই ভালো দল। ওদের হারাতে নিজের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগেও আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ—দুই দলই মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রায় কাছাকাছি ছিল। কিন্তু অজিদের হারিয়ে আফগানরা নিঃসন্দেহে সাকিবদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে গেছেন। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ড আর সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবে আফগানিস্তানের আত্মবিশ্বাস এখন অনেক উঁচুতে। তাদের চোখে খেলতে শুরু করেছে সেমিফাইনালের স্বপ্ন। অন্যদিকে সুপার এইটে দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের কাছে হেরে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে খেয়েছে বড় ধাক্কা; বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত আর দলের সমন্বয় নিয়ে অনেক প্রশ্ন। খোদ সাকিবই যে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সিদ্ধান্তে একমত নন, সেটি তিনি সংবাদ সম্মেলনেই বলে গেছেন। সাকিবের মতে, টস জিতে ব্যাটিংই করা উচিত ছিল।
সুপার এইটের ‘গ্রুপ-১’ পয়েন্ট টেবিলে একেবারে তলানিতে আছে বাংলাদেশ। নেট রানরেট –২.৪৮৯। বাস্তবতার বিচারে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কিন্তু সমীকরণের জটিল মারপ্যাঁচ আবার বাংলাদেশকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিতে দিচ্ছে না।
সুপার এইটের শেষ দিনে আফগানিস্তানকে যদি বাংলাদেশ হারিয়ে দেয় আর ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারায়, তাহলে পয়েন্ট টেবিলের চিত্র কী দাঁড়াবে?
বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান—তিন দলের সমান ২ পয়েন্ট। তখন চলে আসবে নেট রানরেটের হিসাব। কোন দল কত ব্যবধানে হারাচ্ছে, সেটির ওপর নির্ভর করবে নেট রানরেটের হিসাব।
এসব কাগজ-কলমের জটিল হিসাব আর অনেক ‘যদি-কিন্তু’ মিলিয়ে বাংলাদেশ যাবতীয় অসম্ভবকে আদৌ সম্ভব করতে পারবে কি পারবে না, সেই উত্তর সময়ের হাতেই তোলা থাক। তবে ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়ানোর অনেক উপাদান থাকছে। আর্নস ভেলে আফগানিস্তান যেমন রূপকথা লিখেছে, বাংলাদেশের কাছেও মাঠটা যথেষ্ট পয়মন্ত। এখানেই নেপাল আর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে শান্তর দল। দুই দলের কাছে কন্ডিশন-উইকেট অতি পরিচিত হয়ে গেছে। মন্থর এই উইকেটে মাঝারি স্কোরই যে অনেক বড় পুঁজি, সেটি এরই মধ্যে প্রমাণিত। সেন্ট ভিনসেন্টে নেপাল খুব কাছাকাছি গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে না পারলেও আফগানিস্তান আর ওই ভুল করেনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মুখোমুখি লড়াইয়ে এখন আফগানরা সামান্য এগিয়ে, ১২ সাক্ষাতে ৬টিতে আফগানরা জিতেছে, বাকি ৫টিতে বাংলাদেশ। একটি পরিত্যক্ত। পরিসংখ্যানের মতো দুই দলের বোলিং-ব্যাটিং শক্তিও প্রায় কাছাকাছি। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে বোলিং আফগানরা করেছেন, রশিদ-ফারুকি-গুলবাদিনদের বাংলাদেশের ভঙ্গুর ব্যাটিং কতটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে, সেটি এক প্রশ্ন।
টগবগে আত্মবিশ্বাসী আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই ম্যাচ শুধুই টুর্নামেন্ট হাসিমুখে শেষ করার নয়, মর্যাদারও লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি আফগানদের হারাতে পারে, সেমিফাইনালের জটিল হিসাব বাদ রেখেই বাংলাদেশ হাসিমুখে অন্তত ঘরে ফিরতে পারবে।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পরশু বিকেলেই বাংলাদেশ দল অ্যান্টিগা থেকে সেন্ট ভিনসেন্টের ফ্লাইট ধরেছে। অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান ম্যাচটা টেলিভিশনে তাঁদের সেন্ট ভিনসেন্টের টিম হোটেলে বসেই দেখার কথা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানদের জয়ে বাংলাদেশ দল তাহলে কী বার্তা পেয়েছে?
আর্নস ভেলে আফগানিস্তানকে হারাতে কতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে, তা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানদের রূপকথা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ভারতের কাছে হারের পর অ্যান্টিগায় সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘মনে করি না আমাদের আর সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে। তবে এ-ও বলতে হচ্ছে, একটা জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করার এটা এক দারুণ সুযোগ। আমরা মাথা উঁচু করে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাই। আফগানিস্তান খুবই ভালো দল। ওদের হারাতে নিজের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগেও আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ—দুই দলই মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রায় কাছাকাছি ছিল। কিন্তু অজিদের হারিয়ে আফগানরা নিঃসন্দেহে সাকিবদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে গেছেন। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ড আর সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবে আফগানিস্তানের আত্মবিশ্বাস এখন অনেক উঁচুতে। তাদের চোখে খেলতে শুরু করেছে সেমিফাইনালের স্বপ্ন। অন্যদিকে সুপার এইটে দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের কাছে হেরে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে খেয়েছে বড় ধাক্কা; বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত আর দলের সমন্বয় নিয়ে অনেক প্রশ্ন। খোদ সাকিবই যে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সিদ্ধান্তে একমত নন, সেটি তিনি সংবাদ সম্মেলনেই বলে গেছেন। সাকিবের মতে, টস জিতে ব্যাটিংই করা উচিত ছিল।
সুপার এইটের ‘গ্রুপ-১’ পয়েন্ট টেবিলে একেবারে তলানিতে আছে বাংলাদেশ। নেট রানরেট –২.৪৮৯। বাস্তবতার বিচারে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কিন্তু সমীকরণের জটিল মারপ্যাঁচ আবার বাংলাদেশকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিতে দিচ্ছে না।
সুপার এইটের শেষ দিনে আফগানিস্তানকে যদি বাংলাদেশ হারিয়ে দেয় আর ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারায়, তাহলে পয়েন্ট টেবিলের চিত্র কী দাঁড়াবে?
বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান—তিন দলের সমান ২ পয়েন্ট। তখন চলে আসবে নেট রানরেটের হিসাব। কোন দল কত ব্যবধানে হারাচ্ছে, সেটির ওপর নির্ভর করবে নেট রানরেটের হিসাব।
এসব কাগজ-কলমের জটিল হিসাব আর অনেক ‘যদি-কিন্তু’ মিলিয়ে বাংলাদেশ যাবতীয় অসম্ভবকে আদৌ সম্ভব করতে পারবে কি পারবে না, সেই উত্তর সময়ের হাতেই তোলা থাক। তবে ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়ানোর অনেক উপাদান থাকছে। আর্নস ভেলে আফগানিস্তান যেমন রূপকথা লিখেছে, বাংলাদেশের কাছেও মাঠটা যথেষ্ট পয়মন্ত। এখানেই নেপাল আর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে শান্তর দল। দুই দলের কাছে কন্ডিশন-উইকেট অতি পরিচিত হয়ে গেছে। মন্থর এই উইকেটে মাঝারি স্কোরই যে অনেক বড় পুঁজি, সেটি এরই মধ্যে প্রমাণিত। সেন্ট ভিনসেন্টে নেপাল খুব কাছাকাছি গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে না পারলেও আফগানিস্তান আর ওই ভুল করেনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মুখোমুখি লড়াইয়ে এখন আফগানরা সামান্য এগিয়ে, ১২ সাক্ষাতে ৬টিতে আফগানরা জিতেছে, বাকি ৫টিতে বাংলাদেশ। একটি পরিত্যক্ত। পরিসংখ্যানের মতো দুই দলের বোলিং-ব্যাটিং শক্তিও প্রায় কাছাকাছি। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে বোলিং আফগানরা করেছেন, রশিদ-ফারুকি-গুলবাদিনদের বাংলাদেশের ভঙ্গুর ব্যাটিং কতটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে, সেটি এক প্রশ্ন।
টগবগে আত্মবিশ্বাসী আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই ম্যাচ শুধুই টুর্নামেন্ট হাসিমুখে শেষ করার নয়, মর্যাদারও লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি আফগানদের হারাতে পারে, সেমিফাইনালের জটিল হিসাব বাদ রেখেই বাংলাদেশ হাসিমুখে অন্তত ঘরে ফিরতে পারবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৬ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৮ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে