তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর জেলা যুবলীগের পর মহানগরের সম্মেলন। টানা তিন দিনে হলো তিনটি সম্মেলন। কিন্তু একটিও দেখল না আলোর মুখ। সম্মেলন তিনটি চট্টগ্রামে হলেও কমিটি কিনা ঘোষণা করা হবে ঢাকা থেকে।
সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সামনে নতুন নেতৃত্বের হাতে সংগঠনের দায়িত্ব তুলে না দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এত ঢাকঢোল পিটিয়ে সম্মেলনের কী দরকার ছিল। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কমিটিও হলো না, আবার নেতাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বও মেটানো গেল না। এখন অপেক্ষা বাড়ায় পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যেও হতাশা কাজ করছে।
এ প্রশ্ন উঠেছে বেশ কিছু কারণে। সম্মেলনে প্রধান দুই পদে প্রার্থী হতে নেতাদের মধ্যে এবার ব্যাপক আগ্রহ ছিল। শুধু মহানগর শাখাতেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন ১০৮ জন নেতা। সম্মেলনের দুই সপ্তাহ আগে থেকে প্রচার নিয়ে নেতাদের মধ্যে বেশ তোড়জোড় শুরু হয়। নেতাদের মন জয়ে রেডিসন হোটেলে তাঁদের কক্ষের আশপাশের কক্ষ নিয়ে থাকার ঘটনাও ঘটেছে। শুধু তা-ই নয়, প্রতিযোগিতা দেখা গেছে কে বেশি লোক নিয়ে শোভাযাত্রা করতে পারে, কে বেশি ব্যানার-পোস্টার ছাপাতে পারে তা নিয়েও। সম্মেলনের দিন সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় নাগরিক ভোগান্তিও কম হয়নি। কমিটি গঠন প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সোমবার সকাল ১০টা থেকে পাঁচলাইশের একটি কমিউনিটি সেন্টারে শুরু হয় মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত টানা চলে প্রথম অধিবেশন। এরপর কয়েক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে রাত সাড়ে ৭টার দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় কাজীর দেউড়ির আরেকটি কমিউনিটি সেন্টারে। সেখানে পদপ্রত্যাশী নেতারা সমর্থকদের নিয়ে হাজির হন।
দ্বিতীয় অধিবেশনের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি প্রথমেই সভাপতি পদে আগ্রহীদের মঞ্চে ডাকেন। প্রার্থীরা একজন করে প্রস্তাবক ও সমর্থনকারীকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে যান। সেখানে তাঁদের কাছ থেকে ছোট্ট সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। এভাবে প্রতি প্রার্থীকে ডাকা হয় মঞ্চে। তবে এ পদে কেউ কেউ অন্য প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
একইভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদেরও ডাকা হয়। এ পদেও কয়েকজন তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
যুবলীগের উপপ্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী জানিয়েছেন, মূল দুই পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়া ১০৮ প্রার্থীর মধ্যে সভাপতি পদে ২৮ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৬৫ জন নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে অনড় ছিলেন। অন্য ১৫ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
এরপর প্রধান দুই পদে ৯৩ জন প্রার্থী অনড় থাকায় যুবলীগের চেয়ারম্যান দুই পদের প্রার্থীদের ১০ মিনিট করে সময় নির্ধারণ করে দেন ঐকমত্যে আসার জন্য। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কেউ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। পরে যুবলীগের চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন ঢাকা থেকে হবে কমিটি।
এ বিষয়ে মহানগর শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী চার নেতার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। সবাই অভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। তবে কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে চাননি।
তাঁরা বলেন, সম্মেলনে কমিটি ঘোষণা দিলে হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে বঞ্চিত নেতাদের মধ্যে কিছুটা প্রতিক্রিয়া কাজ করত। কিন্তু এখন কেন্দ্র থেকে কমিটি হলে দ্বন্দ্ব আরও বাড়তে পারে। স্বচ্ছভাবে হবে কিনি সেটি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। তাঁরা মনে করেন, কোনো হানাহানি না হওয়াই হয়তো বড় প্রাপ্তি।
একই কথা বলেন মহানগর যুবলীগের সদ্য বিদায়ী আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মনে করি, সম্মেলন সফল হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুন্দরভাবেই সবকিছু হয়েছে। পদপ্রত্যাশীরা অনড় থাকায় কমিটি ঘোষণা করা যায়নি।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যুবলীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর জেলা যুবলীগের পর মহানগরের সম্মেলন। টানা তিন দিনে হলো তিনটি সম্মেলন। কিন্তু একটিও দেখল না আলোর মুখ। সম্মেলন তিনটি চট্টগ্রামে হলেও কমিটি কিনা ঘোষণা করা হবে ঢাকা থেকে।
সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সামনে নতুন নেতৃত্বের হাতে সংগঠনের দায়িত্ব তুলে না দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এত ঢাকঢোল পিটিয়ে সম্মেলনের কী দরকার ছিল। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কমিটিও হলো না, আবার নেতাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বও মেটানো গেল না। এখন অপেক্ষা বাড়ায় পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যেও হতাশা কাজ করছে।
এ প্রশ্ন উঠেছে বেশ কিছু কারণে। সম্মেলনে প্রধান দুই পদে প্রার্থী হতে নেতাদের মধ্যে এবার ব্যাপক আগ্রহ ছিল। শুধু মহানগর শাখাতেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন ১০৮ জন নেতা। সম্মেলনের দুই সপ্তাহ আগে থেকে প্রচার নিয়ে নেতাদের মধ্যে বেশ তোড়জোড় শুরু হয়। নেতাদের মন জয়ে রেডিসন হোটেলে তাঁদের কক্ষের আশপাশের কক্ষ নিয়ে থাকার ঘটনাও ঘটেছে। শুধু তা-ই নয়, প্রতিযোগিতা দেখা গেছে কে বেশি লোক নিয়ে শোভাযাত্রা করতে পারে, কে বেশি ব্যানার-পোস্টার ছাপাতে পারে তা নিয়েও। সম্মেলনের দিন সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় নাগরিক ভোগান্তিও কম হয়নি। কমিটি গঠন প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সোমবার সকাল ১০টা থেকে পাঁচলাইশের একটি কমিউনিটি সেন্টারে শুরু হয় মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত টানা চলে প্রথম অধিবেশন। এরপর কয়েক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে রাত সাড়ে ৭টার দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় কাজীর দেউড়ির আরেকটি কমিউনিটি সেন্টারে। সেখানে পদপ্রত্যাশী নেতারা সমর্থকদের নিয়ে হাজির হন।
দ্বিতীয় অধিবেশনের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি প্রথমেই সভাপতি পদে আগ্রহীদের মঞ্চে ডাকেন। প্রার্থীরা একজন করে প্রস্তাবক ও সমর্থনকারীকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে যান। সেখানে তাঁদের কাছ থেকে ছোট্ট সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। এভাবে প্রতি প্রার্থীকে ডাকা হয় মঞ্চে। তবে এ পদে কেউ কেউ অন্য প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
একইভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদেরও ডাকা হয়। এ পদেও কয়েকজন তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
যুবলীগের উপপ্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী জানিয়েছেন, মূল দুই পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়া ১০৮ প্রার্থীর মধ্যে সভাপতি পদে ২৮ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৬৫ জন নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে অনড় ছিলেন। অন্য ১৫ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
এরপর প্রধান দুই পদে ৯৩ জন প্রার্থী অনড় থাকায় যুবলীগের চেয়ারম্যান দুই পদের প্রার্থীদের ১০ মিনিট করে সময় নির্ধারণ করে দেন ঐকমত্যে আসার জন্য। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কেউ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। পরে যুবলীগের চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন ঢাকা থেকে হবে কমিটি।
এ বিষয়ে মহানগর শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী চার নেতার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। সবাই অভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। তবে কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে চাননি।
তাঁরা বলেন, সম্মেলনে কমিটি ঘোষণা দিলে হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে বঞ্চিত নেতাদের মধ্যে কিছুটা প্রতিক্রিয়া কাজ করত। কিন্তু এখন কেন্দ্র থেকে কমিটি হলে দ্বন্দ্ব আরও বাড়তে পারে। স্বচ্ছভাবে হবে কিনি সেটি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। তাঁরা মনে করেন, কোনো হানাহানি না হওয়াই হয়তো বড় প্রাপ্তি।
একই কথা বলেন মহানগর যুবলীগের সদ্য বিদায়ী আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মনে করি, সম্মেলন সফল হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুন্দরভাবেই সবকিছু হয়েছে। পদপ্রত্যাশীরা অনড় থাকায় কমিটি ঘোষণা করা যায়নি।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যুবলীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে