জিয়াউল হক, যশোর
যশোরে ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এতে খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। হঠাৎ করে সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এদিকে ভোক্তারা বলছেন, বাজার মনিটরিং কার্যক্রম না থাকায় নিজেদের ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা।
গতকাল বুধবার যশোরের বড় বাজারের পাইকারি দোকানে গিয়ে ৫০ কেজির এক বস্তা পেঁয়াজের দাম করা হলে এক বিক্রেতা সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা দাম রাখতে রাজি হন। এ হিসাব অনুযায়ী কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম পড়ে ৪০ টাকা। একটু পরে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যমকর্মী পরিচয়ে দরদাম করলে, দাম কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৫০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে ৩ টাকা কম। একইভাবে খোলাবাজারে ১ কেজি পেঁয়াজের দাম হাঁকা হয় ৫৫ টাকা। গণমাধ্যমকর্মীর পরিচয় দিলে দাম ৫ টাকা কমে যায়। দামের এমন হেরফেরের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বিক্রেতারা।
পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দাম নিয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের পরস্পরবিরোধী অভিযোগ রয়েছে। আড়তদার সোহরাব হোসেন বলেন, ‘শনিবার সকালে আমরা ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি করেছি ১ হাজার ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায়। সে হিসেবে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা। কিন্তু খুচরা বিক্রেতা লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমাকে এক বস্তা পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকায়। সে হিসেবে পেঁয়াজের কেজি পড়ে ৪৪ টাকা।
আদনান সিদ্দিকী নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘১৫-২০ দিন আগে যশোরের খুচরা বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকায়। এক মাস আগে এই পেঁয়াজই কিনেছি ১০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু গত কয়েক দিনের ব্যবধানে তা কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণের বেশি দামে।’
সালেহা খাতুন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘দুদিন পরপরই পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করে। কাঁচাবাজারে জিনিসের দাম ওঠানামা করবে এটা স্বাভাবিক। দাম ২-৪-৫ টাকা বাড়লে মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা বাড়বে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাজার মনিটরিং করতে দেখি না। রমজান এবং বিশেষ কিছু সময়ে দু-এক দিন অভিযান চালানো হলেও তা যথেষ্ট নয়।’
পেঁয়াজের বাজারদর নিয়ে যখন এই অবস্থা, তখন হতাশা দেখা দিয়েছে কৃষকদের মধ্যে। রফিকুল ইসলাম নামের এক পেঁয়াজচাষি বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করতে ৩৫-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। অথচ সেই পেঁয়াজ এক সপ্তাহ আগেও কেজিপ্রতি ৮-১০ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছে। এতে আমাদের খরচই ওঠেনি।
সিরাজুল ইসলাম নামের আরেক বলেন, ‘যখনই বাজারে পেঁয়াজ ওঠার সময় হয় তখনই দাম কমে যায়। আবার মাঠ থেকে পেঁয়াজ উঠে গেলে দাম বেড়ে যায়। বছরের পর বছর ধরে আমরা এমনটি দেখে আসছি। উৎপাদন করে যে দামে আমরা বিক্রি করি, সেই একই পেঁয়াজ নিজে কিনতে গেলে কয়েক গুণ বেশি দামে কিনতে হয়। অর্থাৎ চাষি কিংবা ভোক্তা হিসেবে কোনোভাবেই আমরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। শক্তিশালী সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ফায়দা তুলছে।’
রিয়াজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, গণমাধ্যম ও ভ্রাম্যমাণ আদালত আসলে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে তা সামান্য সময়ের জন্য। বাজার দর নির্ধারণের পুরো ব্যবস্থাপনাই একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে। ওই সিন্ডিকেটটিই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। সিন্ডিকেটটি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মানুষকে জিম্মি করছে।
যশোর বড় বাজার আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে আপাতত মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ কম। তা ছাড়া এবারের অসময়ের বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে পেঁয়াজের উৎপাদন ও চালান কমে গেছে। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহও তুলনামূলক কম। এতে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।
মো. কামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘শিগগিরই ভাতি পেঁয়াজ বাজারে উঠবে। সেই সঙ্গে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানিও বাড়বে। তখন আবার পেঁয়াজের দাম মানুষের নাগালে চলে আসবে।’
যশোরে ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এতে খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। হঠাৎ করে সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এদিকে ভোক্তারা বলছেন, বাজার মনিটরিং কার্যক্রম না থাকায় নিজেদের ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা।
গতকাল বুধবার যশোরের বড় বাজারের পাইকারি দোকানে গিয়ে ৫০ কেজির এক বস্তা পেঁয়াজের দাম করা হলে এক বিক্রেতা সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা দাম রাখতে রাজি হন। এ হিসাব অনুযায়ী কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম পড়ে ৪০ টাকা। একটু পরে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যমকর্মী পরিচয়ে দরদাম করলে, দাম কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৫০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে ৩ টাকা কম। একইভাবে খোলাবাজারে ১ কেজি পেঁয়াজের দাম হাঁকা হয় ৫৫ টাকা। গণমাধ্যমকর্মীর পরিচয় দিলে দাম ৫ টাকা কমে যায়। দামের এমন হেরফেরের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বিক্রেতারা।
পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দাম নিয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের পরস্পরবিরোধী অভিযোগ রয়েছে। আড়তদার সোহরাব হোসেন বলেন, ‘শনিবার সকালে আমরা ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি করেছি ১ হাজার ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায়। সে হিসেবে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা। কিন্তু খুচরা বিক্রেতা লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমাকে এক বস্তা পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকায়। সে হিসেবে পেঁয়াজের কেজি পড়ে ৪৪ টাকা।
আদনান সিদ্দিকী নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘১৫-২০ দিন আগে যশোরের খুচরা বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকায়। এক মাস আগে এই পেঁয়াজই কিনেছি ১০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু গত কয়েক দিনের ব্যবধানে তা কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণের বেশি দামে।’
সালেহা খাতুন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘দুদিন পরপরই পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করে। কাঁচাবাজারে জিনিসের দাম ওঠানামা করবে এটা স্বাভাবিক। দাম ২-৪-৫ টাকা বাড়লে মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা বাড়বে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাজার মনিটরিং করতে দেখি না। রমজান এবং বিশেষ কিছু সময়ে দু-এক দিন অভিযান চালানো হলেও তা যথেষ্ট নয়।’
পেঁয়াজের বাজারদর নিয়ে যখন এই অবস্থা, তখন হতাশা দেখা দিয়েছে কৃষকদের মধ্যে। রফিকুল ইসলাম নামের এক পেঁয়াজচাষি বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করতে ৩৫-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। অথচ সেই পেঁয়াজ এক সপ্তাহ আগেও কেজিপ্রতি ৮-১০ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছে। এতে আমাদের খরচই ওঠেনি।
সিরাজুল ইসলাম নামের আরেক বলেন, ‘যখনই বাজারে পেঁয়াজ ওঠার সময় হয় তখনই দাম কমে যায়। আবার মাঠ থেকে পেঁয়াজ উঠে গেলে দাম বেড়ে যায়। বছরের পর বছর ধরে আমরা এমনটি দেখে আসছি। উৎপাদন করে যে দামে আমরা বিক্রি করি, সেই একই পেঁয়াজ নিজে কিনতে গেলে কয়েক গুণ বেশি দামে কিনতে হয়। অর্থাৎ চাষি কিংবা ভোক্তা হিসেবে কোনোভাবেই আমরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। শক্তিশালী সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ফায়দা তুলছে।’
রিয়াজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, গণমাধ্যম ও ভ্রাম্যমাণ আদালত আসলে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে তা সামান্য সময়ের জন্য। বাজার দর নির্ধারণের পুরো ব্যবস্থাপনাই একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে। ওই সিন্ডিকেটটিই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। সিন্ডিকেটটি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মানুষকে জিম্মি করছে।
যশোর বড় বাজার আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে আপাতত মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ কম। তা ছাড়া এবারের অসময়ের বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে পেঁয়াজের উৎপাদন ও চালান কমে গেছে। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহও তুলনামূলক কম। এতে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।
মো. কামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘শিগগিরই ভাতি পেঁয়াজ বাজারে উঠবে। সেই সঙ্গে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানিও বাড়বে। তখন আবার পেঁয়াজের দাম মানুষের নাগালে চলে আসবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে