সৌগত বসু, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। মাঠের এই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। কর্মসূচি, সহিংসতা, নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ—এসব নিয়ে ফেসবুক পেজে ঘণ্টায় ঘণ্টায় পোস্ট দিচ্ছে দলগুলো। লাভ, লাইক, ওয়াও, হাহা জানিয়ে এসব পোস্টের প্রতি প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছে পেজের অনুসারীরা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বড় তিনটি রাজনৈতিক দলের ফেসবুক পোস্টে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তুলনায় প্রতিক্রিয়া বেড়েছে বিএনপির ফেসবুক পেজে।
‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনীতি: বাংলাদেশে ফেসবুকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ব্যবহারকারীদের যোগাযোগের প্রবণতা অন্বেষণ’ শীর্ষক এই গবেষণা চালিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাঈদ আল-জামান। চলতি বছরের ৭ নভেম্বর ‘মিডিয়া এশিয়া’ জার্নালে এটি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণার তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী—এই তিন দলের মধ্যে সবার আগে ফেসবুক পেজ খুলেছিল আওয়ামী লীগ, ২০১৩ সালের ৩০ আগস্ট। জামায়াতের পেজটি খোলা হয় ২০১৪ সালের ২০ জুন এবং বিএনপি ফেসবুকে পেজ খোলে ২০১৯ সালের ১৩ জুন। বিএনপি সবার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হলেও দলটির পেজ জনপ্রিয় হয়েছে খুব দ্রুত। এই তিন দলকে বাছাই করার কারণ হিসেবে গবেষক বলেছেন, ফেসবুকে এদের জনপ্রিয়তা অন্য দলগুলোর চাইতেও অনেক বেশি।
জাবি শিক্ষকের ওই গবেষণায় দেখা গেছে, পেজ খোলার পর ১০ বছরে আওয়ামী লীগের পেজে মিথস্ক্রিয়ার (রিঅ্যাক্ট, মন্তব্য ও শেয়ার) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ৫২ হাজার। অন্যদিকে বিএনপির পেজে সাড়ে ৪ বছরের কম সময়ে মিথস্ক্রিয়া হয়েছে ১০ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার। আর জামায়াতের পেজে মিথস্ক্রিয়া হয়েছে ৪ কোটি ৩৫ লাখ। হিসাব করে দেখা গেছে, প্রতিবছর বিএনপির মিথস্ক্রিয়ার পরিমাণ ছিল গড়ে ২ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার, যেখানে আওয়ামী লীগের ছিল ১ কোটি ৫ লাখ এবং জামায়াতের ৪০ লাখ ৯৩ হাজার।
গবেষণায় জানানো হয়, ২০১৬ সালের পর আওয়ামী লীগের পেজে মিথস্ক্রিয়ার তুলনামূলকভাবে কমে আসে। তবে বিএনপির মিথস্ক্রিয়ার হার ২০২১ সালের পর থেকে বেড়ে অন্যদের ছাড়িয়ে যায়।
এই তিন দলের পেজের পাঁচটি প্রধান প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করলে প্রতিটি প্রতিক্রিয়াতে কিছু নির্দিষ্ট অনুভূতি প্রকাশের উপাত্ত তুলে ধরেন গবেষক। যেমন, লাভ রিঅ্যাকশন দিয়ে সমর্থন বা ভালোবাসা প্রকাশ, হাহা দিয়ে উপহাস বা হাস্যরস, স্যাড দিয়ে দুঃখবোধ বা সহমর্মিতা, ওয়াও দিয়ে অবাক হওয়া এবং অ্যাংরি দিয়ে রাগ-ক্ষোভ প্রকাশ পায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপির ‘লাভ’ প্রতিক্রিয়া প্রাপ্তির হার সবচেয়ে বেশি, ১ কোটি ৫০ লাখ ১১ হাজার, যা মোট রিঅ্যাকশনের ৬০ দশমিক ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পোস্টে ‘লাভ’ প্রতিক্রিয়া পড়েছে ৬০ লাখ ১৩ হাজার, যা মোট রিঅ্যাকশনের ২৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জামায়াতের ফেসবুক পেজে ‘লাভ’ রিঅ্যাকশনের পরিমাণ ছিল ৩০ লাখ ৭৩ হাজার বা ১৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
স্যাড এবং অ্যাংরি প্রতিক্রিয়া প্রাপ্তিতেও বিএনপি অন্যদের চেয়ে এগিয়ে (৬১ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং ৭৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ)। অপরদিকে, হাহা এবং ওয়াও প্রতিক্রিয়াতে এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ (৬৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ১০ লাখ ৮৮ হাজার এবং ৫৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ ১ লাখ ৫০ হাজার)। জামায়াত স্যাড ছাড়া বাকি চারটি রিঅ্যাকশনের ক্ষেত্রে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এ বিষয়ে গবেষক সাঈদ আল-জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়ে প্রতিক্রিয়া আরও গুরুতর হয়ে উঠছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। মাঠের এই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। কর্মসূচি, সহিংসতা, নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ—এসব নিয়ে ফেসবুক পেজে ঘণ্টায় ঘণ্টায় পোস্ট দিচ্ছে দলগুলো। লাভ, লাইক, ওয়াও, হাহা জানিয়ে এসব পোস্টের প্রতি প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছে পেজের অনুসারীরা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বড় তিনটি রাজনৈতিক দলের ফেসবুক পোস্টে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তুলনায় প্রতিক্রিয়া বেড়েছে বিএনপির ফেসবুক পেজে।
‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনীতি: বাংলাদেশে ফেসবুকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ব্যবহারকারীদের যোগাযোগের প্রবণতা অন্বেষণ’ শীর্ষক এই গবেষণা চালিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাঈদ আল-জামান। চলতি বছরের ৭ নভেম্বর ‘মিডিয়া এশিয়া’ জার্নালে এটি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণার তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী—এই তিন দলের মধ্যে সবার আগে ফেসবুক পেজ খুলেছিল আওয়ামী লীগ, ২০১৩ সালের ৩০ আগস্ট। জামায়াতের পেজটি খোলা হয় ২০১৪ সালের ২০ জুন এবং বিএনপি ফেসবুকে পেজ খোলে ২০১৯ সালের ১৩ জুন। বিএনপি সবার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হলেও দলটির পেজ জনপ্রিয় হয়েছে খুব দ্রুত। এই তিন দলকে বাছাই করার কারণ হিসেবে গবেষক বলেছেন, ফেসবুকে এদের জনপ্রিয়তা অন্য দলগুলোর চাইতেও অনেক বেশি।
জাবি শিক্ষকের ওই গবেষণায় দেখা গেছে, পেজ খোলার পর ১০ বছরে আওয়ামী লীগের পেজে মিথস্ক্রিয়ার (রিঅ্যাক্ট, মন্তব্য ও শেয়ার) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ৫২ হাজার। অন্যদিকে বিএনপির পেজে সাড়ে ৪ বছরের কম সময়ে মিথস্ক্রিয়া হয়েছে ১০ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার। আর জামায়াতের পেজে মিথস্ক্রিয়া হয়েছে ৪ কোটি ৩৫ লাখ। হিসাব করে দেখা গেছে, প্রতিবছর বিএনপির মিথস্ক্রিয়ার পরিমাণ ছিল গড়ে ২ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার, যেখানে আওয়ামী লীগের ছিল ১ কোটি ৫ লাখ এবং জামায়াতের ৪০ লাখ ৯৩ হাজার।
গবেষণায় জানানো হয়, ২০১৬ সালের পর আওয়ামী লীগের পেজে মিথস্ক্রিয়ার তুলনামূলকভাবে কমে আসে। তবে বিএনপির মিথস্ক্রিয়ার হার ২০২১ সালের পর থেকে বেড়ে অন্যদের ছাড়িয়ে যায়।
এই তিন দলের পেজের পাঁচটি প্রধান প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করলে প্রতিটি প্রতিক্রিয়াতে কিছু নির্দিষ্ট অনুভূতি প্রকাশের উপাত্ত তুলে ধরেন গবেষক। যেমন, লাভ রিঅ্যাকশন দিয়ে সমর্থন বা ভালোবাসা প্রকাশ, হাহা দিয়ে উপহাস বা হাস্যরস, স্যাড দিয়ে দুঃখবোধ বা সহমর্মিতা, ওয়াও দিয়ে অবাক হওয়া এবং অ্যাংরি দিয়ে রাগ-ক্ষোভ প্রকাশ পায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপির ‘লাভ’ প্রতিক্রিয়া প্রাপ্তির হার সবচেয়ে বেশি, ১ কোটি ৫০ লাখ ১১ হাজার, যা মোট রিঅ্যাকশনের ৬০ দশমিক ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পোস্টে ‘লাভ’ প্রতিক্রিয়া পড়েছে ৬০ লাখ ১৩ হাজার, যা মোট রিঅ্যাকশনের ২৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জামায়াতের ফেসবুক পেজে ‘লাভ’ রিঅ্যাকশনের পরিমাণ ছিল ৩০ লাখ ৭৩ হাজার বা ১৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
স্যাড এবং অ্যাংরি প্রতিক্রিয়া প্রাপ্তিতেও বিএনপি অন্যদের চেয়ে এগিয়ে (৬১ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং ৭৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ)। অপরদিকে, হাহা এবং ওয়াও প্রতিক্রিয়াতে এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ (৬৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ১০ লাখ ৮৮ হাজার এবং ৫৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ ১ লাখ ৫০ হাজার)। জামায়াত স্যাড ছাড়া বাকি চারটি রিঅ্যাকশনের ক্ষেত্রে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এ বিষয়ে গবেষক সাঈদ আল-জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়ে প্রতিক্রিয়া আরও গুরুতর হয়ে উঠছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে