ফারুক মেহেদী, কাতার থেকে
বিশ্বকাপ ফুটবলে সব ধরনের সায় আছে। বিদেশি পর্যটক ও সমর্থকদের জন্য যাবতীয় আয়োজন ও সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে। তবে নিজস্ব ধর্মীয় স্বকীয়তা ও রক্ষণশীলতার ব্যাপারে স্থানীয় কাতারিরা বেশ কঠোর। নিজেদের এসব বিষয়ে তাঁরা ছাড় দিতে রাজি নন। এমনকি বিদেশি পর্যটকেরা অবাধে দেশে আসুক, এটাও তাঁরা চান না।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাতারের বনি হাজার এলাকায় একটি কাতারি বৈঠকে হাজির থাকার সুযোগ হয়। যে বৈঠকটি স্থানীয়ভাবে মজলিশ নামে পরিচিত।
সেখানে বসে মূলধারার কাতারের নাগরিকেরা সাধারণত খোশগল্প করে, আড্ডা দিয়ে আর কাজের ফাঁকে অবসর সময় কাটিয়ে থাকেন। এই সময়ে আবার বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে পুরো কাতার বিদেশি পর্যটক-সমর্থকে গমগম করছে। চারদিকে খেলার আমেজ। সড়কের মোড়ে মোড়ে বড় স্ক্রিনে ফুটবল নিয়ে চিৎকার শোনা যাচ্ছে। শপিং মলে বিদেশিরা কেনাকাটা, আনন্দ, উল্লাসে কাটিয়ে দিচ্ছেন। আর কাতারিরা তাঁদের সনাতন মজলিশে আড্ডায় মশগুল। খেলার প্রতি তাঁদের খুব একটা আগ্রহ, তা মনে হলো না।
পরিচয় পেয়ে তাঁরা সাদরে গ্রহণ করলেন।
এরপর কাতারি রীতি মেনে মেহমান হিসেবে গাওয়া, খেজুরসহ চা-কফি দিয়ে আপ্যায়ন করলেন। মজলিশে কাতারের সরকারি প্রশাসনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা ছিলেন। আলোচনার একপর্যায়ে তাঁদের দু-একজন বিশ্বকাপ ও পর্যটকদের নিয়ে কথা বলেন। এ সময় কাতারে একটি পুলিশ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ মিশফেয়ার আল শাওয়ানি বলেন, ‘কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে পেরে খুবই খুশি। এখানে বিদেশিরা এসেছেন, খেলা দেখছেন। তাদের নিরাপদে খেলা দেখা, ঘুরে বেড়ানোর সব আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সরকার করে দিয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা হচ্ছে না। আমরা এ ব্যাপারে শতভাগ সতর্ক। বিশ্বের অনেক দেশে আমাদের নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, আয়োজন নিয়ে অনেক নেতিবাচক কথা হচ্ছে। আমরা তাতে কান দিচ্ছি না। আমরা মনে করি, এটি একটি মহাআয়োজন। এতে সবার অংশগ্রহণ রয়েছে। অতিথিরা যাতে কোনো কষ্ট না পায়, এর সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজটা করে যাচ্ছি।’
এ সময় রাশেদ জায়েদ আল শাওয়ানি নামের কাতারের আরেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আমাদের অতিথিদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করছি না।
অতিথিরা যাতে নিরাপদে খেলা দেখতে ও ঘোরাঘুরি করতে পারে, এটা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে আমরা চাই আমাদের নিজস্ব ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বজায় থাকুক। ছাড় দিলেও আমাদের ধর্মীয় স্বকীয়তা ও আমাদের রক্ষণশীলতার যতটুকু সম্ভব বজায় রাখতে চাই।’ তিনি বলেন, বিশ্বকাপ উপলক্ষে হয়তো বিদেশিরা অবাধে এসেছে, তবে আমরা চাই না দেশটি সবার জন্য এত অবাধ ও মুক্ত থাকুক।
আলোচনাকালে আরও কয়েকজন কাতারি নাগরিক খোলামেলা কথা বলেন। তাঁদের মূল বক্তব্য হলো, কাতার তার হাজার বছরের ঐতিহ্যের ব্যাপারে সচেতন। কয়েক সপ্তাহের একটি খেলার জন্য তাঁরা তাঁদের বাপ-দাদার রীতি-নীতির আমূল পরিবর্তন করতে পারবেন না। তাঁরা সর্বোচ্চ ছাড় দিয়েছেন খেলা উপলক্ষে। তাঁরা চান না, তাঁদের দেশটি দুবাইয়ের মতো হোক। বিদায়ের সময় একজন কাতারি হেসে মজা করে বলেন, ‘আমাদের যেদিন তেল-গ্যাস শেষ হয়ে যাবে, সে দিন তোমাদের দেশের তাজা শাকসবজি আর মাছ এনে খাব আমরা।’
গত মঙ্গলবার কাতারের হোমসাইড সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশের পর্যটকেরা সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ কেউ স্বজনদের সঙ্গে উটে চড়ে ডেজার্ট সাফারি করছেন। তাঁরা জানান, কাতার তাঁদের অনেক ভালো লাগছে। কেউ তাদের চলাফেরায় কোনো আপত্তি করছে না। এ জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদও দেন।
তাঁদের বক্তব্য, কাতারের মতো একটি দেশ শত সমালোচনার মধ্যেও এত সুন্দর একটি আয়োজন করেছে—এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বিশ্বকাপ ফুটবলে সব ধরনের সায় আছে। বিদেশি পর্যটক ও সমর্থকদের জন্য যাবতীয় আয়োজন ও সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে। তবে নিজস্ব ধর্মীয় স্বকীয়তা ও রক্ষণশীলতার ব্যাপারে স্থানীয় কাতারিরা বেশ কঠোর। নিজেদের এসব বিষয়ে তাঁরা ছাড় দিতে রাজি নন। এমনকি বিদেশি পর্যটকেরা অবাধে দেশে আসুক, এটাও তাঁরা চান না।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাতারের বনি হাজার এলাকায় একটি কাতারি বৈঠকে হাজির থাকার সুযোগ হয়। যে বৈঠকটি স্থানীয়ভাবে মজলিশ নামে পরিচিত।
সেখানে বসে মূলধারার কাতারের নাগরিকেরা সাধারণত খোশগল্প করে, আড্ডা দিয়ে আর কাজের ফাঁকে অবসর সময় কাটিয়ে থাকেন। এই সময়ে আবার বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে পুরো কাতার বিদেশি পর্যটক-সমর্থকে গমগম করছে। চারদিকে খেলার আমেজ। সড়কের মোড়ে মোড়ে বড় স্ক্রিনে ফুটবল নিয়ে চিৎকার শোনা যাচ্ছে। শপিং মলে বিদেশিরা কেনাকাটা, আনন্দ, উল্লাসে কাটিয়ে দিচ্ছেন। আর কাতারিরা তাঁদের সনাতন মজলিশে আড্ডায় মশগুল। খেলার প্রতি তাঁদের খুব একটা আগ্রহ, তা মনে হলো না।
পরিচয় পেয়ে তাঁরা সাদরে গ্রহণ করলেন।
এরপর কাতারি রীতি মেনে মেহমান হিসেবে গাওয়া, খেজুরসহ চা-কফি দিয়ে আপ্যায়ন করলেন। মজলিশে কাতারের সরকারি প্রশাসনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা ছিলেন। আলোচনার একপর্যায়ে তাঁদের দু-একজন বিশ্বকাপ ও পর্যটকদের নিয়ে কথা বলেন। এ সময় কাতারে একটি পুলিশ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ মিশফেয়ার আল শাওয়ানি বলেন, ‘কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে পেরে খুবই খুশি। এখানে বিদেশিরা এসেছেন, খেলা দেখছেন। তাদের নিরাপদে খেলা দেখা, ঘুরে বেড়ানোর সব আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সরকার করে দিয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা হচ্ছে না। আমরা এ ব্যাপারে শতভাগ সতর্ক। বিশ্বের অনেক দেশে আমাদের নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, আয়োজন নিয়ে অনেক নেতিবাচক কথা হচ্ছে। আমরা তাতে কান দিচ্ছি না। আমরা মনে করি, এটি একটি মহাআয়োজন। এতে সবার অংশগ্রহণ রয়েছে। অতিথিরা যাতে কোনো কষ্ট না পায়, এর সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজটা করে যাচ্ছি।’
এ সময় রাশেদ জায়েদ আল শাওয়ানি নামের কাতারের আরেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আমাদের অতিথিদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করছি না।
অতিথিরা যাতে নিরাপদে খেলা দেখতে ও ঘোরাঘুরি করতে পারে, এটা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে আমরা চাই আমাদের নিজস্ব ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বজায় থাকুক। ছাড় দিলেও আমাদের ধর্মীয় স্বকীয়তা ও আমাদের রক্ষণশীলতার যতটুকু সম্ভব বজায় রাখতে চাই।’ তিনি বলেন, বিশ্বকাপ উপলক্ষে হয়তো বিদেশিরা অবাধে এসেছে, তবে আমরা চাই না দেশটি সবার জন্য এত অবাধ ও মুক্ত থাকুক।
আলোচনাকালে আরও কয়েকজন কাতারি নাগরিক খোলামেলা কথা বলেন। তাঁদের মূল বক্তব্য হলো, কাতার তার হাজার বছরের ঐতিহ্যের ব্যাপারে সচেতন। কয়েক সপ্তাহের একটি খেলার জন্য তাঁরা তাঁদের বাপ-দাদার রীতি-নীতির আমূল পরিবর্তন করতে পারবেন না। তাঁরা সর্বোচ্চ ছাড় দিয়েছেন খেলা উপলক্ষে। তাঁরা চান না, তাঁদের দেশটি দুবাইয়ের মতো হোক। বিদায়ের সময় একজন কাতারি হেসে মজা করে বলেন, ‘আমাদের যেদিন তেল-গ্যাস শেষ হয়ে যাবে, সে দিন তোমাদের দেশের তাজা শাকসবজি আর মাছ এনে খাব আমরা।’
গত মঙ্গলবার কাতারের হোমসাইড সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশের পর্যটকেরা সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ কেউ স্বজনদের সঙ্গে উটে চড়ে ডেজার্ট সাফারি করছেন। তাঁরা জানান, কাতার তাঁদের অনেক ভালো লাগছে। কেউ তাদের চলাফেরায় কোনো আপত্তি করছে না। এ জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদও দেন।
তাঁদের বক্তব্য, কাতারের মতো একটি দেশ শত সমালোচনার মধ্যেও এত সুন্দর একটি আয়োজন করেছে—এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে