রুশা চৌধুরী, আবৃত্তিশিল্পী
শীত চলে এল। শীত মানে তার সঙ্গে বড়দিনেরও আসা। বড়দিনে সান্তা ক্লজ বাচ্চাদের জন্য উপহার নিয়ে আসেন। সেই উপহার আমরা কখনো পাইনি। কারণ আমাদের চারপাশে ঈদ, পুজো যতটা দেখেছি, বড়দিন ততটা দেখিনি। তবু শীতের সঙ্গে মিলেমিশে সেই লাল-সাদা রংটা ছিল খুব কাছের জিনিসের মতো। আমাদের ছেলেবেলায় এ সময়ে উঁচু বাক্স বা তাক থেকে আগের বছর উঠিয়ে রাখা লাল রঙের লেপ নামানো হতো। লাল লেপের গায়ে সাদা রঙের কভার পরানো থাকত। দেখতে যেন একদম সান্তার মতোই। আজকালকার কাশ্মীরি শাল, তুরস্ক-আরবের কম্বলের তখন এত রমরমা অবস্থা ছিল না।
গ্রামে শীত মানেই ধানকাটা, খেজুরের রসসহ পিঠা-পুলির ব্যাপার ছিল। আর আমাদের শহুরে মানুষের কাছে লাল রঙের গ্লিসারিন সাবান, সবুজ টিউবের সাদা রঙের বোরোলিন, নীল রঙের কৌটায় সাদা নিভিয়া ক্রিম ব্যবহারের ব্যাপার ছিল। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে রেজাল্ট হয়ে যাওয়ার পরের ছুটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। ছোট বাচ্চারা সরষের তেল গরম করে সারা গায়ে মেখে বাড়ির সামনে ছোটাছুটি করত। চিট চিটে গা, বিচ্ছিরি লাগলে লাগুক কড়া চোখের ভয়ে চিৎকার আর ছোটাছুটিতেই কুঁচো-কাঁচার দল আনন্দে মাতাল হতো। গোসল শেষে গ্লিসারিন পানিতে মিশিয়ে হাত, পায়ে লাগানো আবার অনেকের কাছে অলিভ অয়েলের লাল টিনও ছিল।
এরপর বোরোলিন বা নিভিয়া আঙুলে নিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে সারা মুখে দিয়ে ডলে ডলে মাখত। সবশেষে লাল উলের ওপর সাদা উলের ডিজাইনের সোয়েটার বা জাম্পার গায়ে দিয়ে রোদে পিঠ দিয়ে বই পড়া হতো। সেই সব বইয়ের মধ্যে ছিল ছবিতে ভরা রাশিয়ার রূপকথার সমাহার। যেমন ইভানুস্কা, আলিওনুস্কা, তানিউস্কার গল্প ছিল অন্যতম। সত্যজিৎও ছিলেন, ফেলুদার বাদশাহি আংটি, গোরস্তানে সাবধান বা মগনলালের গল্পও। কোনো কোনো শীতের সময় হঠাৎ করে দূরের শহর থেকে নিকটাত্মীয়দের কেউ কেউ বেড়াতে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে ভীষণ আনন্দে কয়েকটা দিন কেটে যেত। শীতের রোদে আমাদের সমবয়সী শিখা, সীমা, সাহান, তমা, টুনি, আকাশ, দীপালি ও সৌমেনের মায়েরা এক হয়ে আড্ডা দিতেন।
আমাদের ছুটির মধ্যেও মাঝেমধ্যে অঙ্ক করতে হতো। সেই স্মৃতি এখন অতটা নিম স্বাদ দেয় না, যতটা তখন দিত। ছোট্ট জলচৌকির ওপর অঙ্ক বই আর সেলাই করা দিস্তা খাতা থাকত। খাতার সেলাইটা লাল ও সাদা সুতা দিয়ে করা হতো। আর লেখা হতো ফাউন্টেনপেন দিয়ে। কালি লিক হলেই কানমলা বা চড় অবধারিত পাওনা থাকত। পরে আরও কত পেন বাজারে এল, কিন্তু সেই কলম ঝেড়ে লুকিয়ে একটু কালি ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারটাই অন্য রকম ছিল। আহা সেই কালিতেই স্মৃতিরা আজও বেঁচেবর্তে আছে।
অলস দুপুরে পাশের বাসা থেকে সুর ভেসে আসত ‘রূপের ঐ প্রদীপ জ্বেলে কী হবে তোমার, কাছে কেউ না এলে আর...’। লাল সোয়েটার গায়ে ষোড়শী মেয়েটার মায়ের কটমট চাহনি কঠোরতর হয়ে উঠত, যখন নতুন করে বেজে উঠত, ‘হয়তো তোমার জন্য হয়েছি প্রেমেতে বন্য, জানি তুমি অনন্য...’। সৌমিত্র, তনুজা সে সময়ে চেনা না থাকলেও সেই সুর আজও হৃদয়ে গেঁথে আছে। লেপ শুকাতে দেওয়া হতো ছাদে। সারা দিন রোদে থেকে লেপ বেশ গরম হয়ে উঠত আর মান্না দে তক্ষুনি গেয়ে উঠতেন, ‘পৌষের কাছাকাছি রোদমাখা সেই দিন ফিরে আর আসবে কি কখনো...’। না, তাঁরা আর সশরীরে ফিরে আসেননি, আসবেনও না; শুধু মনের মধ্যে থেকে যাওয়াটাই সম্বল।
সন্ধ্যায় পড়াশোনা শেষ হলেই খালা-নানুর লেপের ওমে নিজেকে সেঁকে নিতাম। ঠান্ডা হাত-পাগুলো নিজের গায়ে লাগলেও নিজেরই চমকে ওঠা। আবার ছোট ভাইবোনদের গায়ে লাগিয়ে চমকে দেওয়া হতো।
তখন বিদ্যুৎ যেত খুব। তবে শীতকালে তা একটু কমে আসত। সুনসান রাস্তায়, রান্নাঘরের ভেন্টিলেটরের ফাঁকফোকরে জমাটবাঁধা অন্ধকারেরা শীতকে কোলে নিয়ে বসে থাকত যেন। মাকড়সার জালগুলো আমার কাছে তখন ‘বুড়ো সান্তা’র মতো চেহারা পেত। সে ফিসফিস করে কিছু বলতে চাইত যেন, আর আমরা শিউরে শিউরে উঠে তাড়াতাড়ি চোখ বন্ধ করে ফেলতাম। বড়দের কাছে ‘ভূতের গল্প শোনাও’—একটা দারুণ আবদার ছিল।
নানু-দাদুর পানজড়ানো মুখ থেকে পানের রসে জড়িয়ে যে কথাগুলো আসত, তা-ই দিয়ে কানাওঠানো থালায় ভাত মেখে চটকে চটকে খাইয়ে দিত কেউ। খেতে যে একটুও ইচ্ছে ছিল না তা আর মনেই থাকত না।
রেডিওতে নাটক, ওয়ার্ল্ড মিউজিক, শুক্রবারের বোকা বাক্সে ‘টারজান’ দেখতে একজোট হওয়া আমরা আমলকীগাছ ছাড়াই শীতের হাওয়ার নাচন লাগাতাম প্রাণে। আর মায়ের কণ্ঠে তখন তা সুর পাচ্ছে ‘শীতের হাওয়ায় লাগল নাচন, আমলকীর ওই ডালে ডালে...’।
একদিন কার কণ্ঠে যেন শুনলাম ‘মাটি তোদের ডাক দিয়েছে আয় রে চলে আয় আয় আয়’...ঠিক ‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছের সুর’! একটু একটু চিনতে শেখা রবিঠাকুর তখন নতুন সান্তা ক্লজ, যে ডিসেম্বরের শীতের ক্রিসমাস ছাড়াই সবচেয়ে বেশি চমক জাগানো উপহার দিচ্ছে।
শীতে নতুন লাল টমেটোতে সাদা সাদা রসুনের ফোড়ন দিয়ে রান্না করা টক, কোনো এক বড়দিনে মনে হয়েছিল, আহা এ-ও যেন একদম সান্তার মতো।
রাত ঘনিয়ে এলে টের পেতাম, কী এক অপরূপ মমতামাখা জ্যোৎস্না আর স্বপ্নে স্লেজ গাড়ি টেনে আসছে সেই চিরচেনা বুড়ো। সত্যিকারের মোজার ভেতরে কোনো উপহার না পেলেও এই সব শীতালো স্মৃতিই আজ সান্তার কথা মনে করিয়ে দেয়।
বিছানায় শুয়ে থাকা ছোট্ট মেয়ে বা ছেলেটার মাথায় হাত বোলাচ্ছেন দাদিমা, নানুর সেই পানখাওয়া লাল ঠোঁটের হাসি। একদম জড়াজড়ি করে থাকা সেই সব স্মৃতির মতোই দামি। একদম কাচের চীনা ফুলদানিটার মতো যার গায়ে লাল-সাদায় রুশ উপকথার ছবি আঁকা।
প্রতিবার শীতেই সেই ছবি আর স্পর্শগুলো খুঁজে বের করি ঝেড়ে মুছে আবার সাজিয়ে রাখি। কেন রাখি কে জানে? হয়তো আমি সেই সব মানুষের দলে, যারা বর্তমানের থেকেও অতীতেই বেশি বাঁচতে চায়।
একেক ঋতুতে একেক রঙের চাদর গায়ে দিই, অবাক হয়ে দেখি চাদরে জড়ানো পাওয়া না-পাওয়া স্বপ্নেরাও হেসে আছে। আমরাও হাসি, আবার কাঁদিও...কেউ জানে না কেন, সেই লাল-সাদা বুড়ো সান্তাও না।
শীত চলে এল। শীত মানে তার সঙ্গে বড়দিনেরও আসা। বড়দিনে সান্তা ক্লজ বাচ্চাদের জন্য উপহার নিয়ে আসেন। সেই উপহার আমরা কখনো পাইনি। কারণ আমাদের চারপাশে ঈদ, পুজো যতটা দেখেছি, বড়দিন ততটা দেখিনি। তবু শীতের সঙ্গে মিলেমিশে সেই লাল-সাদা রংটা ছিল খুব কাছের জিনিসের মতো। আমাদের ছেলেবেলায় এ সময়ে উঁচু বাক্স বা তাক থেকে আগের বছর উঠিয়ে রাখা লাল রঙের লেপ নামানো হতো। লাল লেপের গায়ে সাদা রঙের কভার পরানো থাকত। দেখতে যেন একদম সান্তার মতোই। আজকালকার কাশ্মীরি শাল, তুরস্ক-আরবের কম্বলের তখন এত রমরমা অবস্থা ছিল না।
গ্রামে শীত মানেই ধানকাটা, খেজুরের রসসহ পিঠা-পুলির ব্যাপার ছিল। আর আমাদের শহুরে মানুষের কাছে লাল রঙের গ্লিসারিন সাবান, সবুজ টিউবের সাদা রঙের বোরোলিন, নীল রঙের কৌটায় সাদা নিভিয়া ক্রিম ব্যবহারের ব্যাপার ছিল। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে রেজাল্ট হয়ে যাওয়ার পরের ছুটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। ছোট বাচ্চারা সরষের তেল গরম করে সারা গায়ে মেখে বাড়ির সামনে ছোটাছুটি করত। চিট চিটে গা, বিচ্ছিরি লাগলে লাগুক কড়া চোখের ভয়ে চিৎকার আর ছোটাছুটিতেই কুঁচো-কাঁচার দল আনন্দে মাতাল হতো। গোসল শেষে গ্লিসারিন পানিতে মিশিয়ে হাত, পায়ে লাগানো আবার অনেকের কাছে অলিভ অয়েলের লাল টিনও ছিল।
এরপর বোরোলিন বা নিভিয়া আঙুলে নিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে সারা মুখে দিয়ে ডলে ডলে মাখত। সবশেষে লাল উলের ওপর সাদা উলের ডিজাইনের সোয়েটার বা জাম্পার গায়ে দিয়ে রোদে পিঠ দিয়ে বই পড়া হতো। সেই সব বইয়ের মধ্যে ছিল ছবিতে ভরা রাশিয়ার রূপকথার সমাহার। যেমন ইভানুস্কা, আলিওনুস্কা, তানিউস্কার গল্প ছিল অন্যতম। সত্যজিৎও ছিলেন, ফেলুদার বাদশাহি আংটি, গোরস্তানে সাবধান বা মগনলালের গল্পও। কোনো কোনো শীতের সময় হঠাৎ করে দূরের শহর থেকে নিকটাত্মীয়দের কেউ কেউ বেড়াতে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে ভীষণ আনন্দে কয়েকটা দিন কেটে যেত। শীতের রোদে আমাদের সমবয়সী শিখা, সীমা, সাহান, তমা, টুনি, আকাশ, দীপালি ও সৌমেনের মায়েরা এক হয়ে আড্ডা দিতেন।
আমাদের ছুটির মধ্যেও মাঝেমধ্যে অঙ্ক করতে হতো। সেই স্মৃতি এখন অতটা নিম স্বাদ দেয় না, যতটা তখন দিত। ছোট্ট জলচৌকির ওপর অঙ্ক বই আর সেলাই করা দিস্তা খাতা থাকত। খাতার সেলাইটা লাল ও সাদা সুতা দিয়ে করা হতো। আর লেখা হতো ফাউন্টেনপেন দিয়ে। কালি লিক হলেই কানমলা বা চড় অবধারিত পাওনা থাকত। পরে আরও কত পেন বাজারে এল, কিন্তু সেই কলম ঝেড়ে লুকিয়ে একটু কালি ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারটাই অন্য রকম ছিল। আহা সেই কালিতেই স্মৃতিরা আজও বেঁচেবর্তে আছে।
অলস দুপুরে পাশের বাসা থেকে সুর ভেসে আসত ‘রূপের ঐ প্রদীপ জ্বেলে কী হবে তোমার, কাছে কেউ না এলে আর...’। লাল সোয়েটার গায়ে ষোড়শী মেয়েটার মায়ের কটমট চাহনি কঠোরতর হয়ে উঠত, যখন নতুন করে বেজে উঠত, ‘হয়তো তোমার জন্য হয়েছি প্রেমেতে বন্য, জানি তুমি অনন্য...’। সৌমিত্র, তনুজা সে সময়ে চেনা না থাকলেও সেই সুর আজও হৃদয়ে গেঁথে আছে। লেপ শুকাতে দেওয়া হতো ছাদে। সারা দিন রোদে থেকে লেপ বেশ গরম হয়ে উঠত আর মান্না দে তক্ষুনি গেয়ে উঠতেন, ‘পৌষের কাছাকাছি রোদমাখা সেই দিন ফিরে আর আসবে কি কখনো...’। না, তাঁরা আর সশরীরে ফিরে আসেননি, আসবেনও না; শুধু মনের মধ্যে থেকে যাওয়াটাই সম্বল।
সন্ধ্যায় পড়াশোনা শেষ হলেই খালা-নানুর লেপের ওমে নিজেকে সেঁকে নিতাম। ঠান্ডা হাত-পাগুলো নিজের গায়ে লাগলেও নিজেরই চমকে ওঠা। আবার ছোট ভাইবোনদের গায়ে লাগিয়ে চমকে দেওয়া হতো।
তখন বিদ্যুৎ যেত খুব। তবে শীতকালে তা একটু কমে আসত। সুনসান রাস্তায়, রান্নাঘরের ভেন্টিলেটরের ফাঁকফোকরে জমাটবাঁধা অন্ধকারেরা শীতকে কোলে নিয়ে বসে থাকত যেন। মাকড়সার জালগুলো আমার কাছে তখন ‘বুড়ো সান্তা’র মতো চেহারা পেত। সে ফিসফিস করে কিছু বলতে চাইত যেন, আর আমরা শিউরে শিউরে উঠে তাড়াতাড়ি চোখ বন্ধ করে ফেলতাম। বড়দের কাছে ‘ভূতের গল্প শোনাও’—একটা দারুণ আবদার ছিল।
নানু-দাদুর পানজড়ানো মুখ থেকে পানের রসে জড়িয়ে যে কথাগুলো আসত, তা-ই দিয়ে কানাওঠানো থালায় ভাত মেখে চটকে চটকে খাইয়ে দিত কেউ। খেতে যে একটুও ইচ্ছে ছিল না তা আর মনেই থাকত না।
রেডিওতে নাটক, ওয়ার্ল্ড মিউজিক, শুক্রবারের বোকা বাক্সে ‘টারজান’ দেখতে একজোট হওয়া আমরা আমলকীগাছ ছাড়াই শীতের হাওয়ার নাচন লাগাতাম প্রাণে। আর মায়ের কণ্ঠে তখন তা সুর পাচ্ছে ‘শীতের হাওয়ায় লাগল নাচন, আমলকীর ওই ডালে ডালে...’।
একদিন কার কণ্ঠে যেন শুনলাম ‘মাটি তোদের ডাক দিয়েছে আয় রে চলে আয় আয় আয়’...ঠিক ‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছের সুর’! একটু একটু চিনতে শেখা রবিঠাকুর তখন নতুন সান্তা ক্লজ, যে ডিসেম্বরের শীতের ক্রিসমাস ছাড়াই সবচেয়ে বেশি চমক জাগানো উপহার দিচ্ছে।
শীতে নতুন লাল টমেটোতে সাদা সাদা রসুনের ফোড়ন দিয়ে রান্না করা টক, কোনো এক বড়দিনে মনে হয়েছিল, আহা এ-ও যেন একদম সান্তার মতো।
রাত ঘনিয়ে এলে টের পেতাম, কী এক অপরূপ মমতামাখা জ্যোৎস্না আর স্বপ্নে স্লেজ গাড়ি টেনে আসছে সেই চিরচেনা বুড়ো। সত্যিকারের মোজার ভেতরে কোনো উপহার না পেলেও এই সব শীতালো স্মৃতিই আজ সান্তার কথা মনে করিয়ে দেয়।
বিছানায় শুয়ে থাকা ছোট্ট মেয়ে বা ছেলেটার মাথায় হাত বোলাচ্ছেন দাদিমা, নানুর সেই পানখাওয়া লাল ঠোঁটের হাসি। একদম জড়াজড়ি করে থাকা সেই সব স্মৃতির মতোই দামি। একদম কাচের চীনা ফুলদানিটার মতো যার গায়ে লাল-সাদায় রুশ উপকথার ছবি আঁকা।
প্রতিবার শীতেই সেই ছবি আর স্পর্শগুলো খুঁজে বের করি ঝেড়ে মুছে আবার সাজিয়ে রাখি। কেন রাখি কে জানে? হয়তো আমি সেই সব মানুষের দলে, যারা বর্তমানের থেকেও অতীতেই বেশি বাঁচতে চায়।
একেক ঋতুতে একেক রঙের চাদর গায়ে দিই, অবাক হয়ে দেখি চাদরে জড়ানো পাওয়া না-পাওয়া স্বপ্নেরাও হেসে আছে। আমরাও হাসি, আবার কাঁদিও...কেউ জানে না কেন, সেই লাল-সাদা বুড়ো সান্তাও না।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে