গৌরীপুর প্রতিনিধি
২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকার বংশাল থানার তৎকালীন এসআই গৌতম রায় আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন। তারপর চলে গেছে এক যুগ। কিন্তু আজও বিচার পাননি তাঁর পরিবার। এখন হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
গৌরীপুর শ্যামগঞ্জ বাজারে এ বিষয়ে কথা হয় গৌতম রায়ের ছোট ভাই তিলক রায় টুটুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দাদার (এসআই গৌতম রায়) হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতে থানা-পুলিশ, আইনজীবী, রাজনৈতিক নেতাদের কাছে কম ধরনা দিইনি। বিচারের আশায় ১২ বছর ধরে ছুটতে ছুটতে আমাদের পরিবারের সদস্যরা এখন ক্লান্ত।’
তিলক রায় আরও বলেন, ‘দাদার বিচারের আশায় থাকতে থাকতে আমাদের বাবা ইন্দু ভূষণ রায় ও মা বকুল রানী রায় স্বর্গীয় হয়েছেন। কিন্তু গত ১২ বছরেও বিচার পাইনি। তাই সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচারের জন্য আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।’
গৌতমের পরিবার বলছে, এই হত্যাকাণ্ড একটি পরিকল্পিত ঘটনা। যে পিস্তল দিয়ে গৌতমকে গুলি করে হত্যা করা হয়, সেটি পুলিশ আজও উদ্ধার করতে পারেনি। দুজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী থাকার পরও আসল অপরাধী চক্রকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এ জন্য অভিযোগপত্র নিয়ে আপত্তি তুলেছিল পরিবার। মামলার বাদী না হওয়ায় গণমাধ্যমের মাধ্যমে এ আপত্তি জানান পরিবারের সদস্যরা।
তিলক রায় বলেন, ‘অভিযোগপত্র দেওয়ার আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এখন আর কেউ যোগাযোগ করেন না। যতটুকু শুনেছি, এ মামলায় কয়েকজন আটক হয়েছিলেন। তবে সবাই জামিনে আছেন। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে কিছুই জানি না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার বছর গৌতম রায় ঢাকার বংশাল থানা-পুলিশের এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। পরিবার নিয়ে ওয়ারীতে থাকতেন। ঘটনার দিন পেশাগত কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন গৌতম। পথিমধ্যে ধোলাইখালের মোহন লাল সাহা স্ট্রিটের আশরাফ ইলেকট্রনিকসের সামনে সন্ত্রাসীরা গৌতমকে লক্ষ করে গুলি করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান। তাঁরা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আশ্বাস দেন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করে। কয়েকজনকে আটকও করা হয়। ২০১৩ সালে এ মামলায় পুলিশ অভিযোগপত্র দিলে তা নিয়ে আপত্তি তোলে গৌতমের পরিবার।
জানা গেছে, এসআই গৌতম রায়ের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে গৌরব রায় ঝলক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। মেয়ে অদিতী রায় ঝিলিক এইচএসসি পাস করেছেন।
গৌতমের ছেলে গৌরব রায় ঝলক বলেন, ‘বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে ১২ বছরেও বাবার হত্যার বিচার পাইনি। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি, বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক।’
২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকার বংশাল থানার তৎকালীন এসআই গৌতম রায় আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন। তারপর চলে গেছে এক যুগ। কিন্তু আজও বিচার পাননি তাঁর পরিবার। এখন হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
গৌরীপুর শ্যামগঞ্জ বাজারে এ বিষয়ে কথা হয় গৌতম রায়ের ছোট ভাই তিলক রায় টুটুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দাদার (এসআই গৌতম রায়) হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতে থানা-পুলিশ, আইনজীবী, রাজনৈতিক নেতাদের কাছে কম ধরনা দিইনি। বিচারের আশায় ১২ বছর ধরে ছুটতে ছুটতে আমাদের পরিবারের সদস্যরা এখন ক্লান্ত।’
তিলক রায় আরও বলেন, ‘দাদার বিচারের আশায় থাকতে থাকতে আমাদের বাবা ইন্দু ভূষণ রায় ও মা বকুল রানী রায় স্বর্গীয় হয়েছেন। কিন্তু গত ১২ বছরেও বিচার পাইনি। তাই সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচারের জন্য আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।’
গৌতমের পরিবার বলছে, এই হত্যাকাণ্ড একটি পরিকল্পিত ঘটনা। যে পিস্তল দিয়ে গৌতমকে গুলি করে হত্যা করা হয়, সেটি পুলিশ আজও উদ্ধার করতে পারেনি। দুজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী থাকার পরও আসল অপরাধী চক্রকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এ জন্য অভিযোগপত্র নিয়ে আপত্তি তুলেছিল পরিবার। মামলার বাদী না হওয়ায় গণমাধ্যমের মাধ্যমে এ আপত্তি জানান পরিবারের সদস্যরা।
তিলক রায় বলেন, ‘অভিযোগপত্র দেওয়ার আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এখন আর কেউ যোগাযোগ করেন না। যতটুকু শুনেছি, এ মামলায় কয়েকজন আটক হয়েছিলেন। তবে সবাই জামিনে আছেন। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে কিছুই জানি না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার বছর গৌতম রায় ঢাকার বংশাল থানা-পুলিশের এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। পরিবার নিয়ে ওয়ারীতে থাকতেন। ঘটনার দিন পেশাগত কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন গৌতম। পথিমধ্যে ধোলাইখালের মোহন লাল সাহা স্ট্রিটের আশরাফ ইলেকট্রনিকসের সামনে সন্ত্রাসীরা গৌতমকে লক্ষ করে গুলি করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান। তাঁরা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আশ্বাস দেন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করে। কয়েকজনকে আটকও করা হয়। ২০১৩ সালে এ মামলায় পুলিশ অভিযোগপত্র দিলে তা নিয়ে আপত্তি তোলে গৌতমের পরিবার।
জানা গেছে, এসআই গৌতম রায়ের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে গৌরব রায় ঝলক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। মেয়ে অদিতী রায় ঝিলিক এইচএসসি পাস করেছেন।
গৌতমের ছেলে গৌরব রায় ঝলক বলেন, ‘বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে ১২ বছরেও বাবার হত্যার বিচার পাইনি। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি, বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে