পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ও জঙ্গল খাইন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে পরপর ভাঙচুর ও চুরির ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। দুর্বৃত্তরা পরিষদে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক লুট করে নেওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো হয়নি পটিয়ায়।
২৫ এপ্রিল রাতের আঁধারে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদে দুষ্কৃতকারীরা তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়েছে। কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাজীব মিত্র পটিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, কুসুমপুরা ইউপি কার্যালয়ে নৈশপ্রহরী রাতে নামাজ শেষে ফিরলে ভাঙচুর ও মালামাল চুরি করে নেওয়ার দৃশ্যটি দেখতে পান। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিমকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি পুলিশকে জানান। সেদিন রাতেই পটিয়া থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে কী কারণে কারা ভাঙচুর করেছেন, কেউ নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম জানান, দুর্বৃত্তরা রাতে গ্রিল কেটে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে নিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পটিয়া থানার পরিদর্শক রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ইউনিয়ন পরিষদের গ্রিল কেটে চুরির ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠিক এক মাসের মাথায় আবারও গত ২৫ মে রাতের আঁধারে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদে দুর্বৃত্তরা মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় কার্যালয়ে ভাঙচুর, নগদ টাকা, ভোটার তালিকা হালনাগাদের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে। জানালা ভেঙে সোলারের ব্যাটারি নিয়ে যায়। কম্পিউটারের মনিটর, হার্ডডিস্ক ও একটি ল্যাপটপসহ নগদ টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। যদিও পরিষদে এর চেয়েও দামি জিনিসপত্র থাকলেও হার্ডডিস্ক কেন চুরি হয়েছে, তা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে সেদিন দুপুরে পটিয়া থানা-পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কারা কী কারণে ভাঙচুর করে মালামাল নিয়ে গেছে, বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি।
জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক-সংলগ্ন পটিয়া কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদটির অবস্থান। পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম ও পরিষদের সদস্যরা সেদিন রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে যান। ইউনিয়ন পরিষদের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার মনছুর আলম ও মো. ইউনুস রাতে কাজ শেষ করে পরিষদের একটি রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে জানালার একটি গ্রিল ভেঙে দুর্বৃত্তরা ভেতরে প্রবেশ করে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।
গত ৩০ মে সোমবার দিবাগত রাতে ভেন্টিলেটর ভেঙে উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউপি কার্যালয়ের সচিবের রুমে ঢুকে কম্পিউটারের সরঞ্জাম, হার্ডডিস্ক ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এদিকে পটিয়ায় দুই ইউপি কার্যালয়ে পরপর চুরির ঘটনায় প্রশাসন এখনো কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি।
কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সবুজ বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে পরিষদে ভাঙচুর ও কম্পিউটারের সরঞ্জাম লুটপাট করে নিয়ে গেছে। কম্পিউটারের মাধ্যমে যেসব কার্যক্রম হতো তা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
পটিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ চোর সম্প্রতি দুটি ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে ভাঙচুর করে কম্পিউটারের মালামাল ও হার্ডডিস্ক চুরি করে নিয়ে গেছে। অপরাধের ধরন দেখে মনে হচ্ছে এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তদন্ত করে দেখছি। আশা করছি চক্রটিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ও জঙ্গল খাইন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে পরপর ভাঙচুর ও চুরির ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। দুর্বৃত্তরা পরিষদে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক লুট করে নেওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো হয়নি পটিয়ায়।
২৫ এপ্রিল রাতের আঁধারে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদে দুষ্কৃতকারীরা তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়েছে। কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাজীব মিত্র পটিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, কুসুমপুরা ইউপি কার্যালয়ে নৈশপ্রহরী রাতে নামাজ শেষে ফিরলে ভাঙচুর ও মালামাল চুরি করে নেওয়ার দৃশ্যটি দেখতে পান। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিমকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি পুলিশকে জানান। সেদিন রাতেই পটিয়া থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে কী কারণে কারা ভাঙচুর করেছেন, কেউ নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম জানান, দুর্বৃত্তরা রাতে গ্রিল কেটে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে নিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পটিয়া থানার পরিদর্শক রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ইউনিয়ন পরিষদের গ্রিল কেটে চুরির ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠিক এক মাসের মাথায় আবারও গত ২৫ মে রাতের আঁধারে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদে দুর্বৃত্তরা মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় কার্যালয়ে ভাঙচুর, নগদ টাকা, ভোটার তালিকা হালনাগাদের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে। জানালা ভেঙে সোলারের ব্যাটারি নিয়ে যায়। কম্পিউটারের মনিটর, হার্ডডিস্ক ও একটি ল্যাপটপসহ নগদ টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। যদিও পরিষদে এর চেয়েও দামি জিনিসপত্র থাকলেও হার্ডডিস্ক কেন চুরি হয়েছে, তা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে সেদিন দুপুরে পটিয়া থানা-পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কারা কী কারণে ভাঙচুর করে মালামাল নিয়ে গেছে, বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি।
জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক-সংলগ্ন পটিয়া কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদটির অবস্থান। পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম ও পরিষদের সদস্যরা সেদিন রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে যান। ইউনিয়ন পরিষদের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার মনছুর আলম ও মো. ইউনুস রাতে কাজ শেষ করে পরিষদের একটি রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে জানালার একটি গ্রিল ভেঙে দুর্বৃত্তরা ভেতরে প্রবেশ করে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।
গত ৩০ মে সোমবার দিবাগত রাতে ভেন্টিলেটর ভেঙে উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউপি কার্যালয়ের সচিবের রুমে ঢুকে কম্পিউটারের সরঞ্জাম, হার্ডডিস্ক ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এদিকে পটিয়ায় দুই ইউপি কার্যালয়ে পরপর চুরির ঘটনায় প্রশাসন এখনো কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি।
কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সবুজ বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে পরিষদে ভাঙচুর ও কম্পিউটারের সরঞ্জাম লুটপাট করে নিয়ে গেছে। কম্পিউটারের মাধ্যমে যেসব কার্যক্রম হতো তা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
পটিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ চোর সম্প্রতি দুটি ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে ভাঙচুর করে কম্পিউটারের মালামাল ও হার্ডডিস্ক চুরি করে নিয়ে গেছে। অপরাধের ধরন দেখে মনে হচ্ছে এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তদন্ত করে দেখছি। আশা করছি চক্রটিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে