শাহীন রহমান, পাবনা
পাবনার চাটমোহরের বড়াল নদ এখন কৃষকের ফসলের খেত। একসময় এ নদের প্রবাহে প্রাণের সঞ্চার হতো দুই পারের মানুষের জীবন-জীবিকার। এখন সেখানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে আবর্জনা। দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে বাড়িঘর, দোকানপাট। শ্রেণিভুক্ত নৌপথে অন্তর্ভুক্ত করে বড়াল নদের প্রাণ ফেরানোর দাবি এখনো উপেক্ষিত। আন্দোলন-সংগ্রামে বড়ালের কয়েকটি স্থানে বাঁধ অপসারণ করে সেতু নির্মিত হলেও শুকনো মৌসুমে পানি মিলছে না। এতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বড়াল নদের চারপাশের প্রকৃতি, প্রতিবেশ, জীবন-জীবিকা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর।
বর্তমান চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি নদ। একসময়ের স্রোতস্বিনী বড়াল নদের বুকজুড়ে এখন চলছে ধানসহ ফসলের আবাদ। যে নদের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল লাখো মানুষের জীবন-জীবিকা। বর্তমানে পানি শুকিয়ে গেছে। বৈশাখ মাসে সেখানে আর হাঁটুজল থাকে না। স্থবির হয়ে পড়েছে নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য।
এমন অবস্থায় বড়াল নদ উদ্ধারে ২০০৮ সালে আন্দোলন শুরু করে নদীপারের কয়েক লাখ মানুষ। আন্দোলনের মুখে বড়াল নদের প্রাণ ফেরাতে ২০১৬ সাল থেকে কাজ শুরু করে সরকার। পাবনার চাটমোহর অংশে ইতিমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে তিনটি ক্রসবাঁধ, সেখানে দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। চলছে আরেকটির নির্মাণকাজ। এদিকে যখন চলছে মরা বড়াল নদের বুকে প্রাণ ফেরানোর এই চেষ্টা, তখন নদ দখল করে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এখনো নদের সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী নদীর পাড় দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলছেন। নানাভাবে দূষিত করছেন তাঁরা। এমন অবস্থায় বড়াল নদ উদ্ধারের কাজ আলোর মুখ দেখবে কি না, সেই প্রশ্ন তাঁদের।
গতকাল বুধবার দুপুরে বড়াল নদের কয়েকটি পয়েন্ট সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর বুকজুড়ে সবুজ ধানের সমারোহ। পানি খুব একটা নেই। কোনো কোনো স্থানে শাকসবজির আবাদ করেছেন। বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা।
নদীর তীরবর্তী বোঁথড় গ্রাম থেকে হেঁটে এসে বড়াল নদের ওপর দিয়ে সাঁকো পার হচ্ছিলেন বৃদ্ধ স্বপন বিশ্বাস। বড়ালের স্মৃতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় দেখতাম, বড়ালে অনেক জল ছিল। চৈত্র মাসেও অনেক জল থাকত। গোসল করতাম নদীতে, কিন্তু এখন পানি থাকে না। নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ করা হলো। এরপর ধীরে ধীরে নদীটা মরে গেল।’
একই গ্রামের আমিন উদ্দিন (৬০) বলেন, ‘বড়াল তো এখন আর নদী নেই। এই অবস্থা দেখে কষ্ট লাগে। নৌকায় অনেক জায়গায় যেতে পারতাম। ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক ভালো ছিল।’
রামনগর গ্রামের ইসাহাক আলী বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই দেখছি নদীটা মরা। তাজা আর দেখে যেতে পারলাম না। নদী দখল হচ্ছে, মাটি কেটে নিচ্ছে। নদীটা চালু করা গেলে মানুষের অনেক উপকার হতো। ব্যবসা-বাণিজ্য আর কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন হতো। নদী মরে যাওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।’
কুমারগাড়া গ্রামের মৎস্যজীবী সুবল হলদার বলেন, ‘নদীটা যত দিন বেঁচে ছিল, তত দিন মাছ শিকার করে নদীপারের হাজারো মানুষের জীবিকা চলত। আজ আমরা অনেকেই অন্য পেশায় চলে গেছি। মাছসংকটে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষ।’
বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব মিজানুর রহমান বলেন, রাজশাহীর চারঘাট থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী পর্যন্ত ২২০ কিলোমিটার বড়াল নদ চালুর কাজে গতি নেই। চারঘাটে বড়ালের উৎসমুখে এবং তার ৪৬ কিলোমিটার ভাটিতে নাটোরের আটঘরিতে দুটি স্লুইসগেট অপসারণ করে সেখানে বড় সেতু নির্মাণ করতে হবে। আটঘরি থেকে বনপাড়া পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার বেদখল হয়ে আছে। সেগুলো উচ্ছেদ করতে হবে। তারপর সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ করে প্রয়োজন অনুসারে খনন করতে হবে। তাহলেই বড়ালের প্রাণ ফেরানো সম্ভব।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম বলেন, ‘নদীর মধ্যে যদি কেউ নতুন স্থাপনা নির্মাণ করতে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সেগুলো বন্ধ করে দিচ্ছেন। এ ছাড়া সিএস অনুসারে তাঁরা নদীর সীমানা নির্ধারণের চেষ্টা করেছেন। এটি করা গেলে অবৈধ দখলসহ অনেক বিষয়ই চলে আসবে। তখন অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে তাঁদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে।
পাবনার চাটমোহরের বড়াল নদ এখন কৃষকের ফসলের খেত। একসময় এ নদের প্রবাহে প্রাণের সঞ্চার হতো দুই পারের মানুষের জীবন-জীবিকার। এখন সেখানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে আবর্জনা। দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে বাড়িঘর, দোকানপাট। শ্রেণিভুক্ত নৌপথে অন্তর্ভুক্ত করে বড়াল নদের প্রাণ ফেরানোর দাবি এখনো উপেক্ষিত। আন্দোলন-সংগ্রামে বড়ালের কয়েকটি স্থানে বাঁধ অপসারণ করে সেতু নির্মিত হলেও শুকনো মৌসুমে পানি মিলছে না। এতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বড়াল নদের চারপাশের প্রকৃতি, প্রতিবেশ, জীবন-জীবিকা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর।
বর্তমান চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি নদ। একসময়ের স্রোতস্বিনী বড়াল নদের বুকজুড়ে এখন চলছে ধানসহ ফসলের আবাদ। যে নদের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল লাখো মানুষের জীবন-জীবিকা। বর্তমানে পানি শুকিয়ে গেছে। বৈশাখ মাসে সেখানে আর হাঁটুজল থাকে না। স্থবির হয়ে পড়েছে নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য।
এমন অবস্থায় বড়াল নদ উদ্ধারে ২০০৮ সালে আন্দোলন শুরু করে নদীপারের কয়েক লাখ মানুষ। আন্দোলনের মুখে বড়াল নদের প্রাণ ফেরাতে ২০১৬ সাল থেকে কাজ শুরু করে সরকার। পাবনার চাটমোহর অংশে ইতিমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে তিনটি ক্রসবাঁধ, সেখানে দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। চলছে আরেকটির নির্মাণকাজ। এদিকে যখন চলছে মরা বড়াল নদের বুকে প্রাণ ফেরানোর এই চেষ্টা, তখন নদ দখল করে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এখনো নদের সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী নদীর পাড় দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলছেন। নানাভাবে দূষিত করছেন তাঁরা। এমন অবস্থায় বড়াল নদ উদ্ধারের কাজ আলোর মুখ দেখবে কি না, সেই প্রশ্ন তাঁদের।
গতকাল বুধবার দুপুরে বড়াল নদের কয়েকটি পয়েন্ট সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর বুকজুড়ে সবুজ ধানের সমারোহ। পানি খুব একটা নেই। কোনো কোনো স্থানে শাকসবজির আবাদ করেছেন। বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা।
নদীর তীরবর্তী বোঁথড় গ্রাম থেকে হেঁটে এসে বড়াল নদের ওপর দিয়ে সাঁকো পার হচ্ছিলেন বৃদ্ধ স্বপন বিশ্বাস। বড়ালের স্মৃতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় দেখতাম, বড়ালে অনেক জল ছিল। চৈত্র মাসেও অনেক জল থাকত। গোসল করতাম নদীতে, কিন্তু এখন পানি থাকে না। নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ করা হলো। এরপর ধীরে ধীরে নদীটা মরে গেল।’
একই গ্রামের আমিন উদ্দিন (৬০) বলেন, ‘বড়াল তো এখন আর নদী নেই। এই অবস্থা দেখে কষ্ট লাগে। নৌকায় অনেক জায়গায় যেতে পারতাম। ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক ভালো ছিল।’
রামনগর গ্রামের ইসাহাক আলী বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই দেখছি নদীটা মরা। তাজা আর দেখে যেতে পারলাম না। নদী দখল হচ্ছে, মাটি কেটে নিচ্ছে। নদীটা চালু করা গেলে মানুষের অনেক উপকার হতো। ব্যবসা-বাণিজ্য আর কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন হতো। নদী মরে যাওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।’
কুমারগাড়া গ্রামের মৎস্যজীবী সুবল হলদার বলেন, ‘নদীটা যত দিন বেঁচে ছিল, তত দিন মাছ শিকার করে নদীপারের হাজারো মানুষের জীবিকা চলত। আজ আমরা অনেকেই অন্য পেশায় চলে গেছি। মাছসংকটে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষ।’
বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব মিজানুর রহমান বলেন, রাজশাহীর চারঘাট থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী পর্যন্ত ২২০ কিলোমিটার বড়াল নদ চালুর কাজে গতি নেই। চারঘাটে বড়ালের উৎসমুখে এবং তার ৪৬ কিলোমিটার ভাটিতে নাটোরের আটঘরিতে দুটি স্লুইসগেট অপসারণ করে সেখানে বড় সেতু নির্মাণ করতে হবে। আটঘরি থেকে বনপাড়া পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার বেদখল হয়ে আছে। সেগুলো উচ্ছেদ করতে হবে। তারপর সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ করে প্রয়োজন অনুসারে খনন করতে হবে। তাহলেই বড়ালের প্রাণ ফেরানো সম্ভব।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম বলেন, ‘নদীর মধ্যে যদি কেউ নতুন স্থাপনা নির্মাণ করতে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সেগুলো বন্ধ করে দিচ্ছেন। এ ছাড়া সিএস অনুসারে তাঁরা নদীর সীমানা নির্ধারণের চেষ্টা করেছেন। এটি করা গেলে অবৈধ দখলসহ অনেক বিষয়ই চলে আসবে। তখন অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে তাঁদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে